খরচ ও সময় কমাতে জুনেই জমির ই-মিউটেশন



আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নাগরিকদের সময় ও খরচ কমাতে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই সারাদেশে জমির ই-মিউটেশন (নামজারি) শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে ৩৪৫টি সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইজ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইজ মাধ্যমে নামজারি করা হবে। ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ই-মিউটেশন চালুর পর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৮ রকম জমির কাগজপত্র স্ক্যান করে ই-মিউটেশন করা যাবে। দেশের অনেক জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম চালুর চেষ্টা করছে ভূমি মন্ত্রণালয়। যদিও মন্ত্রণালয়ে এ কাজের জন্য প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব আছে। তবে এই সেবা চালু করা গেলে নাগরিকরা খুব সহজে ও অল্প সময়ে জমির নামজারি করতে পারবেন।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ইতোমধ্যে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের খরচ কমাতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে ‘স্বল্প সময়’র পরিবর্তে ‘নির্ধারিত সময়’ উল্লেখ করে সংশোধিত পরিপত্র জারির অনুরোধ করেছে। এছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয়ের নোটিশের বিপরীতে নামজারির তথ্য জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে সংগ্রহ এবং এ কার্যক্রম মন্ত্রণালয় ও মাঠ পর্যায়ে দপ্তরগুলো বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘আমরা খুব শিগগির সারা দেশে ই-মিউটেশন কার্যক্রম শুরু করবো। ফলে নাগরিকদের আর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে জমির নামজারি করতে হবে না। ঘরে বসেই ইন্টানেটের মাধ্যমে যেকেউ এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘ই-মিউটেশন চালু করতে পারলে কাগজ পেতে বর্তমানের (৪৫ দিন) চেয়ে কম সময় লাগবে। ফলে একটা স্বচ্ছ, দক্ষ এবং জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য সারাদেশে ই-মিউটেশন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভূমি ইউনিয়ন অফিস থেকে নাগরিকরা মিউটেশনের কপি সংগ্রহ করতে পারেন। এজন্য সর্বোচ্চ ৪৫ দিন এবং মহানগরীয় বাসিন্দাদের জন্য ৬০ কার্যদিবস সময় লাগে। আবেদন ফি জমা দিতে হয় মাত্র ২০ টাকা। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান মিউটেশন সেবা দিতে ব্যর্থ হলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

নামজারির জন্য জমির খতিয়ানের সাটিফাইড কপি, নামজারি জন্য নাগরিকদের মূল দলিলের ফটোকপি, ওয়ারিশদের সনদসপত্র, জমির চৌহদ্দির ফটোকপি, সর্বশেষ জরিপ ফটোকপি, ভূমি উন্নয়ন করের ফটোকপি প্রয়োজন হয়।

   

দিনের শুরুতে তিন মিউচুয়াল ফান্ডে আগ্রহ বিনিয়োগকারীদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস শুরু করেছে দেশের শেয়ারবাজার। প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্য সূচকগুলোর মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। অপরিবর্তিতত রয়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। দিনের শুরুতেই তিন মিউচুয়াল ফান্ডের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি রয়েছে। ডিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক 'ডিএসই এক্স' দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। আর শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সূচক 'ডিএসই এস' এখন পর্যন্ত দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বেড়েছে। তবে বাছাই করা কোম্পানিগুলোর 'ডিএস ৩০' সূচক একই সময়ে দশমিক ৮৫ পয়েন্ট হারিয়েছে।

সূচকের মিশ্র প্রবণতার সঙ্গে শেয়ারবাজারে লেনদেনের গতি কিছুটা কমেছে। প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ২৫৪ প্রতিষ্ঠানের ৪ কোটি ২০ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এসব শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ১২৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। গতকাল (সোমবার) এক ঘণ্টায় এক্সচেঞ্জটিতে ১৪৬ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

বেলা ১১টা পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১০৮টির শেয়ারদরই অপরিবর্তিত ছিল। দর কমেছে ৯২টির। বিপরীতে ৫৪ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার লেনদেনের শুরুতে সবচেয়ে বেশি মূল্যের শেয়ার হাতবদল হয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের। এক ঘণ্টায় কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৫১লাখ টাকা মূল্যের ৬৫ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এখন পর্যন্ত শেয়ারদর বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে তিন মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ইউনিটদর বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর ১ টাকা ১০ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ ফান্ডটির ইউনিট এক দিনের নির্ধারিত সার্কিট ব্রেকার বা দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে।

এছাড়াও প্রাইম ফার্স্ট ফাইন্যান্স মিউচুয়াল ফান্ড ও সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটদরও প্রায় সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করেছে।

;

তিতাস কেনো আবাসিকের গ্যাস বিল বাড়াতে চায়!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমাটিয়ার বাসিন্দা ডা. মনিরুল ইসলাম গ্যাসের প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন। মাসে ৫০০ টাকার গ্যাসেই শেষ করতে পারেন না। মিটার ভাড়াসহ কোন কোন মাসে ৪০০ টাকাতেই চলে যায়।

ডা.মনিরুল ইসলামের আরেকটি বাসা রয়েছে সাভারের অরুনা পল্লীতে। সেখানে কেউ না থাকলেও প্রতিমাসে ১০৮০ টাকা করে বিল দিয়ে যেতে হচ্ছে তাকে। অথচ তার দু’টি সংযোগেই একই বিতরণ প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি অধীনে। মাত্র কয়েক মাইলের ব্যবধানে তার এই দুই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বার্তা২৪.কমকে। আবার তার বাসার উল্টোদিকে ধানমন্ডিতেই মিটারবিহীন গ্রাহকদের বাড়তি বিল দিতে হচ্ছে গ্রাহককে।

তিনি বলেন, আমার লালমাটিয়ার বাসায় ৫ জনের রান্না হয়। কখনই ৫০০ টাকার বেশি রিচার্জ করতে হয়নি। আর যেখানে আমরা থাকি না তারজন্য টানা ৩ বছর ধরে বিল দিয়ে যাচ্ছি। তাও আবার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি।

মনিরুল ইসলাম আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, পত্রিকায় নিউজ দেখি গ্রাহকের পকেট কেঁটে প্রফিট বোনাস নেওয়া হচ্ছে। পত্রিকায় দেখেছিলাম কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গতবছর প্রত্যেকে ১৮ লাখ টাকা করে বোনাস পেয়েছে। আমরা বিল দিয়ে মরি আর তারা টাকার পাহাড় গড়ছে।

প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী রূপনগর আবাসিক এলাকার (রোড ১৯) বাসিন্দা আবেদ আলী বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪ জন। সাড়ে ৩’শ থেকে সাড়ে ৪’শ টাকার রিচার্জে মাস পার হয়ে যায়। গ্যাসের প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা কমবেশি এমনই। যাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি তাদের সর্বোচ্চ ৬’শ টাকা খরচ হচ্ছে।

মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত বিল আদায় করা হয়। যা বর্তমানে দুই চুলা ৬০ ঘনমিটার ও এক চুলা ৫৫ ঘনমিটারের সমান। গ্রাহক ব্যবহার করুক, না করুক অথবা বেশি ব্যবহার করলেও । গ্যাসের বিতরণ কোম্পানিগুলো দশকের পর দশক ধরে বলে আসছে মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকরা গ্যাস বেশি পুড়ছে। এ কথা বলে দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে নেওয়া হয়। তাদের বক্তব্য ছিল মিটার স্থাপন করলে তাদের রাজস্ব বেড়ে যাবে। কিন্তু লালমাটিয়া (২০১৬ সালে) এলাকায় প্রথম প্রিপেইড মিটার বসানো হলে রেজাল্ট এলো উল্টো। দেখা গেলো প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারিদের বিল আসছে দেড়’শ থেকে আড়াই’শ টাকা (তখন মিটারবিহীন গ্রাহকদের বিল ছিল দুই চুলা ৪৫০ টাকা )।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ২০১৬ সালে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বলেছিলেন, প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের পাইলট প্রকল্পের রেজাল্ট ভালো। দুই চুলায় মাসে ৩৩ ঘন মিটার গ্যাস সাশ্রয় হচ্ছে। তখন দুই চুলায় ৭৭.৪১ ঘনমিটারের বিল নির্ধারিত ছিল। অর্থাৎ ৪৫ ঘনমিটার গ্যাস পুড়ছে গ্রাহকরা।

পাইলট প্রকল্পের আগে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপনের তৎপরতা ছিল লক্ষ্যণীয়। কিন্তু এখন যতটা পারা যায় বিলম্বিত করার কৌশলী অবস্থান নিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। ৩৮ লাখ আবাসিক গ্রাহকের মধ্যে ৮ বছরে মাত্র ৪ লাখের মতো মিটার স্থাপন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ধীরে চলো নীতির কারণে গ্রাহক যাতে নিজে কিনে বসাতে পারে সে জন্য চাপ দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বিইআরসি-২০১৮ সালে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আদেশে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের দ্রুত করার আদেশ দেন। গ্রাহক যাতে নিজেরা মার্কেট থেকে মিটার কিনে স্থাপন করতে পারে সেই সুবিধা উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ২০২১ সালে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। সেই নীতিমালায় বলা হয়েছে গ্রাহক নিজের পছন্দমতো দোকান থেকে মিটার ক্রয় করে বিতরণ কোম্পানিতে জমা দেবেন। বিতরণ কোম্পানিগুলো পরীক্ষা করে গ্রাহকের আঙ্গিনায় স্থাপন করবে। তবে নানা জটিলতা দেখিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। বাজারের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে মিটার স্থাপন করছে কোম্পানিগুলো। তাও আবার ঢিমেতালে। কোম্পানিগুলো একে লুটপাটের নতুন খাত হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে।

বিইআরসি গত বছরের মার্চে সর্বশেষ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির উপর গণশুনানি গ্রহণ করে। তখন বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রিপেইড গ্রাহকের ব্যবহারের পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে এক চুলা ৭৩.৪১ ঘনমিটার ও দুই চুলা ৭৭.৪১ ঘনমিটার থেকে কমিয়ে যথাক্রমে ৫৫ ও ৬০ ঘনমিটার করা হয়।

তিতাস গ্যাস বিদ্যমান এক চুলা ৫৫ ঘনমিটার (৯৯০ টাকা) বাড়িয়ে ৭৬.৬৫ ঘনমিটার (১৩৭৯.৭০ টাকা), দুই চুলা ৬০ ঘনমিটার (১০৮০ টাকা) থেকে বাড়িয়ে ৮৮.৪৪ ঘনমিটার (১৫৯১.৯২) করার আবেদন করেছে বিইআরসির কাছে। আবেদনটি চলতি বছরে মে মাসে জমা দিলেও ব্যাপক বিতর্কের পর বিষয়টি অনেকটা ধামাচাপা পড়ে যায়। তবে সম্প্রতি বেশ গোপনে এ বিষয়ে আবার তৎপরতার শুরুর কথা জানা গেছে।

তিতাসের গ্যাস বিল বাড়ানোর প্রস্তাব শিগগিরিই কমিশনের সভায় তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিইআরসি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন।

তিতাস দাবি করেছেন, নির্ধারিত পরিমাণের (৫৫ ও ৬০ ঘনমিটার) চেয়ে মিটারবিহীন গ্রাহকগন বেশি গ্যাস ব্যবহার করে। ফলে সিস্টেম লস বৃদ্ধি পেয়েছে। এক চুলা ৭৬.৬৫ ঘনমিটার ও দুই চুলা ৮৮.৪৪ ঘনমিটার করার আবেদন করা হয়েছে। বিইআরসি আগে যে আদেশ দিয়েছে তা বাস্তব সম্মত ছিল না।

বিইআরসির সাবেক সদস্য (তৎকালীন সদস্য- গ্যাস) মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমারতো মনে হয় ৫০ ঘনমিটারের নিচে করা উচিত ছিল। প্রথমবার জন্য যথাক্রমে ৫৫ ও ৬০ ঘনমিটার করা হয়েছিল। তখন শর্ত দেওয়া হয়, প্রিপেইড মিটার বসানো এবং পরবর্তীতে কমিয়ে আনার।

কিসের ভিত্তিতে ৫৫ ও ৬০ ঘনমিটার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাদের যে সাড়ে ৩ লাখ প্রিপেইড মিটার ছিল সেখানে দেখা গেছে গড়ে ৪৫ এর নিচে ব্যবহৃত হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাড়ে ৩ লাখ মিটারকে বিবেচনা করবেন, নাকি তাদের (তিতাস গ্যাস) ১০০ মিটারকে। কোন বিশেষ এলাকায় যদি বেশি গ্যাস ব্যবহার হয়, তাহলে সেখানে দ্রুত মিটার বসিয়ে দিলেই হয়, তার জন্য ৩৪ লাখ গ্রাহকের বিল বাড়ানো যৌক্তিক হবে না।

মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস বিল বাড়ানোর তোড়জোড় শুরু করেছে বিইআরসি। দু’একজন কর্মকর্তা তিতাস ও পেট্রোবাংলার সঙ্গে যোগসাজসে মাঠে নেমেছেন বলে জানা গেছে। তারা চান দ্রুততার সঙ্গেই তিতাসের আবেদন বাস্তবায়ন করতে।

কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, তিতাসের ওই আবেদনে সাড়া দিতে গেলে বিইআরসিকে অবশ্যই গণশুনানি করতে হবে। গণশুনানি ছাড়া বিল বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। গণশুনানি শুরু হলে সেখানে এ বিষয়ে তথ্য উপাত্ত দিয়ে কথা বলা হবে। বিল বাড়ানোর কোন যৌক্তিকতা দেখি না।

 

;

ভ্রমণ শেষে বেঁচে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রা জমা করলেই মিলবে সুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদেশ থেকে ফিরে আসার পর অনেকেই অবশিষ্ট বৈদেশিক মুদ্রা জমা রাখতে রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট (আরএফসিডি) খোলেন। এসব হিসাবে রাখা বৈদেশিক মুদ্রা ও তার বিপরীতে হিসাবধারীদের সুদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, আরএফসিডি হিসাবে একজন ১০ হাজার ডলার জমা রাখতে পারেন। এখন থেকে এ জমার ওপর ব্যাংকগুলো বেঞ্চমার্ক রেটের সঙ্গে আরও অন্তত দেড় শতাংশ সুদ দেবে। এই হিসাবে জমার বিপরীতে দুটি সাপ্লিমেন্টারি কার্ড ইস্যু করা যাবে। সন্তান বা ভাইবোনসহ তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি সেই কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। এই অ্যাকাউন্ট থেকে দেশের বাইরে শিক্ষার খরচ পাঠানো যাবে। আবার নিজের ওপর নির্ভরশীল তথা- স্ত্রী বা স্বামী, সন্তান, ভাই-বোন, পিতামাতার চিকিৎসার খরচও এখান থেকে বহন করা যাবে।

এর আগে, গত বুধবার অপর এক নির্দেশনার মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশির পাঠানো রেমিট্যান্সের সুবিধাভোগীর নামেও বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। চলমান সংকট কাটাতে বেশি সুদে ডলার আনতে এই সুযোগ দেওয়া হয়। সুবিধাভোগীর নামে খোলা অ্যাকাউন্টে তিন মাস থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে অর্থ রেখে ৭ থেকে ৯ শতাংশের বেশি সুদ পাওয়া যাবে, অন্যান্য দেশের তুলনায় যা বেশি। প্রবাসীর সুবিধাভোগী ছাড়া অন্য যারা বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খুলতে পারেন, তারাও এ হারে সুদ পাবেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দেশের বাইরে ধরে রাখা ডলার আনতে ওই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

;

বাংলাদেশের কৃষিতে সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়ছে: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের কৃষিকাজে সৌরশক্তির ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, ডিজেল চালিত সেচ পাম্পগুলো সৌরচালিত পাম্প দিয়ে প্রতিস্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০৩১ সালের মধ্যে ৪৫০০০টি সৌর সেচ পাম্প ইনস্টল করতে ১.৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুবাইতে বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের নবায়ণযোগ্য জ্বালানি পোর্টফলিওকে, সৌর মিনি-গ্রিড, ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ, সৌর পানীয় জলের ব্যবস্থা, সোলার রূপটপ ইনস্টলেশন, সোলার এগ্রো পিভি, সৌর সেচ, বায়ু বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ দিয়ে বৈচিত্রময় করেছে। ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম রয়েছে। বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে।

তিনি বলেন, ডেল্টা প্ল্যান ১০০ বছরের কৌশল-যা জলবায়ু পরিবর্তনকে একটি কেন্দ্রীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা নিয়েছে। বদ্বীপ ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দিয়ে টেকসই উন্নয়নের প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ করেছে। প্রতিবেশি দেশসমূহ হতে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি আমদানির বিষয়টিও সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা-২০২৩ তে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের জন্য নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারে উন্নত দেশসমূহের প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ দ্রুত ছাড় করা প্রয়োজন। তাছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাষ্ট ফান্ড হতে ৮০০ প্রকল্পে ৪৪৯.৩ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সিদ্দিক জোবায়েরের সঞ্চালনায় ও যুগ্মসচিব নিরোদ চন্দ্র মন্ডলের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, এডিবির কান্ট্রি ডিরেকটর ইডিমন গিনটিং ও ইডকলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর মোর্শেদ বক্তব্য রাখেন।

;