শিক্ষার্থীদের স্যালুট, তাদের জন্য আইন পাশ হচ্ছে: কাদের

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ এবং পরিবহন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ এবং পরিবহন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শিক্ষার্থীদের স্যালুট জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা রাস্তায় নেমেছিলো বলে সড়ক পরিবহন আইন আলোর মুখ দেখেছে। সরকারের শেষ সংসদ অধিবেশনে আইনটি পাশ হবে।

তবে তড়িঘড়ি করে এ আইন করায় বিভিন্ন ত্রুটির বিষয় বিশেষেজ্ঞরা তুলে ধরলে মন্ত্রী বলেন, সংসদীয় কমিটিতে এই আইন যাবে। তখন বিশেষজ্ঞদের ডাকা হবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ এবং পরিবহন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘সংসদের ২২তম অধিবেশনই হবে ১০ম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন। এরপর সংসদের আর কোনও অধিবেশন বসবে না। এমপিদেরও কোনও পাওয়ার থাকবে না।’

হঠাৎ করে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় মন্ত্রী বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ এবং পরিবহন নেতাদের কাছে পরামর্শ চান।

এ সময় শুরুতেই নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোনের প্রধান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘ওভারটেক এবং আনফিট গাড়ির কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। চালকদের শাস্তি ৭ বছরের জায়গায় ১০ বছর করার দাবি জানান নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।

বিনা লাইসেন্সে চালক গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যা করলে তার ৩০২ ধারায় শাস্তি দাবি করেন তিনি।

এছাড়া চালক এবং হেলপার দু’জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি করতে হবে। ইন্স্যুরেন্সের বিষয়টিও নতুন আইনে তেমন মনোযোগ দেওয়া হয়নি- বলেন ইলিয়াস কাঞ্চন।

বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর মিজানুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় চালকদের বেপরোয়া মনোভাব দায়ি। এর কারণ চুক্তিভিত্তিতে গাড়ি চালানো। যে দুর্ঘটনায় আমরা সজাগ হয়েছি সে দুর্ঘটনারও এ কারণে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মুম্বাই আর ঢাকার শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব সমান। মুম্বাইতে প্রতিটি বাস দিনে ১ হাজার ৩৩০ জন যাত্রী নেয়। আর ঢাকায় একটি বাস মাত্র ৫০০ যাত্রী নেয়। ফ্রাঞ্চাইজি‘র ভিত্তিতে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা কমবে। কারণ কোম্পানি হলে বাসের যাত্রী বাড়বে। মুনাফাও বাড়বে মালিকদের।  তখন প্রতিদিন ৫০০ যাত্রীর  জায়গায় ১২শ থেকে ১৩শ নেওয়া যাবে।

স্থপতি মোবশ্বের বলেন, প্রথমে মহাসড়ক করার আগে সার্ভিস রোড করতে হবে। সড়কে পাশে শিল্প কারখানা, বাজার সরাতে হবে। ডিজাইনে এগুলো হয় কিন্তু বাস্তবে হয় না-বলেন তিনি।

গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সড়ক পরিবহন আইন পুনর্বিবেচনা করা হোক। অনেক ত্রুটি রয়ে গেছে এ আইনে।

বাস মালিক নেতা ফারুক তালুকদার সোহেল বলেন, দুর্ঘটনার বড় কারণ  প্রতিযোগিতা। এরজন্য ফ্রাঞ্চাইজি বাস চালু করতে হবে। হাজার হাজার গাড়ি আনা সমাধান নয়। গাড়ি চালাবে কারা। গাড়িগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করবে কারা। আগে এগুলো নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে ৪ হাজার ৫ হাজার গাড়ি এনে লাভ নেই।

সভায় বিআরটিএ চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান বলেন, মধ্যম মানের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স নিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত চালানো যাবে এরপর আর চালানো যাবে না।