বিনামূল্যে বিদ্যুতের দাবিতে রাস্তায় বিহারিরা
দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকেই রাস্তায় অবস্থান নেন মোহাম্মদপুর বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দারা। বিনামূল্যে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিতের দাবিতেই আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে নিয়মিত ফ্রি বিদ্যুৎ সংযোগের দাবিতে বিহারিরা রাস্তায় অবস্থান নিলে স্থানীয় কাউন্সিল মিজান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের বোঝাতে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে বিকেলে তা নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পুলিশের ওপর হামলার দায়ে ৭ বিহারি আটক
বিহারি ক্যাম্পে বসবাসরতদের অভিযোগ, একমাস যাবত বিদ্যুতের সমস্যা চলছে। দিনের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে গোটা ক্যাম্পে। আর এ সমস্যার প্রতিকার চাওয়ায় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তাদের দাবি, সংঘর্ষে তাদের ১০০ জন আহত হয়েছেন।
তবে পুলিশ বলছে, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখায় বিহারি ক্যাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এতে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে বিহারিরা। পরে শনিবার সকালে তারা আবারও বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে ওঠাতে চেষ্টা করে। এতে তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে, পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: বিহারিদের বিদ্যুৎ বিল বাকি ৩১ কোটি টাকা, সংঘর্ষে ২০ পুলিশ আহত
স্থানীয় বাসিন্দা জাহানারা বেগম বার্তাটোয়েন্টিফোরকে বলেন, ‘একমাস যাবত বিদ্যুতের সমস্যা হচ্ছে। এতো ক্যাম্প থাকতে আমাদের ক্যাম্পেই এই সমস্যা। দিনে দুইবার বিদ্যুত চলে যায়, প্রায় সাত-আট ঘণ্টা বিদ্যুত থাকে না। আমাদের বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারে না। আর বিদ্যুৎ না থাকলে পানিরও সমস্যা হয়।’
আরেক বাসিন্দা সামসুন্নাহার বলেন, ‘ছোট থেকে এখানে বড় হয়েছি, কখনো বিদ্যুৎ বিল দেইনি। এটা তো আমাদের জন্য ফ্রি। কি কারণে এখন বিদ্যুতের সমস্যা হচ্ছে সেটা জানতেই আমরা রাস্তায় নেমেছি। কিন্তু আমাদের ওপর উল্টো হামলা চালানো হয়েছে। ক্যাম্পের ভেতরে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।’
তেজগাঁও বিভাগের ডিসি আনিসুল রহমান বলেন, ‘বিহারিদের মোট ৩১ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা বিদ্যুৎ বিল না দিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। পুলিশের ওপরও ইট-পাটকেল মেরেছে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।’