১০ দিনের রিমান্ডে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের ফিরোজ
রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক আইনের দুটি মামলায় এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ৫ টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাফটকে সতর্কতার সাথে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন।
শুনানির শুরুতে প্রসিকিউশন পক্ষে আইনজীবী আজাদ রহমান আসামির রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করার আর্জি পেশ করেন। প্রসিকিশনের অপর আইনজীবী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সুসংগঠিত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ প্রশংসিত। তখন যুব সমাজকে ধ্বংস করতে ক্রীড়া চক্রের নামে মাদক ব্যবসা করছেন শফিকুল আলম। তার অফিস থেকে ৯৯০ পিস ইয়াবা এবং অস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব। ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।
জবাবে আসামি পক্ষের আইনজীবী মাসুদ এ চৌধুরী অভিযোগ করেন আসামিকে ঘটনার আগে সাড়ে ১১ টায় আটক করা হলেও ৪ টার দিকে অভিযান শুরু করে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।
তিনি বলেন আসামি ডায়বেটিসের রোগী। তাকে সারারাত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়েছে।
অপর আইনজীবী মিজানুর রহমান বলেন, আসামি ২৭ বছর কলা বাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি এবং জনশক্তি রফতানি সংগঠন বায়রার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। অর্থের জন্য তার মাদক ব্যবসা করার প্রয়োজন নেই। তার নির্বাচনী এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্যকে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলন করছেন। রাজনীতির মধ্যে রাজনীতির শিকার তিনি। কারণ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা পর মাদক নিয়ে বসে থাকার মতো নির্বোধ নন এ ক্রীড়া সংগঠক।
এরপর অস্ত্র মামলায় ৫ দিন ও মাদক মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাফটকে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
বেলা ৪ টা ৪০ মিনিটে আদালতে তোলা হয় শফিকুল আলম ফিরোজকে।
শনিবার শফিকুল আলমকে ধানমন্ডি থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। ধানমণ্ডি থানার পরিদর্শক মো. পারভেজ হোসেন জানান শফিকুল আলম ফিরোজের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে শনিবার ভোরে র্যাব বাদী হয়ে মামলা দুটি করে। র্যাব-২ এর পরিদর্শক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ খান মামলা দুটির বাদী।
শফিকুল আলম ফিরোজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বায়রার সিনিয়র সহ-সভাপতি।
শুক্রবার অভিযান চালিয়ে ফিরোজসহ পাঁচজনকে অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে র্যাব।
মামলায় বাকি চারজনকে আসামি করা হয়নি। ওই চারজন কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বেতনভুক্ত কর্মচারী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেনি র্যাব।
ঢাকায় জুয়ার আখড়া বন্ধে অভিযানে নেমেছে র্যাব, যেগুলোর সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসছে।