৩৪ সেকেন্ডের ভিডিও, মেহজাবিন ও একটি গুজব

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মেহজাবিন চৌধুরী, ছবি: সংগৃহীত

মেহজাবিন চৌধুরী, ছবি: সংগৃহীত

১৬ সেপ্টেম্বর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছে ৩৪ সেকেন্ডের একটি অপ্রীতিকর ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরীর।

সেই ভিডিওটি আসলে মেহজাবিনের কিনা তা যাচাই বাছাই না করাই আগেই ভাইরাল এই অভিনেত্রী। এতটাই ভাইরাল যে এমন বিব্রতকর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছেন এই অভিনেত্রী।

বিজ্ঞাপন

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এক স্ট্যাটাসে মেহজাবিন জানিয়েছেন, আজকে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটা ভিডিও ছড়িয়েছে এবং এ নিয়ে কিছু অসাধু লোকজন বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছেন। আমার সকল ফ্যান-ফলোয়ার এবং সমর্থকদের কাছে আমার অনুরোধ মিথ্যা খবর কিংবা ভিডিওতে বিশ্বাস করবেন না। আমি ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টে যারা এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন বা ছড়াতে সাহায্য করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি।

৩৪ সেকেন্ডের ভিডিও, মেহজাবিন ও আরও একটি গুজব

বিজ্ঞাপন

তবে আজ সেই ভিডিওটি অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, ভিডিওটি একটি ভারতীয় পর্ণ ওয়েবসাইটের কিছু অংশ। বছর খানেক আগে ভারতের দিল্লিতে ভাইরাল হয়েছিল ভিডিওটি। সেই ভিডিও মাঝের কিছু অংশ কেটে কাল থেকে ফেসবুকে মেহজাবিনের ভিডিও বলে প্রচার করা হয়েছে। যার অন্যতম কারণ ভিডিওটি ভাইরাল করা আর মেহজাবীন ও তার পরিবারকে বিব্রত করা।

এ ব্যাপারে মেহজাবানি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমি আমার ফ্যানদের প্রতি কৃতজ্ঞ তারা আমাকে অনেক বেশি সাপোর্ট দিয়েছেন। তারা সারারাত ধরে জেগে আসল ভিডিও উদ্ধার করে প্রমাণ করেছেন এটা আমি না। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। সবচেয়ে অবাক হয়েছি যারা না বুঝে এটা ছড়িয়েছে। মানুষের জাজমেন্ট এতো দুর্বল হলে কীভাবে হয়? ভিডিওটি ভাইরাল করার জন্য আমার নাম জড়ানো হয়েছে। আমি হয়তো বিষয়টি বুঝতে পারছি কিন্তু যারা বুঝতে পারছে না তারা কী করবে, তাদের তো আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।

৩৪ সেকেন্ডের ভিডিও, মেহজাবিন ও আরও একটি গুজব

গেল কয়কে বছরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কেন্দ্র করে তারকাদের এমন অপ্রীতিকর ভিডিও প্রকাশের গুজব নতুন নয়। এর আগেও বেশ কয়েকজন তারকার নামে এমন মিথ্যা ভিডিও ছাড়ানো হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা পরবর্তীতে গুজব বলে প্রমাণিত হয়েছিল।

কিন্তু কেন এমনটি করা হয়? বেশ কয়েকবছর সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করা আশিক ইমতিয়াজ আদনান এটার প্রধান কারণ মনে করেন- তারকাকে অপছন্দ করা, বিচক্ষণতা ও সচেতনতার অভাবকে।

তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘একজন তারকাকে সবাই পছন্দ করে না। সেজন্য কেউ একজন যখন কোন তারকাকে নিয়ে ইচ্ছে করে একটা গুজব সৃষ্টি করে তখন তারকার ওই অপছন্দ করা অংশ গুজবটিকে প্রচার করে। আর বিচক্ষণতা ও সচেতনতার অভাবে অন্যরা সেগুলো নিয়ে সরাসরি আলোচনা ও সমালোচনা করতে গিয়ে ব্যাপারটিকে ভাইরাল করে ফেলে। যার ফলে ব্যাপারটি গুজব জেনেও অনেকের কাছে চলে যায় আর আলোচনায় থাকে।’