দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বিমানের ৮ স্টেশন ম্যানেজারকে

  • ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিমানের লন্ডন অফিস, ছবি: সংগৃহীত

বিমানের লন্ডন অফিস, ছবি: সংগৃহীত

আট দেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বিমানের আউট স্টেশন অপারেশন ম্যানেজারদের। আগামী ২ অক্টোবরের মধ্যে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এয়ারলাইন্সের ব্যয় কমাতে এ সংকোচন নীতি নেওয়া হয়েছে।

বিমানের পরিচালনা পর্ষদ সভায় সম্প্রতি এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিমান সূত্রে জানা গেছে, এয়ারলাইন্সে বর্তমানে বিদেশে ১৬টি স্টেশন অপারেশন ম্যানেজারের পদ রয়েছে। এরই মধ্যে দেশে ফিরতে তাদের ট্রান্সফার অর্ডার পাঠানো হয়েছে। ওই অর্ডারে তাদের ২ অক্টোবরের মধ্যে দেশে ফেরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট স্টেশন অপারেশন ম্যানেজারেরা। স্টেশনগুলো হচ্ছে মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, দুবাই, আবুধাবী, জেদ্দা, রিয়াদ, কলকাতা ও দিল্লি।

আটটি স্টেশনে বিমানের নিজস্ব লোকবল দিয়ে কার্যক্রম চললেও সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, কুয়েত, দোহা, মাস্কাট, দাম্মাম, ইয়াঙ্গুন ও কাঠমান্ডু স্টেশনের অপারেশন কার্যক্রম চলছিল আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োজিত কর্মী দিয়ে।

বিজ্ঞাপন

বিমানের লন্ডন অফিসের অপারেশন ম্যানেজারকে ৩৯টি দেশের সিভিল অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে, মালয়েশিয়া অফিসকে ২৭টি, দুবাই অফিসকে ২৫টি সিভিল অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে ফ্লাইট অপারেশন পরিচালনা করতে হয়। বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশে বসে সহজেই এসব কাজ করা যায়।
এ প্রসঙ্গে বিমানের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘অনেক দিন ধরে পর্যালোচনার পরেই বিমান এ সিদ্ধন্ত নিয়েছে। কারণ তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে ঢাকায় বসেই এসব কাজ অনায়াসে করা যায়। এ কারণে এসব স্টেশন ম্যানেজারদের শুধু দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তাই নয়, সেই সঙ্গে এ পদগুলোও বিলুপ্ত করা হচ্ছে।’

শুধুমাত্র বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অপারেশন ম্যানেজারেরাই বিদেশের স্টেশনগুলোতে অপারেশন ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। আর নিয়োগের আগে সাত ধরনের পরীক্ষা দিয়ে প্রত্যেক অপারেশন ম্যানেজারকে লাইসেন্স নিতে হয়। সবগুলো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় মাত্র দেড় বছরের মধ্যে। কেউ চারবার পরীক্ষা দিয়ে ফেল করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পান না। এসব পরীক্ষা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। পদগুলো বিলুপ্ত হলে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটি এ ধরনের প্রক্রিয়ার ঝক্কি ঝামেলা থেকে বেঁচে যাবে।