র্যাগ উৎসবে মুখরিত খুবি ক্যাম্পাস
‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হৃদকোটরের চরম ও পরম আকাঙ্ক্ষার স্থান। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার প্রথম দিন থেকেই সারাদিন গোটা ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ানো, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, সাদা দেয়ালের ক্লাসরুম থেকে শুরু করে খেলার মাঠ, মুক্তমঞ্চ আর অনিকেত প্রান্তর সবকিছু যেনো মিশে আছে হৃদয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হয়ে ওঠেছে মমতাময়ী মায়ের মতো আপন। ছুটির দিনগুলোয় বাসায় গেলেও প্রাণের ক্যাম্পাসে মন পড়ে থাকে।’ আনন্দ আর আবেগ জড়ানো কণ্ঠে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে কথাগুলো বলছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী ১৬’ ব্যাচের শিক্ষার্থী অধরা জামান।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবারের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হচ্ছে র্যাগ-ডে ১৯। তিন দিনব্যাপী র্যাগ ডে’র শেষ দিন আজ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর)। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ তম ব্যাচ বা ‘ওয়ান সিক্স’ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসমাপনী হচ্ছে এবার। র্যাগ ডে’ ১৯ এ মেতে উঠেছে খুবি ক্যাম্পাস।
উৎসবমুখর পরিবেশে ক্যাম্পাসে আনন্দ উদযাপন করছে শিক্ষার্থীরা। এবারের ব্যাচের নামকরণ করা হয়েছে ‘সায়ন্তন ১৬- সহস্র প্রাণের প্রত্যয়ে স্মৃতির উল্লাসে।’
বিদায়ী ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী নাজিয়া আহমেদ অর্চি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আড্ডা, ঘোরাঘুরি, ক্লাস অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে দৌড়াদৌড়ি এভাবে পার হয়েছে জীবনের সব থেকে সেরা দিনগুলো। কখন যে সময় চলে যায় কেউ টের পায় না। চারটি বছর পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেজে উঠেছে বিদায়ের ঘণ্টা। সবকিছুকে ভীষণ মিস করব। হৃদয়ের ফ্রেমে বেঁধে রাখতে চাই জীবনের সব থেকে সেরা দিনগুলোকে।’
র্যাগ উপলক্ষে খুবি'তে মঞ্চ মাতাচ্ছে ব্যান্ড হাসানের দল আর্ক, ওয়ারফেস ও অর্ণব।
এদিকে, র্যাগ-ডে উপলক্ষে খুবি ক্যাম্পাসকে জাঁকজমকপূর্ণ করতে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট, ‘অদম্য বাংলা’ চত্বর, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক, প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, ব্যাংক ভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, ক্যাফেটেরিয়াসহ অধিকাংশ ভবনে রাতে শোভা পাচ্ছে আলোকসজ্জা, সড়কে করা হয়েছে আলপনা, মাঠঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি রঙ দিয়ে সাজানো হয়েছে সবকিছু।
র্যাগ ডে উপলক্ষে খুবি ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অনুষ্ঠান চলাকালীন ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
র্যাগ ডে’র আয়োজকদের মধ্যে আছে মুহিত, সানি, অনিন্দ্য, উজ্জ্বল, তমাল প্রমুখ।