সাক্ষাৎকারে আশির দশকের তারকা ফুটবলার আশীষ ভদ্র



বার্তা২৪ টিম
আশির দশকের তারকা ফুটবলার আশীষ ভদ্র/ছবি: সুমন শেখ

আশির দশকের তারকা ফুটবলার আশীষ ভদ্র/ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের সন্তান আশীষ ভদ্র, আবাহনীতে ১৯৮১ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত খেলেছেন। মাঝখানে এক বছর মোহামেডানে। দীর্ঘ সময়ে আবাহনীতে খেলা দেশ সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন।

তার সেই সোনালী দিনগুলো কেমন ছিলো, কি ছিলো সাফল্যের কৌশল- এসব নিয়ে কথা হয় বার্তা২৪ এর সঙ্গে।

বার্তা২৪: খেলার স্মৃতিগুলো বলুন…

শীষ ভদ্র:  ১৯৭৮ সালে জুনিয়ার টিমে চান্স পেয়ে যাই। তারপর সিনিয়র টিমেও চান্স পেয়ে গেলাম। শুরু হলো ফুটবল লাইফ। তারপর প্রি ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফাই ক্যাপ্টেন। এশিয়ান গেইমস ব্যাংকক, চায়না, ইন্ডিয়া, সিউলে এশিয়ান গেইমসে আমি খেলেছিলাম। ৯১ এ পযর্ন্ত নিয়মিত সদস্য হিসেবে খেলেছি জাতীয় দলে।

বার্তা২৪: অধিনায়কত্ব বেশি কষ্ট না ট্রাইবেকার পেনাল্টিতে খেলা কষ্ট?

আশীষ ভদ্র: পেনাল্টি মারাটা অনেক কষ্টকর। বিশেষ করে আবাহানী–মোহামেডানে যখন ম্যাচ হয়। এমন একটা অভিজ্ঞতা ছিলো। ক্যাপ্টেনসি থেকে ট্রাইবেকার মারা অনেক কঠিন। এটা একটা থ্যাকসলেস জব। ব্রাদারসের সঙ্গে পেনাল্টি মিস করে সালাউদ্দিন ভাইয়ের ক্যারিয়ার চলে গেলো।

বার্তা২৪: ক্যারিয়ার বিশাল অংশ খেলেছেন আবহানীতে অন্য কোথায় নয় কেন?

আশীষ ভদ্র:আমি সফট টাচের ফুটবল পছন্দ করতাম। তখন ওদের ফুটবলের আমি ফ্যান হয়ে গেলাম। ইচ্ছা হলো আবাহনীতে খেলবো। তাদের পাসিং গেপ তৈরি করা। স্মল পাসিং ভালো লাগতো।

বার্তা২৪: কার অবদান বেশি ছিলো ক্লাবে খেলতে?

আশীষ ভদ্র: ৮১ তে জয়েন করেছি। শেখ কামাল জন্ম দিয়েছেন এ ক্লাব। তখন উমর ভাইয়ের মুখে শুনেছি শেখ কামাল ভাই খেলার ব্যাপারে অনেক উৎসাহী। আমাদের তাকে দেখার সুযোগ হয়নি। তিনি ক্লাব ঠিক রাখতেন। ক্লাব ক্লিন রাখা এবং খেলাধূলার সামগ্রীতে ভরে রাখতেন।

বার্তা২৪: ঘুরিয়ে পাস দেওয়া এটা কিভাবে কোথায় শিখলেন?

আশীষ ভদ্র: কিছু তো হয়তো হয়ে গেছে স্বাভাবিকভাবে। আর কিছু চেষ্টা করতাম অনুশীলন করার। খেলায় খুব কার্যকর হয়ে যেতো। যখন আসলামের সঙ্গে খেলতাম তখন ওটা বেশ ইউটিলাইজ করতে পারতো। ও বলটা দিতো। ওই পাস আউটফুট কাভিং পাস বলে- বা পায়ে মারতে হতো, সেটা ডান পায়ে মারতাম আরকি।

   

জয় দিয়ে মৌসুম শেষ হলো বার্সার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩-২৪ মৌসুমের শেষভাগটা খুব একটা ভাল কাটেনি বার্সেলোনার। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির কাছে হেরে বাদ পড়া, লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে পয়েন্টে পিছিয়ে যেয়ে শিরোপা হাতছাড়া হওয়া, সবশেষে তাদের কোচ জাভির ছাঁটাই। সব মিলিয়ে একটা বাজে সময়ই পার করছে কাতালান ক্লাবটি।

তবে মৌসুমে নিজেদের শেষ ম্যাচে গতরাতে সেভিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বার্সা, যেখানে ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে তারা। কোচ জাভির অধীনে এটিই ছিল তাদের শেষ ম্যাচ, শেষ ম্যাচটায় জয়ের দেখা পাওয়ায় খুশি হয়েছেন কোচও।

বার্সেলোনার হয়ে এদিন ১৫তম মিনিটে প্রথম গোলটি করেছেন রবার্ট লেভানডোভস্কি। প্রথমার্ধের আগেই গোল পরিশোধ দেয় সেভিয়া। তবে বিরতির পর ফারমিনের গোলের মাধ্যমে এগিয়ে থেকেই ম্যাচ শেষ করে বার্সা, তুলে নেয় জয়।

এই জয়ের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে থেকে মৌসুম শেষ করল বার্সা। ৮৫ পয়েন্ট হয়েছে তাদের। অপরদিকে শীর্ষে টাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৯৫।

;

মাঝরাতে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বিসিবি

ছবি: বিসিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য একের অধিক দল বেশ কয়েকদিন আগেই প্রকাশ করেছে তাদের নতুন জার্সি। খুব স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের সমর্থকরাও অপেক্ষায় ছিল কবে উন্মোচিত হবে টাইগারদের নতুন জার্সি। অবশেষে রবিবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অফিশিয়াল পেজ থেকে উন্মোচন করা হলো আসন্ন বিশ্বকাপে টাইগারদের নতুন জার্সি।

কেন এই অসময়ে রাতে, যখন প্রায় অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েছিল, তখন জার্সি প্রকাশিত হলো এ নিয়েও হচ্ছে নানা আলোচনা। বাংলাদেশের সব কিছুতেই যেন দেরি দেখল ক্রিকেটবিশ্ব। প্রথমে স্কোয়াড ঘোষণায় দেরি হলো, এরপর বাকি সব দলের জার্সি উন্মোচিত হয়ে গেল ক্কিন্তু বিসিবির এই বিষয়ে কোনো সাড়াশব্দ নেই। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হলো।

কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ জার্সির একটা ছবি ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। সবুজ জমিনের ওপর সেখানে ছিল বাঘের জলছাপ, হাতায় ছিল লাল স্ট্রাইপ, সঙ্গে লুকোচুরি ছিল হালকা হলুদ রঙেরও। আজ প্রকাশিত জার্সিটায় সেখান থেকে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। দূর থেকে দেখে জার্সিটাকে ওইরকম বলেই মনে হয়েছে। 

রিবিবার দিবাগত রাতে জার্সির ছবিটি বিসিবি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করে, যেখানে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সবাই হাসিমুখে জার্সি প্পরিধান করে বসে আছেন দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের সময়টা অবশ্য ভালো কাটছে না। বিশ্বকাপের ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরেছে সিরিজ। 

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হেরে সময়টা যেন ভাল কাটছে না টাইগারদের। অবশ্য এই ব্যর্থতা ভুলে সামনে ভাল কিছুর লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে চান শান্তরা। আগামী ৮ জুন নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। 

;

টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় স্কুল ক্রিকেট🏏

ফাইনাল

কে জি ইউনিয়ন–কদমতলা পূর্ব বাসাবো

সকাল ৯টা 📺 টি স্পোর্টস

বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি 🤼‍♂️

গ্রুপ পর্ব

বিকেল ৫টা 📺 টি স্পোর্টস

ফ্রেঞ্চ ওপেন 🎾

প্রথম রাউন্ড

বিকেল ৩টা 📺 সনি স্পোর্টস টেন ২ ও ৫

জার্মান বুন্দেসলিগা ⚽

উত্তরণ–অবনমন ম্যাচ

ডুসেলডর্ফ–বোখুম

রাত ১২–৩০ মিনিট 📺 সনি লিভ

সৌদি প্রো লিগ ⚽

আল নাসর–আল ইত্তিহাদ

রাত ১২টা 📺 টি স্পোর্টস

;

হায়দরাবাদকে গুঁড়িয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কলকাতা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইনাল বুঝি এভাবেই জিততে হয়! কলকাতা নাইট রাইডার্স তা করে দেখাল বটে। টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে ফাইনালে আসা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে গুঁড়িয়েই দিল রীতিমতো। ১১৩ রানে অলআউট করে তাদের ডোবাল আইপিএল ফাইনালের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার গ্লানিতে। এরপর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সে রান তাড়া করে ফেলল মোটে ৬৩ বল খেলে, ৮ উইকেট হাতে রেখে। আর তাতেই এক দশক পর আবারও আইপিএলের শিরোপা যাচ্ছে কলকাতায়। আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

এবারের আইপিএলে যেখানেই অধিনায়ক কামিন্স টস জিতেছেন, প্রায় সব দিনই নিয়েছেন ব্যাট করার সিদ্ধান্ত। নেবেনই বা না কেন? দলের ওপেনিং জুটিতে যখন থাকবে ট্র্যাভিস হেড আর অভিষেক শর্মার মতো দুজন, তখন পাওয়ারপ্লেতে সাঁড়াশি আক্রমণ চালিয়ে প্রতিপক্ষের টুঁটি চেপে যে কোনো অধিনায়কই চাইবেন।

তবে এমন চাওয়া যে সব দিন কাজে দেয় না, তার প্রমাণটা তো হায়দরাবাদ পেয়েছিল কোয়ালিফায়ারেই! এই কলকাতার বিপক্ষেই শুরুতে ব্যাট করে ধসে পড়েছিল দলটার ব্যাটিং লাইন আপ। সেই ভুলটা ফাইনালেও হলো। এবার আরও বড় পরিসরে। 

ইনিংসের প্রথম ওভারেই মিচেল স্টার্কের নিখুঁত এক ডেলিভারি স্টাম্প উপড়ে দেয় অভিষেক শর্মার। সে বলটা যেন আঘাত হানল গিয়ে সোজা হায়দরাবাদের আত্মবিশ্বাসেও। পরের ওভারে বৈভব অরোরা তুলে নিলেন ট্র্যাভিস হেডের উইকেট। ৬ রান তুলতে দুই ওপেনারকে খুইয়ে বসে হায়দরাবাদ। গোটা আইপিএল জুড়ে যে দলটা পাওয়ারপ্লেতে ভয়ের দোকান সাজিয়ে বসেছে সব দলের জন্য, সেই দলটা কি-না আইপিএল ফাইনালে পাওয়ারপ্লেতে তুলতে পারল মোটে ৪০, তাও ৩ উইকেট খরচায়!

সে ধাক্কাটা থেকে আর বেরোনো হয়নি হায়দরাবাদের। এইডেন মার্করাম, হাইনরিখ ক্লাসেনরা মিডল অর্ডারে ছিলেন বলে একটা আশার প্রদীপ জ্বলছিল হায়দরাবাদের। তবে নারাইন, রাসেলদের তোপের সামনে সে প্রদীপ নিভতে সময় নেয়নি। ৭৭ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে এক পর্যায়ে তো দুই অঙ্কে শেষ হয়ে যাওয়ার শঙ্কাই তৈরি হয়েছিল দলটার।

শেষমেশ সে শঙ্কা থেকে দলটাকে উদ্ধার করেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে সে ২৪ রানের ইনিংস দলকে তিন অঙ্কে নিয়ে যায় বটে, কিন্তু আইপিএল ফাইনালে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়া থেকে হায়দরাবাদকে উদ্ধার করতে পারেনি। ১১৩ রানে অলআউট হয়ে নতুন নজির গড়ে আইপিএল ২০১৬ এর চ্যাম্পিয়নরা। 

ম্যাচ তো কার্যত ওখানেই শেষ! তবু প্যাট কামিন্স একটা আশা জাগিয়েছিলেন সুনীল নারাইনকে দ্রুত ফিরিয়ে। তবে সে আশাটাও উবে যেতে সময় নেয়নি। কলকাতা বিষয়টা সামলে নেয় ভেঙ্কটেশ আইয়ার আর ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে। তাদের ৯১ রানের জুটি ম্যাচের বাকি অনিশ্চয়তাটুকুও শেষ করে দেয়। দলীয় ১০২ রানে যখন গুরবাজ ফিরলেন, তখন জয়ের বন্দরটা থেকে হাতছোঁয়া দূরত্বে কলকাতা। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার নেমে শুধু দলের জাহাজটাকে টেনে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। তাতে ৮ উইকেটে ম্যাচটা জিতে ১০ বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মাতে কলকাতা।

;