ভালো দাম পাওয়ায় খুশি আলু চাষিরা
নীলফামারীতে এবার আগাম জাতের আলু উত্তোলন প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলছে মধ্যবর্তী সময়ের আলু উত্তোলন। গত কয়েক বছর লোকসান হলেও এবার ভালো ফলন ও কাঙ্ক্ষিত দাম পেয়ে চাষিদের চোখে মুখে হাসি ফুটেছে। ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছে তারা।
জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর ও সদরে আলু চাষিরা উঁচু শ্রেণির জমিতে আগেভাগেই আগাম জাতের গ্রানুলা, লরা, সেভেন, মিউজিকা, ক্যারেজ, রোমানা ও পাকরি জাতের আলু চাষ করেছে।
বিশেষ করে জলঢাকার বালাগ্রাম, মিরগঞ্জ, কাঠালী, শৌলমারী, কৈমারী ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা, চাঁদখানা, বাহাগিলী ও নিতাই ইউনিয়নের চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছে আলু ক্ষেতে। এখন চাষিরা ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলন ও বিক্রি করছে।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, জেলায় এবার ২১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২২ হাজার ৮১২ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের ছয় হাজার ২১২ হেক্টর জমির আলু ইতোমধ্যে ঘরে তুলেছে চাষিরা। হেক্টর প্রতি গড় ফলন হয়েছে ১৫ দশমিক ১২ টন। এবারে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ লাখ টন।
জলঢাকা উপজেলার চাষি আতিকুর রহমান বলেন, ‘আবহাওয়া ভালো থাকায় অন্য বছরের তুলনায় এবার আলুর ফলন ভালো হয়েছে। তাছাড়া শুরু থেকে দামও ভালো আছে। এখন একটু কমলেও ভালোই লাভবান হচ্ছি।’
কিশোরগঞ্জের বড়ভিটা মধ্যপাড়ার চাষি মশিউর রহমান মাজু বলেন, ‘বিঘা প্রতি জমিতে বীজ, চাষ, সার, ওষুধ, সেচ, আলুর আল তৈরি ও উত্তোলনসহ খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। আর বিক্রি করেছি ২৫ হাজার টাকায়।’
জেলা শহরের নতুন বাজার হোলসেল মার্কেটের আলু ব্যবসায়ী মতিন ইসলাম জানান, বর্তমানে আলুর জাত অনুযায়ী মণ প্রতি ৫৫০-৮০০ টাকা দামে বেচাকেনা হচ্ছে। চাষিরা মোটামুটি ভালো দাম পাচ্ছে। কারণ এবার রোগবালাই ছাড়া অল্প খরচে আলুর ভালো ফলন হয়েছে।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম আজাদ বার্তা২৪.কমকে জানান, গত বছরের তুলনায় আগাম জাতের আলুর ভালো ফলন হয়েছে। বিশেষ করে এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষিরা গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলে আশা করেন তিনি।