চীনের সবচেয়ে উঁচু স্থানের মসজিদ
চীনে ইসলাম প্রচারের ইতিহাস সুপ্রাচীন। চীনে ইসলাম আগমন সম্পর্কিত যেসব তথ্য পাওয়া যায়, তা থেকে এটা বুঝা যায়, খ্রিস্টীয় ৬২২ সনের কাছাকাছি কোনো একটা সময়ে (হিজরি ৩ সনে) চীন উপকূলে ইসলাম প্রচারকরা আগমন করেন।
এরপর বিভিন্ন শতকে আরব বণিকদের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার-প্রসার ঘটে। তাদের প্রভাবে তখন থেকে চীনের মানুষ ইসলামি ভাবধারায় উজ্জীবিত হয়ে দলে দলে মুসলমান হতে থাকে।
চীনে বর্তমানে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ। এ সংখ্যা অনেক আরব দেশের জনসংখ্যার তুলনায় বেশি। যদিও চীন সরকার দীর্ঘদিন ধরে মুসলমানদের ওপর দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। মানবাধিকার কর্মীরা এর প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন।
যেহেতু চীনের মুসলমানের সংখ্যা অনেকে, সেহেতু দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে মসজিদ রয়েছে। এমনই একটি মসজিদ হলো- হেবালিন মসজিদ।
এই মসজিদটি চীনের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল তিব্বতের লাসায় সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ৬৫০ মিটার উচুতে অবস্থিত। বলা হয়- এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত
১৭১৬ সালে মসজিদটি প্রথম নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৫৯ সালে পুনরায় সংস্কার করা হয়।
হেবালিন মসজিদ কমপ্লেক্সের তিনটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। এর মোট আয়তন ২ হাজার ৬০০ বর্গমিটার। মসজিদটিতে নামাজের স্থান, পাই বিল্ডিং, বাঙ্কার বিল্ডিং, অজুখানা ও গোসলখানাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
মসজিদটি ঐতিহ্যবাহী জাং স্থাপত্যশিল্পের সঙ্গে স্থানীয় ও ধর্মীয় বৈশিষ্টের সম্মিলনে নির্মিত। এর স্তম্ভ ও চূড়া তিব্বতীয় স্টাইলে নির্মিত। আর মসজিদের ভেতরের অংশ ইসলামিক স্থাপত্যরীতি মেনে ফুল ও বিভিন্ন গাছ আঁকা হয়েছে।