আত্মহত্যায় নারীদের থেকে পুরুষরা দ্বিগুণ এগিয়ে
পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত। কিন্তু এই নিশ্চিত কাজটা অনেকেই স্বেচ্ছায় সেরে ফেলেন। পৃথিবীর প্রতি সকল বিষাদ, অভিমান ও ঘৃণাকে উপেক্ষা করতে অনেকেই বেঁচে নেয় আত্মহত্যার পথ। আদিম যুগ থেকেই মানুষ স্বেচ্ছায় নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়ে আসছেন।
তবে ১৯৯০ সালের পর থেকে মানুষের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা তিন ভাগের এক ভাগ কমেছে বলে দাবি করছেন একদল গবেষক।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ কর্তৃক প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য দেয়া হয়। ফ্রান্সভিত্তিক বার্তা সংস্থা এক প্রতিবেদনে গবেষণাটির মূল উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে।
গবেষণায় উঠে আসে, প্রতিবছর সারাবিশ্বে প্রায় ৮ লাখ মানুষ নিজেদের প্রাণ নিজেরা কেড়ে নেন। তবে সুখের বিষয় হচ্ছে পূর্বে যেখানে প্রতি লাখে ১৬ মানুষ নিজেদের হত্যা করত। এখন সেটা কমে ১১ তে নেমে এসেছে। শতকরা হারে ৩২.৭ শতাংশ কমেছে।
গত তিন দশকে পৃথিবীতে মানুষের পরিমাণ বলার মত বাড়লেও বাড়েনি আত্মহত্যা করার প্রবণতা। তবে নারীদের তুলনায় পুরুষদের মাঝে আত্মহত্যা করার প্রবণতা অনেক বেশি। নারীদের থেকে পুরুষদের মাঝে আত্মহত্যা করার প্রবণতা দ্বিগুণ বেশি।
যেখানে প্রতি লাখে ৭ জন নারী আত্মহত্যা করে। বিপরীতে প্রতি লাখে ১৫.৬ জন পুরুষ নিজেদের জীবন বিসর্জন দেয়।
আত্মহত্যার বিষয়ে গবেষকরা বলছেন, ‘আত্মহত্যা এমন এক হত্যা যেটি আমরা চাইলেই রোধ করতে পারি। তবে এর জন্য আমাদের প্রচেষ্টাগুলো চলমান থাকতে হবে।‘
এদিকে আত্মহত্যা করার তালিকায় শীর্ষের দিকে থাকা দেশ চীনেও আত্মহত্যা কমেছে ৬৪.১ শতাংশ। জিম্বাবুয়েতেও প্রায় দ্বিগুণের বেশি কমেছে।