মামাল্লামপুরামে হেলিকপ্টারে মোদি, সড়কপথে শি জিনপিং!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
হেলিকপ্টারে নয় বরং বিলাসবহুল লিমুজিন গাড়ি ‘হাংশি’তে করে চেন্নাইয়ের মামাল্লামপুরামে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

হেলিকপ্টারে নয় বরং বিলাসবহুল লিমুজিন গাড়ি ‘হাংশি’তে করে চেন্নাইয়ের মামাল্লামপুরামে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টারে নয় বরং বিলাসবহুল লিমুজিন গাড়ি ‘হাংশি’তে করে মামাল্লামপুরামে গিয়েছেন ভারত সফররত চীনের প্রেসিডন্টে শি জিনপিং। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেখানে হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছেন সেখানে চীনা প্রেসিডেন্টের সড়কপথে বৈঠকস্থলে উপস্থিত হওয়া নজর কেড়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমের।

দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ভারতের তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ে পৌঁছান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চেন্নাই বিমানবন্দরে তাকে জাঁকজমক ও স্থানীয় রীতিনীতিতে স্বাগত জানানো হয়।

বৈঠকস্থল ছিল চেন্নাই থেকে ৫৭ কি.মি দূরের মামাল্লামপুরামে। সেখানে যেতে হেলিকপ্টারের বদলে শি জিনপিং বেছে নেন ‘হাংশি’ নামের বিশেষ লিমুজিনকে।

‘হাংশি’ একটি বিলাসবহুল চায়নিজ গাড়ি যেটি মাও সেতুংয়ের সময়কাল থেকে চীনের রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দল কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার (সিপিসি) নেতৃবৃন্দ ব্যবহার করেন। চীনাভাষায় হাংশি শব্দের অর্থ হলো লালপতাকা।

বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, চীনা নেতৃবৃন্দ অনেকটা নিয়ম করেই এখন আর হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন না।

হেলিকপ্টার ব্যবহার না করার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, তারা সাধারণত প্লেন ও গাড়ি ব্যবহার করেন চলাচলে, হেলিকপ্টার নয়।

এমনকি বহুপাক্ষিক বৈঠকগুলো যেমন জি-২০ সম্মেলনেও শি জিনপিং হেলিকপ্টার ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছেন।

সূত্রে জানা গেছে, হেলিকপ্টার ব্যবহার না করার পেছনে রয়েছে আমেরিকার সঙ্গে মনস্তাত্বিক লড়াই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেমন ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে তৈরি ক্যাডিলাক গাড়ি ‘দ্যা বিস্ট’ ব্যবহার করেন, তার সঙ্গে পাল্লা দিতেই শি জিনপিং ‘হাংশি’ ব্যবহার শুরু করেন।

হংকং ভিত্তিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ডে এক রাষ্ট্রীয় সফরে শি প্রথমবারের মতো চীনে প্রস্তুতকৃত বিশেষ এই গাড়িটি ব্যবহার করেছিলেন। সেসময় শি দুটি হাংশি এলফাইফ মডেলের গাড়ি বেছে নিয়েছিল।

চলতি বছরের এপ্রিলে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তিন দেশ সফরেও শি এই বুলেটপ্রুফ হাংশি লিমুজিন ব্যবহার করেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এরমধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট চীনে তৈরি গাড়িকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। চীনা ব্রান্ডের প্রচারণার লক্ষ্যে বিদেশি গাড়ির চেয়ে চীনা গাড়ি ব্যবহারের জন্য কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ও চীনের সঙ্গে যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে তাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনাপণ্যের গুণগত মান নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। চীনা প্রেসিডেন্ট লিমুজিন ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে সে সমালোচনার পাল্টা জবাব হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

বেইজিংয়ের চায়না ফরেন অ্যাফেয়ার্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সু হাও বলেন, সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় সফরগুলোতে হাংশিকে বেছে নেওয়ার কারণ হতে পারে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার কৌশল।

তিনি বলেন, স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আমেরিকানরা বিশ্বাস করে না তাই তারা সবসময় নিজেদের গাড়ি ব্যবহার করে। তবে সেজন্যই যে শি জিনপিং হাংশি ব্যবহার করে সেটার সঙ্গেও পুরোপুরি একমত নই আমি।

কেননা সিপিসির ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবেও জড়িয়ে আছে হাংশি। বিলাসবহুল এ গাড়িটি ১৯৫৮ সালে প্রথম চালু করা হয়।

চীনের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও সফররত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বাহন হিসেবে তখন থেকেই এটি ব্যবহার করা হয় ।

১৯৭০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের ঐতিহাসিক চীন সফরেও মাও সে তুং হাংশি ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু নব্বেইরে দশকের শুরু থেকে চীনা নেতৃবৃন্দ আমদানিকৃত বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার শুরু করেন।

শি ক্ষমতায় আসার পর এক বক্তব্যে বলেন, বিদেশে তৈরি গাড়িতে চড়াটা শোভনীয় নয়। যেখানে নিজেদের দেশেই বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রপ্রধানই তাদের নিজেদের দেশে তৈরি লিমুজিন ব্যবহার করে।

শি’র এই মন্তব্যের পর ২০১৩ সালে চীনের পররষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই হাংশি এইচ৭ মডেলের গাড়ি ব্যবহার শুরু করেন। চীন সফরে আসা রাষ্ট্রীয় বিদেশী অতিথির গাড়িবহরেও হাংশি ব্যবহারের প্রচলন শুরু হয়।

শুক্রবার মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর শি জিনপিং ও তার সফরসঙ্গীরা মামাল্লামপুরামে ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখেন। শনিবার বিকেলে চীনা প্রতিনিধি দল নেপালের উদ্দেশে ভারত ত্যাগ করবেন।

   

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাইসির স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের স্মরণে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এক মিনিট নীরবতা পালন করেছেন।

রোববার (২০ মে) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই পরিষদের অধিবেশনে রাইসি ও তার সঙ্গীদের স্বরণে নীরবতা পালন করা হয়। খবর আল জাজিরার।

মোজাম্বিকের রাষ্ট্রদূত পেদ্রো কমিসারিও আফনসো, যিনি মে মাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি অধিবেশনের শুরুতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্মরণে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের দাঁড়িয়ে এক মিনিটের জন্য নীরবতা পালনের আহ্বান জানান। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সদস্যরা দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

উল্লেখ্য, রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত হয়েছেন।

;

রাইসির মৃত্যু গুরুতর ঘটনা, তবে দেশ এগিয়ে যাবে: মোখবার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুকে গুরুতর ঘটনা বলে মন্তব্য করে ইরানের নতুন অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার বলেছেন, তার মৃত্যুতে আমাদের কাজে কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। দেশ এগিয়ে যাবে।

প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুর পর সোমবার (২০ মে) প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ইরানের নব-নিযুক্ত অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তকে একটি গুরুতর ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু সত্ত্বেও দেশ এগিয়ে যাবে। এজন্য প্রত্যেকেরই তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত। এই মর্মান্তিক ঘটনা কোনোভাবেই আমাদের দেশের সরকার পরিচালনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে না।

রাইসির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জানাজা মঙ্গলবার (২১ মে) তাবরিজে অনুষ্ঠিত হবে। ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে তাসনিম আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি নিহত সফরসঙ্গীদেরও জানাজা হবে সেখানে। তার আগে, মরদেহগুলো তাবরিজের ফরেনসিক বিভাগে রাখা হবে।

উল্লেখ্য, রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত হয়েছেন।

;

রাইসির মৃত্যুতে খামেনির কান্না, বললেন দেশ একজন সেবককে হারাল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন ।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি এবং তার কাছেই ফিরে যাব। দেশ একজন আন্তরিক ও মূল্যবান সেবককে হারাল। খবর রয়টার্সের।

খামেনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সাথে জানাচ্ছি, আমাদের একনিষ্ঠ (ধর্মীয়) আলেম, জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট, ইমাম রেজা (আঃ)-এর সেবক ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গীদের শাহাদাতের তিক্ত সংবাদ পেলাম। আল্লাহ তাদের আশীর্বাদ করুন এবং শান্তি দান করুন।

তিনি বলেন, এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটল তখন তিনি জাতির সেবক হিসেবে কাজ করছিলেন। রাইসি ছিলেন একজন মহৎ ব্যক্তি যিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার স্বল্প সময়ে জনগণ, দেশ ও ইসলামের সেবায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তার কাছে জনগণের কল্যাণ ও সন্তুষ্টি সবকিছুর ওপরে ছিল।

উল্লেখ্য, রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত হয়েছেন।

;

আমাদের হুমকি দেওয়া বন্ধ করুন, চীনকে তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের প্রতি তাইওয়ানকে হুমকি দেওয়া বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে। শপথ নেওয়ার পরপরই তিনি এ আহবান জানান। পাশাপাশি তাইওয়ানের গণতন্ত্রকে মেনে নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। খবর বিবিসির।

তিনি বলেছেন, তাইওয়ান কখনই চীনের হুমকির মুখে আর পিছু হটবে না। তাইওয়ান একমাত্র শান্তির পথ অনুসরণ করতে চায় এবং বেইজিংয়ের উচিত তাইওয়ানের জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করা।

উল্লেখ্য, লাই এবং তার ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) বেইজিংয়ের কাছে অপছন্দনীয়।

তিনি একজন চিকিৎসক থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন লাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

;