জাবি উপাচার্যকে লাল কার্ড দেখালেন আন্দোলনকারীরা

  • জাবি করেসপডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

উপাচার্যকে লাল কার্ড দেখিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

উপাচার্যকে লাল কার্ড দেখিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের পূর্ব ঘোষিত আল্টিমেটামের শেষ দিনে লাল কার্ড দেখিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এছাড়া আজকের মধ্যে পদত্যাগ না করলে কাল থেকে সর্বাত্মক ধর্মঘটের ঘোষণা দেন তারা।

সোমবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১টায় 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

বিজ্ঞাপন

কর্মসূচিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, 'কমিশন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত উপাচার্য ও তার পরিবারকে আমরা লালকার্ড দেখিয়েছি। আমাদের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থী নিপীড়নকারী, দুর্নীতিবাজ উপাচার্যকে আমরা লালকার্ড দেখাচ্ছি।'

আজকের মধ্যেই উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনকারীরা

 

বিজ্ঞাপন

তিনি আজকের মধ্যে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে আগামী ২ ও ৩ তারিখ সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দেন। ধর্মঘট চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম, ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে পরীক্ষা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে বলে জানান তিনি।

দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভুঁইয়া বলেন, 'আজ আল্টিমেটামের শেষ দিন ছিল। উপাচার্যের দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে আজকে আমরা লালকার্ড দেখাচ্ছি। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা এই ব্যর্থ, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাস ও নিপীড়নকারীদের মদদদাতা উপাচার্যকে আর উপাচার্য ‍হিসেবে দেখতে চাই না। আজকের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করলে যেকোনো ভাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।'

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আদীব আরিফ বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হয়েছে। আমরা বারবার বলেছি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করুন কিন্তু তিনি ভ্রুক্ষেপ করলেন না। আমরা আপনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ আমলে নিয়ে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছি। ঘোষিত সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাকে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপসারণ করা হবে।’

কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ ভূঁইয়া ও অধ্যাপক রায়হান রাইন, অধ্যাপক কামরুল আহসান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস ও অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সোহেল রানা, সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুল জব্বার হাওলাদার, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক খবির উদ্দিন প্রমুখ।

এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেন।