নতুন বছরে মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল করাই র‍্যাবের লক্ষ্য: ডিজি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন বছরে সারাদেশ থেকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে নির্মূল করাই র‍্যাবের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।

সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টায় রাজধানীর গুলশান-২ নাম্বার মোড়ে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

র‍্যাব ডিজি বলেন, নতুন সরকার গঠন করার পর মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে র‍্যাব কাজ শুরু করবে। নতুন বছরে নতুন উদ্যমে মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল করাই হবে আমাদের লক্ষ্য। এই জন্য কক্সবাজার এলাকায় র‍্যাবের একটি স্থায়ী ব্যাটালিয়ন গঠন করা হবে। এই প্রক্রিয়া জানুয়ারি শেষ সপ্তাহের দিকে শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এ সময় তিনি ইংরেজি নববর্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বলেন, ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে সারা দেশে। যদিও এর আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়টি সামনে রেখে থার্টি ফাস্ট নাইটের অনুষ্ঠান না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। নাগরিকরা এই আহ্বানে সারা দিয়েছেন। সারা দেশে বড় ক্লাব থেকে শুরু করে কোনো জায়গায়ই অনুষ্ঠান হচ্ছে না। এ জন্য নাগরিকদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।

পোস্ট ইলেকশন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো রয়েছে উল্লেখ করে র‍্যাব ডিজি বলেন, পোস্ট ইলেকশন নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব ভালো রয়েছে। কোথাও কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। আমি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বলবো তারা যেন নিজেদের ভেতর বা অন্য কোনোভাবেই যেন সহিংসতা না করে।

এর আগে র‍্যাব ডিজি গুলশান-২ মোড়ে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে নিরাপত্তা চৌকি পরিদর্শন করেন। এসময় র‍্যাব সদস্যরা একটি গাড়ি থামালে র‍্যাব ডিজি গাড়ির চালকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। পরে র‍্যাব সদস্যরা গাড়িটির তল্লাশি করেন থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে।

   

আরও ১ বছর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব থাকছেন তোফাজ্জল হোসেন মিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াকে আরও ১ বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

বুধবার (২৬ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।

;

‘সার্বজনীন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তথা জনগণের বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নপূরণ করতে হলে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে নাগরিক সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সার্বজনীন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য উদ্ভাবন 'আমার গ্রাম, আমার শহর'। তিনি জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের পূর্বে ঘোষণা করেছিলেন, দেশের সব গ্রামে শহুরে সেবাগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে। বর্তমান সরকার 'আমার গ্রাম, আমার শহর' বাস্তবায়নের মাধ্যমে সে প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো যেমন ভূমিকা রাখছে, তেমনি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতি ছয় হাজার জনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক। কোভিডসহ যেকোনো দুর্যোগকালীন সময়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

বুধবার (২৬ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য আরবান্ রিজিলিয়েন্স ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

স্থানীয় পর্যায়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে ৯৭ শতাংশ অবকাঠামো নির্মিত হয়ে গেছে। যা একসময় কল্পনাও করা যেতো না। পল্লী অঞ্চলে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারলে ঢাকা শহরে জনসংখ্যাগত সমস্যার সমাধান হবে না। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান, ভূ-সংস্থান এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই সংকট মোকাবিলায় সবার একসাথে কাজ করতে হবে। এ সম্পর্কিত পারস্পরিক জ্ঞান আদান-প্রদান করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মাসুম পাটোয়ারী (যুগ্ম সচিব) এবং মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে এতে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ্ কুক, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলারসহ প্রমুখ।

;

হালদা নদীতে মিলল মৃত ডলফিন, বয়সজনিত কারণে মৃত্যু!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মৃত ডলফিন, ছবি: সংগৃহীত

মৃত ডলফিন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ভেসে ওঠা এক মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় সাত ফুট দীর্ঘ ও ৮৮ দশমিক ৮৯ কেজি ওজনের এই ডলফিনটি। গবেষকরা জানিয়েছেন, বয়সজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে এই ডলফিনের।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা এলাকায় নদীতে ভেসে আসে মৃত ডলফিনটি। এর আগে দেড়বছর হালদা নদীতে মৃত ডলফিন ভেসে ওঠার ঘটনা ঘটেছিল। স্থানীয়রা ডলফিনটি উদ্ধার করে নদীর তীরে তোলেন। পরে খবর পেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরির গবেষকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ডলফিনটির সুরতহাল করে মাটি চাপা দেন।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিনের বিচরণ রয়েছে। নদীপাড়ের বাসিন্দারা স্থানীয়ভাবে একে হুতুম বা ‍শুশুক নামে অভিহিত করেন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) গাঙ্গেয় ডলফিনকে বিপন্ন হিসেবে লাল তালিকায় রেখেছে। ২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুসারে এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

গবেষকদের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে হালদা নদীতে ১৮টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ১০টি, ২০২১ সালে পাঁচটি এবং ২০২২ সালে ছয়টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত হালদা নদীতে ৪১টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবারের ঘটনার আগে সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর হালদা নদী থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়া কর্ণফুলী নদীতে এ পর্যন্ত দুটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে।

হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া জানিয়েছেন ডলফিনটি কয়েকদিন আগে মারা গেছে। তিনি বলেন, ডলফিনটির শরীরে পচন ধরেছে। সুরতহাল করার সময় কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই প্রতিবেদনে আমরা বয়সজনিত কারণে মৃত্যু উল্লেখ করেছি।

তবে মৃত ডলফিনটির বয়স নির্ধারণ করা যায়নি। অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ছয় থেকে সাত মাস পর ডলফিনটির হাড় সংগ্রহ করার পর পরীক্ষা করা হবে। তখন বয়স বলা যাবে। তবে একটি ডলফিন সাধারণত ১৫ থেকে ২০ বছর বাঁচে।

;

এফডিসিকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয় সংসদ/ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাজের মানোন্নয়ন ও সুনিপুণভাবে কাজের তদারকিকরণে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনকে (এফডিসি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার জন্য কমিটির পক্ষ থেকে পুনরায় সুপারিশ করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তৃতীয় বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, ফেরদৌস আহমেদ, মোছা. জান্নাত আরা হেনরী, মো. নাইমুজ্জান ভূঁইয়া, মো. কামারুল আরেফিন এবং অনিমা মুক্তি গমেজ অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকের শুরুতে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদ, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনসহ সর্বস্তরের স্বাধিকার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোজ গার্ডেনে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে কাজ সম্পন্ন করায় কমিটির পক্ষ থেকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।

বৈঠকে সংস্কৃতি মন্ত্রলায়ের সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক, গণগ্রন্থাগার ও আর্কাইভ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অন্যান্য অধিদফতরের প্রধান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;