আলোচনায় এখন ‘মন্ত্রিসভা’



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
সচিবালয়-সংগৃহীত।

সচিবালয়-সংগৃহীত।

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরের অবস্থানে আছে তাদের নির্বাচনী শরিক জাতীয় পার্টি। তৃতীয়স্থানে আছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

নির্বাচনের ভোটের আলোচনার পর দৃষ্টি এখন মন্ত্রিসভার দিকে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের মন্ত্রিসভা কেমন হতে পারে? কোন চমক থাকছে কি-না? এই আলোচনা এখন নানা মহলে।

বেসরকারি ফলাফলে, আওয়ামী লীগ ২৫৭, জাতীয় পার্টি ২২, বিএনপি ৫,গণফোরাম ২, বিকল্পধারা ২, ওয়ার্কার্স পার্টি ২, জাসদ ২, তরিকত ফেডারেশন ২, জেপি ১, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৪টি আসনে জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনী সহিংসতার কারণে স্থগিত করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে নির্বাচন। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর মৃত্যূতে নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে গাইবান্ধা-৩ আসনের নির্বাচন।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই মুহূর্তে নবনির্বাচিত এমপিরা এলাকায় অবস্থান করছেন। দু’একদিনের মধ্যেই তারা ঢাকায় চলে আসবেন। এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন মেয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপরই মন্ত্রীসভার বিষয়টি সামনে আসবে।

শেখ হাসিনার মন্ত্রীসভায় মানেই নিত্যনতুন চমক। যার শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ওই বছরের ২৩ জুন। সে সময় প্রধানমন্ত্রী প্রথম সর্বদলীয় সরকার গঠনের আগ্রহ প্রকাশ করে বলেছিলেন, আমরা সকলে মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিতে চাই। তখন জাতীয় পার্র্টির ১ জন, জাসদের ১ জন এমপি মন্ত্রিসভায় যোগদান করেন। মাঝামাঝি সময়ে এসে বিএনপি’র দু’জন নেতা মন্ত্রিসভায় যোগদান করেন। যদিও তাদেরকে বিএনপি দল থেকে বহিস্কার করে দেয়।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। তখন মহাজোটের শরিক দলগুলোকে নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেন।

দশম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ওই সময়েও মন্ত্রিসভায় প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির ৩ জন, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও জেপির একজন করে নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করে চমক দেখান।

একাদশ সংসদেও  বিপুলসংখ্যক আসন নিয়ে শপথ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। মন্ত্রিসভায় এবার রাজপথের বিরোধীদল বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট থেকে কেউ থাকছে কি-না সে গুঞ্জন নানা মহলে। আবার জাতীয় পার্টি বিরোধীদল হলে গতবারের মতো মন্ত্রিসভায় থাকবেন কি-না সে বিষয়ে চলছে নানা রকম মুখরোচক আলোচনা। তাদের শরীকদল থেকে কে কে থাকছেন সে নিয়েও অনেক হিসেবে নিকেশ। গতবারের কোনো মন্ত্রী বাদ পড়ছেন? নতুন কে বা আসছেন? মন্ত্রিসভার আকার কেমন হবে তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।

কেমন মন্ত্রিসভা চাই?

আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা নিয়ে মানুষের মধ্যে দারুণ আগ্রহ। তারা যেমন গত মন্ত্রীসভার বিতর্কিতদের এবার দেখতে চাননা। ঠিক তেমনি তরুণ-প্রবীণের সমন্বয়ের তৈরি একটি কার্যকর ও দায়িত্বশীল মন্ত্রিসভা চান। যারা হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরীক্ষিত, জনমানুষের প্রতি অনুভূতিপ্রবণ ও জবাদিহিতায় উৎসাহী।

মন্ত্রিসভা নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বার্তা২৪কে বলেন, আওয়ামী লীগ যে বিশাল ম্যান্ডেট পেয়ে নির্বাচনে জয় লাভ করেছে এবার তাদের জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। আর সেজন্য আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আগামী পাঁচবছরের কর্মপরিকল্পনা সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেই ইশতোহার  অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করা। যেটাকে বলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স‘। আমি চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরীক্ষিত ব্যক্তিরাই মন্ত্রিসভায় স্থান পাক।

মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে নবীণ ও প্রবীণের সমন্বয়ের কথা তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শান্তা তাওহিদা বার্তা২৪কে বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী নির্বাচনের সময় ব্যক্তির পড়াশুনা, কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা, বিশেষত্ব এই বিষয়গুলোও গুরুত্বদিয়ে দেখা দরকার। সেটা হলে নেতৃত্বের সফলতা দেখতে পাব।

এদিকে মন্ত্রিসভায় তারুণ্যের প্রাধান্য চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন, নওফেল, মাশরাফি, তন্ময়ের মত তারুণ্যকে মনোনয়ন দিয়ে যেমন আওয়ামী লীগ চমক দেখিয়েছে তেমনি মন্ত্রিসভা গঠনে তরুণদেরও প্রাধান্য দেওয়া হোক। এটা তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে।

ফ্রিল্যান্স কলামিস্ট শরিফুল হাসান বার্তা২৪কে বলেন, ‘আমরা এবার অতীতের কোনো ব্যর্থ, কোন বিতর্কিতকে, কোন দুর্নীতিবাজকে মন্ত্রিসভায় দেখতে চাই না। তার চেয়ে বরং তরুণদের মন্ত্রিসভায় দেখতে চাই। মন্ত্রিসভায় সত্যিকারের সৎ ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করুন। আর যারাই মন্ত্রী হবে বলে দিন, ব্যর্থ হলে দায় নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেয পদত্যাগ করতে হবে। এবার জবাবদিহিতার সংস্কৃতি দেশে তৈরি করতে দেশে।’

   

ছাগলের চামড়া ১০ টাকা তবুও কিনছেনা কেউ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকার নির্ধারিত ছাগলের চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ২৫ থেকে ২৮ টাকা এবং ভেড়ার চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা। তবে সেই দামে বিক্রি করতে পারছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। অনেকে ছাগলের চামড়া প্রতি পিচ ৫০ থেকে ১০০ টাকায় কিনেছেন। এখন এসব ছাগলের চামড়া কেউ নিতে চাচ্ছে না। যারা কিনছেন তাও ১০ টাকা পিচ কিনছেন।

সোমবার (১৭ জুন) রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকায় চামড়া বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ীরা এ অভিযোগ করেন।

কল্যাণপুর থেকে ছাগলের ১০টি চামড়া নিয়ে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় আসেন মৌসুমি ব্যবসায়ী আবুল কালাম। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, একে একে ছয় জন ক্রেতার কাছে এই চামড়া নিয়ে গিয়েছি। কিন্তু তাদের কেউই কিনতে আগ্রহ দেখাননি। পরে এক ক্রেতা ১০টি চামড়ার জন্য মাত্র ১০০ টাকা দিয়েছেন।

আবুল কালামের মত একই অভিযোগ ধানমন্ডি এলাকার মৌসুমী ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেনের। গরুর চামড়ার সাথে ১৯টি ছাগলের চামড়া নিয়েছি। একেকটা চামড়ার দাম পড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। এখানে আসার পরে কেউ চামড়া কিনতে চাচ্ছেনা। এখন এক ব্যাপারিকে দিয়ে দিছি। বিক্রি করে যা পায় আমাকে দিতে।

ছাগলের চামড়ার দাম এত কম কেন? জানতে চাইলে সাইন্সল্যাব এলাকার এক আড়তদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, একটা চামড়া ১০ টাকা দিয়ে কিনলেও এর পেছনে সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ টাকা খরচ হয়। কিন্তু ট্যানারিতে বিক্রির সময় ২০-৩০ টাকার বেশি পাওয়া যায় না। এ কারণেই এখন কেউ ছাগলের চামড়া কিনতে চান না।

;

সাড়ে ৩টার মধ্যে ৮০ শতাংশ বর্জ্য পরিষ্কার করেছে চসিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
সাড়ে ৩টার মধ্যে ৮০ শতাংশ বর্জ্য পরিষ্কার করেছে চসিক

সাড়ে ৩টার মধ্যে ৮০ শতাংশ বর্জ্য পরিষ্কার করেছে চসিক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের কোরবানির ঈদের ৮০ শতাংশ বর্জ্য বিকেল সাড়ে তিনটার মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী৷

সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে নগরীর আলমাস সিনেমা হল এলাকায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।

মেয়র বলেন, বিকেল পাঁচটার মধ্যে নগরীর সমস্ত কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে আমাদের প্রায় ৪ হাজার কর্মী কাজ করছে। নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডকে ৭টি জোনে ভাগ করে মোট ৩২২টি গাড়ি বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে। ৭টি জোনে ৭টি পানির জার থাকছে রক্ত পরিষ্কার করার জন্য।

বিকেল সাড়ে তিনটার মধ্যে নগরীর ৮০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। নগরীতে অনেকে দুপুর ২টার পর কোরবানি দেন, আবার কিছু প্রান্তিক এলাকায় পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা কিছুটা কঠিন। তবে বিকেল পাঁচটার মধ্যে নগরীকে পরিষ্কার করার লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা৷ নাগরিকদের কোরবানির বর্জ্য সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণে দামপাড়ায় কন্ট্রোল রুমও চালু আছে।

কোরবানির চামড়া প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আমাদের লক্ষ্য জাতীয় সম্পদ চামড়া যাতে নষ্ট না হয়। এজন্য চামড়া ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আমরা সমন্বয় সভা করেছি। আশা করি কোনো চামড়া নষ্ট হবেনা এবার।

এসময় মেয়রের সঙ্গে নগরীর পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, হাসান মুরাদ বিপ্লব,আবদুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, কাজী নুরুল আমিন, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, আকবর আলী, নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল হাসান, মশক নিধন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন রিফাত, অনিক দাশগুপ্তসহ চসিকের কর্মকর্তারা।

;

খুশির দিনে ভালো নেই সিলেট



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম,সিলেট
খুশির দিনে ভালো নেই সিলেট

খুশির দিনে ভালো নেই সিলেট

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে যখন ঈদের আনন্দে মেতেছে মানুষ, ঠিক তখন অঝোর বৃষ্টির পানিতে ভাসছেন সিলেটবাসী। এতে ম্লান হয়ে গেছে মানুষের ঈদ আনন্দ। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে অনেক-বাসা বাড়িতে কোমর পর্যন্ত পানি উঠেছে। এতে অনেক স্থানে কোরবানি দিতে পারছেন না স্থানীয়রা।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন কোনো কোনো এলাকায় কোরবানি দেয়া সম্ভব না হওয়ায় মঙ্গলবার কোরবানি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

রোববার (১৬জুন) মধ্যরাত থেকে ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ঈদের দিন ভোরেই সিলেট নগরীর অধিকাংশ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়ক তলিয়েছে পানিতে। এ অবস্থায় বেশিরভাগ ঈদগাহে ঈদুল আজহার জামাত বাতিল করে স্থানীয় মসজিদগুলোতে নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। সেখানেও মুসল্লিদের উপস্থিতি কম দেখা যায়।

সিলেটে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় শাহী ঈদগাহ ময়দানে। সেখানে বৃষ্টিতে ভিজে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের জামাত আদায় করেন সিলেট সিটি করপোরেশেনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এই ঈদগাহে প্রতি বছর ১ থেকে দেড় লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটলেও এবার বৃষ্টির কারণে মুসল্লি ছিলেন মাত্র কয়েক হাজার।

এদিকে, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বাসবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ে। ফলে সিলেট নগরীর কোরবানিদাতারা পড়েছেন বেশ বিপাকে। অনেকে পশু বাড়ির দোতলায় উঠিয়ে রেখেছেন। পানি না নামলে কোরবানি দিতে পারছেন না। আবার কেউ কেউ এক বাসা থেকে অন্য বাসায় নিয়ে রাখছেন তাদের কোরবানির পশু। তারা বলছেন, পানি না কমলে এক-দুই দিন পরে কোরবানি দিতে হবে।

সরেজমিনে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ নিচু এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। বিশেষ করে শাহজালাল উপশহর এলাকায় পানির নিচে। অনেকের বাসার নিচ তলায় কোমর পর্যন্ত পানি। লালাদীঘিরপাড়, সোবহানীঘাট, কালিঘাট, অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও এয়ারপোর্ট সড়ক, দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডসহ বিভিন্ন সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান তলিয়ে গেছে। কোনো কোনো স্থানে কোমর পর্যন্ত পানি দেখা গেছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোবার সকাল ছয়টা থেকে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত) সিলেটে ১৭৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর সোমবার সকাল ছয়টা থেকে ৯টা পর্যন্ত হয়েছে ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি। এখনও বৃষ্টি হচ্ছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানিয়েছে, ঈদের দিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিলেটে তিনটি নদীর পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ও সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সিলেটের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত সিলেটের ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৯টিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। পুরো জেলায় ১ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ জন মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলা। এই উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ১ লাখ ১৪ হাজার ৬০০ জন। জেলার ১৩টি উপজেলায় মোট ৫৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে জেলা প্রশাসন। আশ্রয় নিয়েছেন ৬৮ জন। এরমধ্যে ওসমানী নগরে ৪৩ জন, বালাগঞ্জে ১০জন ও বিয়ানীবাজারে ১৫জন আশ্রয় নিয়েছেন।

নগরীতে জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে পাশাপাশি সিলেটেও বৃষ্টি হচ্ছে ফলে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ছড়াগুলো উপচে নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি থামলেই এসব পানি নেমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। আমাদের লোকজন ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে প্রতিদিন। কিন্তু বাসা-বাড়ি ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে ড্রেনে ফেলে দেন অনেকেই। ফলে পানি নিষ্কাশন সঠিকভাবে হতে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টির কারণে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় কয়েকটি এলাকায় নতুন করে পানি প্রবেশ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আমরা সার্বক্ষণিক উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

তিনি বলেন, আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রয়েছে। এখন পর্যন্ত যারা আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন তাদের প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রত্যেক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

;

চামড়ার দাম নিয়ে সিন্ডিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা যে চামড়া কিনেছেন তার চেয়েও কমে বিক্রির অভিযোগ করেছেন তারা। তাদের দাবি, কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট করে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও কম দামে চামড়া কিনছেন।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকায় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে এসে এই অভিযোগ করেন।

মিরপুর ৬০ ফিট এলাকায় আবু বকর মাদ্রাসার সংগ্রহ করা চামড়া নিয়ে এসেছেন খাদেম মোখসুর রহমান। তিনি বার্তা২৪. কমকে বলেন, এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়ির মালিকরা তাদের কোরবানির পশুর চামড়া মাদ্রাসায় দান করেছেন। সরকার বলছে দাম নূন্যতম ১২০০ টাকা। কিন্তু এখানে এসে বিক্রি করতে হয়েছে ৬৫০ টাকায়।

মাদ্রাসার এই খাদেমের মত অভিযোগ করেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী কাউসার মিয়া। তিনি পান্থপথ কাঠাল বাগান এলাকা থেকে ২৯টি গরুর চামড়া কিনেছেন। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, এলাকায় চামড়া আকারভেদে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত। ভ্যান ভাড়াসহ একেকটা চামড়ার দাম পড়েছে গড়ে ৮০০ টাকা। এখানে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছে ছোট চামড়া দাম ৭০০ টাকা।

চামড়া কিনতে আসা এপেক্স ট্যানারির এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চামড়া কিনেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। বেশি দামে চামড়া কিনে এখন আমাদের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে।

সরকার নির্ধারিত দাম নিয়ে তিনি বলেন, সরকার লবণ জাত চামড়ার সর্বোচ্চ দাম দিয়েছেন ১২০০ টাকা। সর্বনিম্ন দিয়েছেন ১০০০ টাকা। কিন্তু মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এটা না বুঝে কাঁচা চামড়ার দাম বেশি চাচ্ছে।

এদিকে ঈদের আগে গতবারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতিপিস গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাহিরে ১ হাজার টাকা।

;