আমার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই: আল্লামা শফী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শুকরানা মাহফিলে মোনাজাত করছেন আল্লামা শফী, ছবি: সুমন শেখ, বার্তা২৪.কম

শুকরানা মাহফিলে মোনাজাত করছেন আল্লামা শফী, ছবি: সুমন শেখ, বার্তা২৪.কম

আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, আমি দ্ব্যার্থহীনভাবে বলতে চাই আমার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। রাজনৈতিক কোনো প্লাটফরম ও দলের সঙ্গে আমার এবং হেফাজত ইসলামের নীতিগত কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মনে রাখবেন, মুসলমানদের ঈমান আকীদা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষাই হেফাজতে ইসলামের মূল লক্ষ্য। হেফজত ইসলামের নীতি ও আদর্শের উপর আমরা অটল ও অবিচল আছি। তাই আমি আমার কর্মকৌশল ও সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ নেই। আমার বক্তব্য ও বিবৃতিকে কেন্দ্র করে অপব্যাখ্যা ও মিথ্যাচার করার অবকাশ নেই।

রোববার (৪ নভেম্বর) আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত শুকরানা মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বেফাকের যুগ্ম মহাসিচব মুফতি নুরুল আমিন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/04/1541331288918.jpg

বিজ্ঞাপন

শাহ আহমদ শফীর লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে নানা ফেতনাও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে মুসলামানদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ ও বিবাদ বাড়ছে। আমাকে ও হেফাজত ইসলামকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যাচার ও প্রোপাগাণ্ডা চালাচ্ছে। কোনো কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সোশাল মিডিয়া বা ব্যক্তি বিশেষের কথায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকা সময়ের দাবি উল্লেখ করে আল্লামা শফী বলেন, ‘মুসলিম উম্মাহর বর্তমান সঙ্কটকালে উলামায় কেরাম, ছাত্র সমাজ ও সর্বস্তরের মানুষের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সীসাঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সনদের স্বীকৃতির মাধ্যমে তোমাদের সামাজিক অবস্থান সুদৃঢ় ও উজ্জ্বল হয়েছে। তোমাদের দ্বীনি খেদমতের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজেদের মেধা ও প্রতিভা কাজে লাগিয়ে সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করায় সাহসিকতার সঙ্গে তোমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

আল্লামা শফী বলেন, কওমি মাদরাসা মূলত জনগণেরই প্রতিষ্ঠান। জনগণ আতঙ্ক হয় কিংবা বিভ্রান্ত হয়ে এমন কোনো কাজ সঙ্গতভাবেই কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকগণ করে না করতে পারে না। জনগণের নৈতিক ও আত্নিক উন্নতি সাধনই তাদের অন্যতম কাজ।

কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সনদের স্বীকৃতি দেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘ইসালাম ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন। আপনার শাসনামলেও লাখ-লাখ কওমি আলেম সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দ্বারা ধন্য হয়েছে। আপনার এই অসামান্য অবদান ইতিহাসের সোনালী পাতায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আল্লামা আশারাফ আলী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ, মাওলানা আজহার আলী আনোয়ার শাহ, আল্লামা ফরিদউদ্দীন মাসউদ, আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা সুলতান জওক নদভীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেন আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ মাদানী, মাওলানা আব্দুল বছির, ও মাওলানা নুরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল জয়নুল আবেদিন ও আল্লামা আবদুল কুদ্দুসসহ অনেকে।