ফের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে রানিল বিক্রমাসিংহে
৫১ দিন পর পুনরায় প্রধানমন্ত্রীত্ব ফিরে পেলেন রানিল বিক্রমাসিংহে। অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিপালা সিরসেনা জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে সরিয়ে মাহিন্দা রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন। এরপরই দেশটিতে শুরু হয় রাজনৈতিক অস্থিরতা।
একে কেন্দ্র করে নানা বিরোধের সম্মুখীন হয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি ও অবৈধভাবে নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী। এজন্য পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের আয়োজনও করা হয়েছে। অবশেষে সবকিছুর অবসান করে ফের রানিল বিক্রমাসিংহকে তার পদ ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।
রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক টুইটার বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন রানিল বিক্রমাসিংহে।
টুইট বার্তায় তিনি বলেন, 'অসাধারণ বিজয়ের কারণে দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই বিজয় শুধু আমার নয়। এই বিজয় গোটা দলের (ইউএনপি)। এই বিজয় শ্রীলঙ্কার গণতন্ত্রের।'
এদিকে, অক্টোবরে দেশটির প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহকে সরিয়ে মাহিন্দা রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী করেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়েছে রানিল বিক্রমাসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এরই নিমিত্তে পার্লামেন্টে ভোটের আয়োজন করলেও সেখানে বেশিরভাগ সংসদ সদস্য রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
এরপর দেশটির বিচারপতি দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য রাষ্ট্রপতিকে নির্দেশ দেন। অবশেষে টানা ৫১ দিন শেষে জনগণের ভোটে নির্বাচিত রানিল বিক্রমাসিংহকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ফিরিয়ে দিতে অনেকটাই বাধ্য হয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট।
তবে এতে দেশটির মানুষ নতুন সমস্যার গন্ধ পাচ্ছে বলে দাবি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরসেনার প্রতি তীব্র ক্ষোভ ঝেড়েছেন রানিল বিক্রমাসিংহ ও তার দল ইউএনপির নেতাকর্মীরা।
এমতাবস্থায় দেশটির গুরুত্বপূর্ণ দুইটি পদে থাকা দুইজনের বিরোধও তুঙ্গে। এতে যেকোনো সিদ্ধান্তে কিংবা রাষ্ট্র পরিচালনায় একে অপরকে সহায়তা না করলে দেশ পরিচালনায় নতুন সংকট দেখা দিতে পারেও বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছ।