পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে ভোক্তা অধিকার
আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী পেঁয়াজের দাম বাড়ায়। এতে বিপাকে পড়তে হয় সাধারণ ক্রেতাদের। তাই পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার আগেই মাঠে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজের আড়ৎ ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর অন্য বাজারগুলোতেও পেঁয়াজের আড়তে দাম কেজি প্রতি দেশি ৩০ টাকা। আর ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ২২ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা তদারকি করছেন। ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। সরবরাহ থাকার পরও পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট না করে দাম না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের।
বছরে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে শুধু রমজান মাসে ভোক্তার চাহিদা মেটাতে দরকার হয় পাঁচ লাখ টন পেঁয়াজ। রমজানের আগে প্রত্যেক বছরই বাজার অস্থিতিশীল করে তোলে এই পণ্যটি।
পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতা সোহেল রানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, রমজান মাসে এমনিতেই পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে যায় । কোনো ব্যবসায়ী যেন রমজানের আগে পেঁয়াজের দাম বাড়াতে না পারে, সেজন্য সরকারের নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা উচিৎ।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রহমান আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, রমজানকে সামনে রেখে পেঁয়াজের যথেষ্ট সরবরাহ আছে। তাই দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ভোক্তা অধিদপ্তর টিম নিয়মিত বাজার তদারকি করছে। যার ফলে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম।
নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষরা বলছেন, খোলা বাজারে চাল, ডাল, আটা, তেল বিক্রি হলেও তার ক্রেতা অনেক কম থাকে। তাই খোলা বাজারে এগুলোর পরিবর্তে সরকার পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারে; তাহলে রমজানে নিম্নআয়ের মানুষ কম টাকায় পেঁয়াজ কিনতে পারবে।
রমজানে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ সর্ম্পকে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুর জাব্বার বার্তা২৪.কমকে বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন ক্রেতা ঠকাতে না পারে, সেজন্য শুরু থেকেই বাজার মনিটরিং করছি আমরা। ভোক্তাদের কাছে সঠিক দামে সঠিক জিনিস পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।