ঈদ বোনাস: সরকারি নির্দেশ মানছে না গার্মেন্টস মালিকরা!

  • ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঢাকা: ঈদ বোনাসের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে তা আমলে নিচ্ছেন না গার্মেন্টস মালিকরা বলে অভিযোগ করছেন শ্রমিকরা।

বিজ্ঞাপন

১৬ আগস্টের মধ্যে গার্মেন্টস মালিকদের ঈদুল আজহার বোনাস পরিশোধের নির্দেশনা দিয়েছিলো শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সরকারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাত্র ৫০ শতাংশ কারখানা শ্রমিকদের বোনাস দিয়েছে বলে দাবি করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারি লীগ। গত ৯ আগস্ট  শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু ক্রাইসি ম্যানেজম্যান্ট কোর কমিটির বৈঠকে এই নির্দেশনা দেন।

অন্যদিকে ঈদুল ফিতরের আগে ১০ জুনের মধ্যে সকল কারখানায় মে মাসের বেতন পরিশোধের কথা থাকলেও ৬৫ ভাগ কারখানা নির্দিষ্ট সময়ে বেতন দিতে ব্যর্থ হয়। এভাবে প্রতি বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার আগে বেতন বোনাস সংক্রান্ত যে নির্দেশনা শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়, তা মানছেন না গার্মেন্টস মালিকরা। এটা এক ধরনের সংস্কৃতি হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করছেন শ্রমিক নেতারা।

বিজ্ঞাপন

শ্রমিকদের প্রতি মালিকপক্ষের যে উদাসীনতা রয়েছে তার বহিঃপ্রকাশেই  ‘এমন অবহেলা’ বলে মন্তব্য করছেন গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি শ্রমিক নেত্রী মোশরেফা মিশু।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, মালিকদের সমস্যা একবার দুইবার থাকতে পারে। কিন্তু প্রতিবারই সরকারের দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে তারা বেতন বোনাস পরিশোধ করতে পারেন না। ঈদের একদিন আগে বোনাস পরিশোধ করে থাকেন। এতে এ সময়টাতে বিপাকে পড়তে হয় শ্রমিকদের। তারা সরকারের দেওয়া সিদ্ধান্ত কখনোই আমলে নেয় না। কারণ এ সিদ্ধান্ত আমলে না নিলেও সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। আর তাই বারবার এ ধরেনের কাজ করার সুযোগ ও সাহস পাচ্ছেন তারা। সরকারের উচিত এক্ষেত্রে মনিটরিং করা। কিন্তু তারা তা করছে না।

গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারি লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঈদ এলে বোনাস দেওয়ার বিষয়ে শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে একটা সিদ্ধান্ত প্রতিবারই  আসে। আর প্রতিবছরই বেতন বেনাসের ক্ষেত্রে কারখানাগুলোর অনিয়ম দেখা যায়। সব কারখানারই পৃথক পলিসি থাকে। আর সেই পলিসি অনুযায়ী তারা বোনাস দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে তারা সরকারের নির্দেশ আমলে নিচ্ছেন না।

তবে এসব মানতে নারাজ বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাসির। তিনি বার্তা২৪কমকে বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সময় অনুযায়ী বোনাস দেওয়া হচ্ছে কিনা সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। ঈদের আগে বোনাস দেওয়া হচ্ছে কিনা সেটিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেসব কারখানার আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে আছে তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বোনাস দিয়েছেন। যাদের সামর্থ্য নেই তারা পরে বোনাস দিচ্ছে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে শ্রমিকরাই চায় পরে বোনাস নিতে। সেক্ষেত্রে শ্রমিক ও মালিকপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সময় নির্ধারণ করে নেয়।