মিন্নির রিমান্ড ও জবানবন্দির তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

বরগুনায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদনের ওপর মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে জামিন আবেদনের শুনানি হয়।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: রিফাতকে মেরে ফেলবে এমন তথ্য জানত না মিন্নি

শুনানিতে আদালত মিন্নির আইনজীবী জেড আই খান পান্নার কাছে জানতে চান, পুলিশ সুপার যে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন সেটা আসামির (মিন্নি) স্বীকারোক্তি জবানবন্দির আগে ছিল কি না, কতো তারিখে হয়েছিল? আইনজীবী তারিখ জানাতে না পারলে আদালত বলেন, মঙ্গলবার এসব উল্লেখ করে সম্পূরক আবেদন নিয়ে আসুন। এদিন দুপুর ২টায় রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শুনে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানান আদালত।

শুনানিতে আইনজীবী মিন্নিকে গ্রেফতার ও রিমান্ডের বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মিন্নিকে থানা বা জেল হাজতে রিমান্ডে না নিয়ে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছিল। আদালত বলেন, রিমান্ডের আগে না পরে পুলিশ লাইনে নিয়েছিল ? আইনজীবী বলেন, পুলিশ লাইনেই। আদালত বলেন, পুলিশ ফরওয়ার্ডিং তা বলছে না। এখানে সেটা নেই।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: বন্দুকযুদ্ধের কথা শুনেই আলহামদুলিল্লাহ বলেছি: মিন্নি

এর আগে গত রোববার (১৮ আগস্ট) মিন্নির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না আবেদন করেন।

গত ৮ আগস্ট বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চ মিন্নির জামিন আবেদন ফেরত দেন। আদালত জামিন না দিয়ে রুল জারি করতে চাইলে আবেদনটি ফেরত নেন মিন্নির আইনজীবী। মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর গত ৪ আগস্ট জামিন চেয়ে আবেদন করেন হাইকোর্টে।

বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি চেষ্টা করেও রিফাতকে বাঁচাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় প্রথমে মিন্নিকে সাক্ষী করা হলেও এক আসামির জবানবন্দিতে তার নাম আসলে আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।