হাতুড়েসিংহের কাছে ফেরা আর ‘হাতুড়ে চিকিৎসা’ একই কথা!



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
বিসিবি’র উৎসাহী একটা অংশ কোচ হিসেবে চাইছে হাতুড়েসিংহেকে

বিসিবি’র উৎসাহী একটা অংশ কোচ হিসেবে চাইছে হাতুড়েসিংহেকে

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ কোচের পদের চাকরির জন্য কোনো দরখাস্ত করেননি চন্ডিকা হাতুড়েসিংহে। আবেদন পত্র জমা দেয়ার তারিখ অনেক আগেই শেষ। এমনকি হাতুড়েসিংহে ব্যাক ডেটেও কোনো দরখাস্ত জমা দেননি।

কিন্তু তারপরও বিসিবি’র উৎসাহী একটা অংশ তাকে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের কোচ হিসেবে পেতে আগ্রহী!

তাও যেনতেন ভাবে আগ্রহী নয়, একেবারে নিজস্ব উদ্যোগে ঢাকা থেকে কলম্বোতে হাতুড়েসিংহের সঙ্গে ফোনে কথা বলে। আলোচনা প্রথম ধাপ এর মধ্যেই শেষ!

অথচ বিসিবির টেবিলে এখনো কিন্তু হাতুড়েসিংহের চেয়েও হাইপ্রোফাইল কোচের দরখাস্ত জমা পড়েছে। এদের বায়োডাটা এবং কোচিং ক্যারিয়ারের সাফল্য জানাচ্ছে হাতুড়েসিংহে এদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে।

কিন্তু ‘টেন্ডারে’ অংশ না নেয়া হাতুড়েসিংহেকেই আবার বাংলাদেশ কোচের কাজটা দেয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে বিসিবির একটা অংশ।
 
প্রশ্ন হলো- কোচ হাতুড়েসিংহের কাছে বিসিবি কি এমন যাদুমন্ত্র দেখতে পেয়েছিলো যে তাকে আবার ফিরিয়ে আনার জন্য তার কাছেই উল্টো দরখাস্ত ঠুকতে হবে?

একটা বড় অভিযোগ কারণ হিসেবে আলোচিত হচ্ছে, আর তা হলো কমিশন বাণিজ্য! মোটা বেতনে তাকে বাংলাদেশ কোচের চাকরিটা দিতে পারলে তার এজেন্টের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন মিলবে!

আর তাই উপযাজক হয়ে তাকে কোচের পদে ফেরানোর এমন নিয়ম ভেঙ্গে উঠে পড়ে লাগা! পরীক্ষার ফর্মই যিনি কিনেননি, তাকে পরীক্ষায় প্রথম করিয়ে দেয়ার দু’নম্বরি চিন্তা!
 
কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাতুড়েসিংহে এমন আহামরি কিছুই ছিলেন না। মূলত বাংলাদেশে কোচ হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তার নামটা কোচদের তালিকায় একটু আলাদা ভাবে উচ্চারিত হতে শুরু করে। এটা ঠিক যে তার কোচিং কালে বাংলাদেশের ক্রিকেট দল বেশ ভালো সাফল্য পায়। তবে তাতে কোচ হিসেবে তার যতখানি না ভূমিকা তারচেয়ে বেশি এই সাফল্যের পেছনে ছিলো বাংলাদেশের সিনিয়র পাঁচ ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স। সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ এবং মাশরাফির সেরা সময় তিনি বাংলাদেশ কোচের দায়িত্ব পান।

কোচ মাঠের বাইরে দলের পরিকল্পনা ঠিক করে দেন। কিন্তু মাঠে তো ক্রিকেটারদেরই পারফরম্যান্স করতে হয়। ড্রেসিংরুম বা ল্যাপটপের পাশে বসা কোচ কোনো ক্রিকেট ম্যাচ জেতায় না। ম্যাচ জেতায় ২২ গজের ক্রিকেটাররা।

এই হিসেবটাই বুঝতে না পেরে হাতুড়েসিংহের জমানায় আসা সাফল্যকে বিসিবি পুরোটাই ‘কোচের কৃতিত্ব’ভাবতে শুরু করে দেয়। আর তাই তাকে এতো বেশি ক্ষমতায়ান করা হয় যা তাকে কোচ নয়, স্বৈরশাসকেই পরিণত করে।

এক সময় তিনি নির্বাচকদের পাত্তা না দেয়া শুরু করেন। দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধুমাত্র তামিম ইকবাল ছাড়া বাকি চারজনের সঙ্গেই তিনি ঝগড়া বাঁধিয়ে বসেন।

বিস্তারিত উদাহরণ দিলে এই রিপোর্টের আকার প্রবন্ধ হয়ে যাবে!

মাশরাফিকে টি-টুয়েন্টিতে তিনি শুধু অধিনায়ক না, দলেই রাখতে চাননি। বোর্ডকেও সেই ফতোয়া গেলান হাতুড়েসিংহে। আর তাই হঠাৎ একরাতের সিদ্ধান্তে মাশরাফি টি-টুয়েন্টি থেকে সরে দাড়ান।

কোচিংয়ের শেষ অ্যাসাইনমেন্টে ২০১৭ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক রহিমের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলেন কোচ হাতুড়েসিংহে। মাঠের ফিল্ডিং পজিশন কি হবে সেটা ড্রেসিংরুম থেকে কোচ ঠিক করে দিতেন। অধিনায়ক যেন পুতুল শুধু! মুশফিককে তিনি ফিল্ডিং করতে পাঠান বাউন্ডারি লাইনে। অধিনায়ক হিসেবে সেটাই ছিলো মুশফিক রহিমের শেষ সিরিজ।

সাকিব আল হাসান তিন নম্বরে ব্যাট করুন এটা কখনোই চাননি তিনি, এই পজিশনে বারবার সাব্বিরকে প্রমোট করতে চেয়েছেন হাতুড়েসিংহে। তিনে ফিরার জন্য সাকিবকে তার চলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। আর তিনে ফিরে যেন নিজেকেও ফিরে পেলেন সাকিব, বিশ্বকাপে যার ফল পেয়েছে বাংলাদেশ।
 
মুমিনুল হকের ব্যাটিংয়ের মধ্যে কোচ হাতুড়েসিংহে এত বেশি খুঁত খুঁজে পেয়েছিলেন যে তাকে তিনি টেস্ট দল থেকে একসময় বাদ দেন। একজন ব্যাটসম্যানের ব্যাটিংয়ে ভুলত্রুটি থাকতেই পারে। কোচের কাজই সেটা শুধরে দেয়া। কিন্তু হাতুড়েসিংহে সেটা না করে মুমিনুলকে বাদ দেয়ার মধ্যে সমাধান খুঁজলেন। তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট করার জন্য যা করার সবাই করলেন।

সেই মুমিনুল হক জবাবটা ঠিকই দিলেন ব্যাট দিয়ে। শ্রীলঙ্কার কোচ হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন হাতুড়েসিংহে। সেই সফরে প্রথম টেস্টেই মুমিনুল উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জানিয়ে দিলেন তাকে নিয়ে অবিচার করেছিলেন হাতুড়েসিংহে।

ঘরোয়া ক্রিকেটের একটা ম্যাচও না দেখতেন না তিনি। অথচ তিনি নির্বাচক প্যানেলের সবচেয়ে প্রভাবশালী কর্তা! চরম স্বেচ্ছাচারিতার উদাহরণ তৈরি করেন কোচ হাতুড়েসিংহে। বিসিবি সভাপতি ছাড়া বোর্ডেরও কাউকে তেমন পাত্তা দিতেন না কোচ। অথচ তিনি ছিলেন বোর্ডের একজন চাকুরে! পুরো ড্রেসিংরুমে দমবদ্ধ করা একটা পরিবেশের উদ্ভব হয় তার সময়ে। চোখ গরম হেডমাষ্টারের পদবী জুটে হাতুড়েসিংহের নামের পাশে।

বিশ্বকাপের আগেভাগে হঠাৎ করেই চাকরি ছেড়ে শ্রীলঙ্কায় নিজ দেশের কোচের পদে ফিরে যান হাতুড়েসিংহে। আকস্মিকভাবে তার এই চলে যাওয়ায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ পরিকল্পনা সঙ্কটে পড়ে। কিন্তু মেয়াদ পুরো না করে পেশাদারিত্বের গল্প ফেঁদে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে হাতুড়েসিংহে চলে যান।

শ্রীলঙ্কায়ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার বিবাদ লেগেই ছিলো। তার সময়ে তিনজন অধিনায়ককে বদল করেন তিনি। চান্দিমাল-ম্যাথুস-মালিঙ্গা, কোনো সিনিয়রের সঙ্গে তার বনিবনা হয়নি। অবস্থা এমন দাঁড়ায় বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক পাওয়াই মুশকিল হয়ে পড়ে। চার বছর পর দলে ফিরিয়ে এনে দিমুথ করুনারত্নেকে অধিনায়ক করতে হয়। শ্রীলঙ্কায় কোচ হিসেবে ব্যর্থ হাতুড়েসিংহে এখন চাকরিহারা হয়ে বিপদে।

কোচ হিসেবে হাতুড়েসিংহে আসলে সমাধান নয়, উল্টো সমস্যার অন্য নাম।

   

৫৮ বলে ম্যাচ জিতে সানরাইজার্সের ইতিহাস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্দান্ত, অবিশ্বাস্য, অতিমানবীয়- আইপিএলের চলতি মৌসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটিং দেখে আপনার মুখ দিয়ে নিশ্চয়ই এই শব্দগুলোই বারবার উচ্চারিত হচ্ছে। হবে না-ই বা কেন! যেভাবে ব্যাট হাতে একের পর এক কীর্তি গড়ছেন ট্র্যাভিস হেড-অভিষেক শর্মারা। চলতি মৌসুমে আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের কীর্তি তো এরই মধ্যে গড়েছে হায়দরাবাদ। এবার সবচেয়ে কম বল খেলে সবচেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়ার রেকর্ডও নিজেদের করে নিয়েছে তারা।

লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের দেয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্য মোটে ৯.২ ওভার বা ৫৮ বলের মধ্যে স্পর্শ করেছে হায়দরাবাদ। পুরুষদের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এমন কীর্তি আর কারো নেই।

হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় লক্ষ্ণৌ। ভুবনেশ্বর কুমারদের দাপটে শুরুর ১০ ওভারে সুবিধা করতে পারেনি তারা। এই সময়ে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৩ উইকেটে ৫৭ রান। তবে ইনিংসের দ্বিতীয়ভাগে ক্যারিবিয়ান ব্যাটার নিকোলাস পুরান ও আয়ুশ বাদোনির ৯৯ রানের ঝোড়ো জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা। ২০ ওভারে তাদের রান দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৬৫।

আয়ুশ ৩০ বলে ৯ চারে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন, পুরানের ব্যাটে আসে ২৬ বলে ৪৮* রান। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে স্রেফ ১২ রান খরচায় ২ উইকেট নেন হায়দরাবাদ পেসার ভুবনেশ্বর।

আইপিএলে এবার প্রায় ম্যাচেই রানের ফোয়ারা ছুটছে ঠিক, তবে ১৬৫ রানের সংগ্রহ একেবারে মামুলি নয়। ভালো বোলিং আক্রমণ থাকলে এই গোছের লক্ষ্য দিয়ে সফল হওয়ার দৃষ্টান্ত আছে। তবে 'ভালো বোলিং'টা আর করতে পারলেন কই লক্ষ্ণৌয়ের বোলাররা!

১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার হেড এবং অভিষেকের ব্যাট হয়ে উঠল খাপখোলা তলোয়ার। ৩০ বলে সমান আটটি করে চার-ছয়ে ৮৯ রান করলেন হেড। অভিষেক সমান সংখ্যক চারের সঙ্গে দুটি ছয় কম হাঁকিয়ে ২৮ বলে ৭৫।

তাদের অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে ১০ উইকেটের বড় জয়ে হায়দরাবাদ প্লে-অফের পথে আরেকটু এগিয়ে গেল। এই জয়ে ১২ ম্যাচ থেকে তাদের পয়েন্ট এখন ১৪, টেবিলে অবস্থান তৃতীয়।

;

ইউরোপীয় ফুটবলের পাট চুকিয়ে ঘরে ফিরছেন সিলভা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০০৯ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স ছেড়ে ইউরোপীয় ফুটবলে পাড়ি জমিয়েছিলেন থিয়াগো সিলভা। ইউরোপে পনেরোটি সফল বছর কাটিয়ে আবার সেই ‘ঘরে’ ফিরে যাচ্ছেন ব্রাজিলের সাবেক অধিনায়ক। চলতি মাসেই পেশাদার ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লুমিনেন্সে যোগ দেবেন তিনি।

চেলসির সঙ্গে চলতি মৌসুমের ৩০ জুন পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে সিলভার। ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্লুমিনেন্সে নাম লেখাবেন তিনি। তবে ১৯ মে চেলসির জার্সিতে মৌসুমের শেষ ম্যাচ খেলার পরপরই তাকে ফ্লুমিনেন্সে যোগ দেয়ার অনুমতি দিয়েছে ইংলিশ ক্লাবটি।

বিবিসি স্পোর্ট জানিয়েছে, ফ্লুমিনেন্সের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি হয়েছে সিলভার। পেশাদার ক্যারিয়ার শুরুর আগে থেকেই ফ্লুমিনেন্সের সঙ্গে সম্পর্ক তার। একসময় ক্লাবটির যুব দলে খেলেছেন। পেশাদার ক্যারিয়ারে প্রথমে ২০০৬ সালে ডায়নামো মস্কো থেকে ধারে এবং পরবর্তীতে ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ফ্লুমিনেন্সে কেটেছে তার।

এরপর ইউরোপের তিন দেশের তিন জায়ান্ট ইতালির এসি মিলান, ফ্রান্সের পিএসজি এবং ইংল্যান্ডের চেলসির জার্সিতে দীর্ঘ দেড় দশক মাঠ মাতিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।

;

বায়ার্নের ‘ভয়ে’ শিরোপা উৎসব স্থগিত রেখেছে রিয়াল!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চার ম্যাচ হাতে রেখে লিগ শিরোপা জয় করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবু এখনো শিরোপা উৎসব করছে না ক্লাবটি। কারণ? চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্ন মিউনিখ যে তাদের চোখ রাঙাচ্ছে। বায়ার্নের মাঠে প্রথম লেগ ২-২ ড্র হওয়ায় সব হিসাব-নিকাশ দ্বিতীয় লেগের জন্য তোলা। তাই তো নিজেদের লিগ শিরোপা উৎসবকে আপাতত স্থগিত রেখে বায়ার্ন ম্যাচ নিয়ে ভাবছে রিয়াল।

এই তথ্যটি দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল। লিগ শিরোপা জয়োৎসব পিছিয়ে দেয়ার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘(লিগ শিরোপা) উদযাপন না করাটাই ঠিক কাজ ছিল। সামনে একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। সপ্তাহান্তে আনন্দ-উৎসব করার অনেক সময় পাওয়া যাবে। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিই।’

আজ (বুধবার) দিবাগত রাতে বায়ার্নকে হারিয়ে দিতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠে যাবে রিয়াল। সেখানে তাদের জন্য অপেক্ষা বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। জার্মান ক্লাবটিকে হারাতে পারলে রেকর্ড ১৫তম বারের মতো ইউরোপসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারবে তারা।

তবে ফাইনাল এখনো দূরের ভাবনা। সেখানে যেতে আজ বায়ার্ন মিউনিখকে হারাতে হবে তাদের। বুন্দেসলিগার শিরোপা হাতছাড়া বায়ার্ন এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগকেই পাখির চোখ করেছে। তবে বায়ার্নের এই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখেই শিরোপার স্বপ্নে বুঁদ রিয়ালের স্প্যানিশ ফুলব্যাক কারভাহাল, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়ে আমরা মুখিয়ে আছি। আবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরা থেকে আমরা স্রেফ দুই ম্যাচ দূরে দাঁড়িয়ে।’

আজ রাত একটায় সান্তিয়াগো বের্নাবিউতে ফাইনালের টিকিট কাটতে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ।

;

বল ব্যাটে লেগেছে তাতেই খুশি লিটন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাসকে অদ্ভুত এক নেশায় পেয়ে বসে। স্কুপের নেশা! ব্লেসিং মুজারাবানির করা এক ওভারে টানা তিনবার এই শট খেলার চেষ্টা করেন। প্রথমবার বল ব্যাটে ছোঁয়াতে পারেননি। তৃতীয় প্রচেষ্টায় বল ব্যাটে লাগলেও আঘাত হানে স্টাম্পে গিয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যখন লিটন এমন স্কুপ খেলা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, তখন লিটন বল ব্যাটে লাগাতে পেরেই সন্তুষ্টির কথা জানালেন।

দীর্ঘ সময় ধরে ফর্মে নেই লিটন দাস। ‘বিকল্পের অভাবে’ তবু জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। চলতি জিম্বাবুয়ে সিরিজেও তিন ম্যাচে তার পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক নয়। এর মধ্যে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্কুপ নিয়ে তার ‘পাগলামি’তে খেপেছেন ভক্তরা। তবে লিটন সেসব গায়ে মাখছেন না, ‘আমি উদ্বিগ্ন না। দেখেন (বল) ব্যাটে লেগে স্টাম্পে লেগেছে। এটা যদি ওদিক দিয়ে চলে যেত তাহলে বাউন্ডারি পেয়ে যেতাম।’

লিটন ইতিবাচক তার ফর্মে ফেরা নিয়েও, ‘দেখা যাক (জিম্বাবুয়ে সিরিজে) আরও দুটো ম্যাচ আছে। আশা করি সামনেই আমার ব্যাট হাসবে।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩ বলে ১ রান আসে লিটনের ব্যাটে। পরের ম্যাচে ২৩ রান করতে খরচ করেন ২৫ বল। আর সবশেষ ম্যাচে ১৫ বলে ১২ রান করে স্কুপ খেলতে গিয়ে দৃষ্টিকটুভাবে আউট হন। এমন পারফরম্যান্সের পরও অবশ্য সিরিজের শেষ দুই টি-টোয়েন্টির স্কোয়াডে টিকে গেছেন লিটন। বিশ্বকাপের আগে নিজেকে মেলে ধরার এই সুযোগ লুফে নিতে পারবেন এই ব্যাটার?

;