প্রতিদিন ২৬০টি নতুন মোটরসাইকেল নামছে ঢাকায়



সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ঢাকার রাস্তায় বেড়েছে মোটর সাইকেলে যাত্রী টানার সংখ্যা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকার রাস্তায় বেড়েছে মোটর সাইকেলে যাত্রী টানার সংখ্যা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রনের কোন ব্যবস্থা নেই সরকারের হাতে। আর যাত্রী টানার ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল চালকদের যে নিবন্ধনের ব্যবস্থা তাও শুরু হয়নি। এ অবস্থায় দিনে ঢাকার সড়কে ২৬০টিরও বেশি নতুন মোটরসাইকেল নামছে। আর এসব মোটরসাইকেলের অধিকাংশই যাত্রী টানার কাজ করছে। অন্যদিকে মোটরসাইকেল বাড়ায় দুর্ঘটনাও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি’র (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকায় পৌনে এক লাখের মত নতুন মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এ হিসেবে দিনে এ সংখ্যা ২৬০। ২০১৭ সালের পুরো বছরেও এত মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়নি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/21/1540108217910.jpg

মোটরসাইকেরে সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাও বাড়ছে। অ্যাপভিত্তিক ‘পাঠাও’এ মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে গত ১৫ অক্টোবর মিরপুরে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন কলেজ শিক্ষার্থী সুমন। হাসপাতলে নেওয়ার পর তার বাম পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এতেও তার জীবন রক্ষার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। সুমনের মোটরসাইকেলে যাত্রী ছিলেন জাহিদ হাসান (২৫)। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এই শিক্ষার্থীর দুটি পা থেঁতলে গেছে। সুমনের মতো জাহিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট-এআরআই’র হিসাবে ২০১৭ সালে রাজধানীতে ৪৮টি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় ৫৩ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হন। এ বছরের অক্টোবর শেষ হওয়ার আগেই সেই সংখ্যা পেরিয়ে গেছে। এ সময়ে ঢাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অর্ধশতাধিক মৃত্যু ও বহুসংখ্যক আহত হয়ে হাসপাতালে ও বাসায় পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।

বুয়েটের নগর পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘২০১৭ সালের রিভাইস স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (আরএসটিপি) অনুযায়ী মোটরসাইকেল ঢাকার যানজটের সমাধান নয়, এটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলা হয়েছে।’

‘ঢাকার রাস্তায় মোটরসাইকেল আপাত দৃষ্টিতে একটি সমাধান বা অনেকের কাছে ভালো মনে হলেও সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এখন সমস্যা বের হচ্ছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/21/1540108253168.jpg

বিআরটিএ চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান জানান, রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোর কারণে মোটরাসইকেল নিবন্ধন আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেড়ে গেছে। এখন রাইড শেয়ারিং নীতিমালা রয়েছে। নতুন মোটরসাইকেল দিয়ে এক বছর পর্যন্ত রাইড শেয়ার করা যাবে না-এমন বিধানও নীতিমালায় রয়েছে। নিবন্ধনের প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হলে এসব বিধি বিধান কঠোরভাবে পালন করা হবে।’

গণপরিবহণ বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার গণপরিবহণের ভালো বিকল্প তৈরি করতে পারেনি বলে মোটরসাইকেল বেড়ে যাচ্ছে। তবে মোটরসাইকেল অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাহন। যেখানে দুর্ঘটনায় শরীরের ৩০ শতাংশের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে বেশিরভাগ তরুণ হতাহত হয়, যারা জাতির ভবিষ্যৎ। তবে রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থায় মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে ‘কারপোলিং’ চালু করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।’

বর্তমানে ‘উবার’, ‘পাঠাও’, ‘সহজ’ ছাড়াও আরও তিন থেকে চারটি অ্যাপ সক্রিয়ভাবে মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং করছে। মোটরাসইকেল রাইড শেয়ারিংয়ের সঙ্গে ‘কার পোলিং’ নিয়ে নতুন আরও একটি অ্যাপ বড় বাজেটে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

‘ওয়েজ’ নামে এই অ্যাপের প্রধানদের একজন সাজ আহমেদ শাহরিয়ার জানান, সরকার যেহেতু এসবের জন্য নীতিমালা করে দিয়েছে, সেহেতু তারা নীতিমালা মেনেই নামছেন। ডিসেম্বরের আগে ঢাকার রাস্তায় পাওয়া যাবে ওয়েজ-এর মোটরসাইকেল ও প্রথমবারের মত কার পোলিং রাইড।

   

ভাঙনে সব হারানোর পর আসে জিও ব্যাগের 'সান্ত্বনা'



কল্লোল রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে চলছে তিস্তার ভাঙন। গত সপ্তাহ খানেকের ভাঙনে ৫০ টিরও বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। কেউ ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব, কেউবা হারিয়েছেন একমাত্র ফসলী জমি। ভাঙনের তীব্রতা কমার পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তৎপরতা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর জন্য শুধুই 'সান্ত্বনা' বলছে এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, ভাঙনের আগে শুষ্ক মৌসুমে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়না। বিপরীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী কাজের বরাদ্দ নেই। ভাঙন শুরু হলেই কেবল জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন ঠেকানো হয়।

শনিবার (২২ জুন) দুপুরে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তিস্তাপাড়ের ভাঙনকবলিত কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখে বার্তা২৪.কম। চোখে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের আহাজারি। বাড়ির মালিকদের সাথে বাড়ি সারাতে ব্যস্ত শ্রমিকেরা। ভাঙনে নিশ্চিত বিলিন হবে জেনে কাটা হচ্ছে ছোট-বড় সব গাছ। এসব গাছ বিক্রি হচ্ছে অর্ধেকেরও কম দামে। এই ইউনিয়নের চতুরা গ্রামের কালিরহাট বাজার ও বাজারে অবস্থিত কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও ভাঙন ঝুঁকিতে। মাত্র কয়েক মিটার দুরেই তিস্তার চোখ রাঙানি বলে দিচ্ছে বিদ্যালয়টির সময় ফুড়ানোর বার্তা। বিদ্যালয় ও বাজারটিকে রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড এই দিনেই প্রথম জিও ব্যাগ প্রস্তুত করার কাজ শুরু করেছে। তবে, উদ্যোগকে লোক দেখানো বলছেন এলাকাবাসী।

বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে চলছে তিস্তার ভাঙন।

এই গ্রামের বাসীন্দা জাহেরুল ইসলামের সাথে দেখা হয় বাজারের পাশে একটি ভিটায়। কয়েকদিন আগেও যেখানে বসতি ছিলো, সেই ভিটের অর্ধেক এখন তিস্তার দখলে। তিনি বলেন, এটা আমার বাড়ি ছিলো। কয়েকদিন আগে সব শেষ হয়েছে। কিছু গাছ কাটার আগেই নদী খেয়ে নিয়েছে। পাশের স্কুলে গিয়ে উঠেছি। এখন আমার কোথাও যাওয়ার যায়গা নেই। ভাঙনের আগেই যদি সরকার ব্যবস্থা নিতো তাহলে আমাকে নিঃস্ব হতে হয়না। আজকে কিছু জিও ব্যাগ এনে আমাদের সান্ত্বনা দেয়া হচ্ছে। এগুলো এই স্রোতে টিকবেনা।

পাশেই বাড়ি সরিয়ে নিতে সকাল থেকেই কাজ করছেন নমিতা রানী। অসুস্থ্য স্বামীকে পাশের বাসায় রেখে এসে একাই বাড়ির আসবাবপত্র গোছাচ্ছেন তিনি। কাজ করতে করতে বলছিলেন, গত শুক্রবারও নদী অনেক দূরে ছিলো। এত দ্রুত ভাঙবে আশা করিনি। মেয়ে ক্লাস টেনে পড়ে। এই যায়গা ছাড়া আর কোনো যায়গা নাই। মেয়ের বিয়ে নিয়ে টেনশন করি নাকি থাকা নিয়ে ভাবি। এই অসুস্থ্য স্বামী আর জুয়ান মেয়কে নিয়ে এখন কোথায় থাকবো। বাজারে জিও ব্যাগ দেখে আসলাম। ওগুলো কিছুদিন আগে আনলেও বাড়িটা রক্ষা করা যেতো।

বাজারে জিও ব্যাগ আনার খবরে দূর থেকে নিজের ভিটে দেখতে এসেছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, যেখানে জিও ব্যাগ রেখেছে নদীতে ফেলার জন্য, সেটা আমার জমি। এখানে আমার বাড়ি ছিলো। ভাঙনে বাড়ি সরিয়ে নিয়েছি। গতবছর এখানে জিও ব্যাগ ফেলার পরেও ভেঙে গিয়েছে। ব্যাগ গুলো নদীর স্রোতে সরে যায় নাহলে দেবে যায়। বন্যার সময় এগুলো দিয়ে কাজ হবেনা। কিছুদিন পর নষ্ট হবে।

রিভারাইন পিপলের পরিচালক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও ডিন নদী গবেষক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বাংলাদেশ অংশে তিস্তার প্রায় ৩২ কিলোমিটার ভাঙনপ্রবণ এলাকা রয়েছে। এগুলো স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার বেশি লাগেনা। এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার সম্পদ সাশ্রয় করা সম্ভব। কিন্তু উত্তরাঞ্চলের প্রতি সরকারের মনোযোগ কম থাকার কারণে তিস্তার জন্য বিশেষ কোনো বাজেট থাকেনা। এটি সরকারের হেয়ালিপণা। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে বালির বস্তা দিয়ে যে ব্যবস্থা নেয় সেটা খুব কাজে আসেনা। এটা চরম সংকটে সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছু নয়।

জনগণের অভিযোগ ও অস্থায়ী ভাঙন ঠেকানোর ব্যবস্থা নিয়ে কথা হয় রাজাহাট উপজেলা অংশের তিস্তা নদীর দ্বায়িত্বে থাকা কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানি'র সাথে। তিনি বলেন, রাজারহাট উপজেলায় ৪-৫ টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সবথেকে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালীর হাট এলাকা। আমরা ইতোমধ্যে সেখানে ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ প্রস্তুত করছি। রোববার থেকে জিও ব্যাগ নদীতে ফেলা হবে। যতটা দরকার হবে ততটাই সেখানে দেয়া হবে।

তিনি আরাও বলেন, এগুলো জরুরি কাজ। যখন যেখানে সমস্যা হয় আমরা সেখানে চলে যাই। বর্ষা মৌসুমের আগে বরাদ্দ দেয়না স্যারেরা। এটা একটা ক্ষণস্থায়ী কাজ। নদীতে ব্লক দিয়ে বাধ দেয়া আমাদের স্থায়ী কাজ। যেটা প্রায় সব মৌসুমে চলে। তিস্তায় আমাদের নিজস্ব একটা স্টাডি চলমান। সেটা হলে আমরা প্রকল্প পেশ করবো। সেই বরাদ্দ না আসা পর্যন্ত তিস্তায় স্থায়ী কাজ হচ্ছেনা।

;

বগুড়ায় বৃদ্ধকে ড্রেনে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় মারপিটের পর ড্রেনে চুবিয়ে ইউনুছ আলী (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২২ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়নের বালা কৈগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে৷

নিহতের নাম ইউনুস আলী ওই গ্রামের মৃত রিয়াজউদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় মুরগির খামারী ছিলেন।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) শাহীনুজ্জামান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের ছেলে গোলাম রসুল জানান, 'গত বৃহস্পতিবার আমার মানসিক বিকারগ্রস্ত বড় ভাই শাহীনের সাথে প্রতিবেশী ওহাব আলীর স্ত্রীর সাথে রাস্তায় ধাক্কা লাগে৷ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকালে ওহাব আলীসহ আরও কয়েকজন মিলে আমার বড় ভাই শাহীনকে মারধর করে। পরে সন্ধ্যার দিকে আমি এবং আমার বাবা ইউনুস আলী এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গেলে তারা প্রথমে আমাকে মারধর করে। এসময় আমার বাবা এগিয়ে গেলে তাকে মারধর করে এবং ড্রেনের কাদার ভিতরে মাথা চুবিয়ে হত্যা করে।'

পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) শাহীনুজ্জামান বলেন, ইউনুস আলীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলার নিচে আঘাতের চিহ্ন আছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে প্রতিবেশী ওহাব আলীর সাথে তার ছেলে শাহিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে ইউনুছ আলীকে মারধর করে ড্রেনে চুবিয়ে মারা হয়েছে। ঘটনার পরপরই ওহাব আলীর পরিবারের সবাই পালিয়ে গেছে।

;

চুয়াডাঙ্গায় পানিতে ডুবে বাকপ্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় পানিতে ডুবে খাদিজা খাতুন (৭) নামের এক বাকপ্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের একটি খাদ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের লিটন আলীর মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে খাদিজা বাড়ির নিকটে খাদের পাশে খেলা করছিল। এর কোনো এক সময়ে শিশুটি খাদের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। সন্ধ্যায় মেয়েকে কোথাও দেখতে না পেয়ে মা নাজমুন্নাহার বিভিন্ন স্থানে তাকে খুঁজতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই খাদের মধ্যে খাদিজার স্যান্ডেল ও মাথার চুল ভাসতে দেখেন। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে খাদ থেকে খাদিজার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত শিশু খাদিজা লিটন আলী-নাজমুন্নাহার দম্পতির একমাত্র মেয়ে।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, খাদের পানিতে পড়ে বাঁচ্চাটির মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ও লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

ইঞ্জিন বিকল হয়ে ৩ ঘণ্টা ট্রেন বন্ধ, স্টেশন ভাঙচুর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার লালমাই রেলস্টেশন এলাকায় চট্টগ্রাম অভিমুখী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকলের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ট্রেনটি প্রায় ৩ ঘণ্টা আটকে থাকার পর চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার আগ-মুহুর্তে কিছু যাত্রী রেলস্টেশনের অফিসে পাথর ছুঁড়ে ভাঙচুর করে।

শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিকল্প রেলপথ থাকায় এ ঘটনায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়নি।

লালমাই রেলস্টেশন সূত্র জানায়, শনিবার বিকেলে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস কমিউটার ট্রেনটি লালমাই স্টেশন এলাকায় আসলে হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে আরেকটি ইঞ্জিন এনে ওই স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। এ সময় কিছু যাত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রেনের ছাদ থেকে পাথর ছুঁড়ে স্টেশনের অফিস ভাঙচুর করে।

এ ঘটনার পর লালমাই রেলস্টেশনের দায়িতপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি।

কুমিল্লা রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, লালমাই স্টেশনে গিয়ে ট্রেনটি চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ দাঁড়িয়ে যায়। পরে লাকসাম থেকে বিকল্প একটি ইঞ্জিন এসে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ট্রেনটি কুমিল্লা ছেড়ে গেছে। তবে স্টেশন ভাঙচুরের বিষয়টি জানা নেই।

;