খুলনায় দ্বার উন্মোচন প্রাণের মেলার
বই মেলায় বই পড়ছে এক কিশোর, ছবি: বার্তা২৪
'বই পড়ি, স্বদেশ গড়ি' এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দীর্ঘ একটি বছরের অপেক্ষা শেষে খুলনায় আবারও শুরু হলো বাঙালির প্রাণের মেলা 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা'।
শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত বয়রাস্থ বিভাগীয় গণ-গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে পর্দা ওঠে প্রাণের মেলা ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯’র। খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বেলুন উড়িয়ে মাসব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক হেলাল হোসেন, জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সরদার আলমগীর, খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাহেব আলী, রবি অজিয়াটার ক্লাস্টার মার্কেট ডিরেক্টর হামিদুল হক ও একুশে বইমেলার সদস্য সচিব, বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের উপ পরিচালক ড. আহসান উল্লাহ প্রমুখ।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে পুরো মাসব্যাপী। এবারের বইমেলায় স্টল রয়েছে সব মিলিয়ে ৯৫টি। আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা এবারের মেলার আয়োজনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে প্রতিবারের মতোই দাবি উঠেছে মেলার স্থান বাড়ানোর জন্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্বোধনের আগে থেকেই বইপ্রেমীদের পদচারনায় মুখর হয়ে ওঠে বইমেলা প্রাঙ্গণ। সবাই নতুন বইয়ের সন্ধানে ঘুরছেন স্টলে স্টলে। খুঁজছেন পছন্দের লেখকের গল্প, কবিতা, উপন্যাসের বই। অনেকে গবেষণাধর্মী, প্রবন্ধ খুঁজছেন। মেলার প্রথম দিনেই বইপ্রেমীদের ব্যাপক সমাগম না হলেও চোখে পড়ার মতো পাঠকের দেখা মেলে।
খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ বইমেলায় বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা, সাহিত্য সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও লাইব্রেরি অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিদিন বইমেলা বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। তবে ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। এছাড়া বিকেলে প্রবন্ধ ও কবিতা পাঠ, আলোচনা, নতুন লেখকদের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। বিভিন্ন সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে।
এছাড়াও শিশুদের জন্য উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, সঙ্গীত ও বইপাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকবে। শিক্ষার্থীদের জন্য বই পাঠের ব্যবস্থা থাকবে। এবারের বইমেলা প্রাঙ্গণ ধূমপান মুক্ত এলাকা হিসেবে গণ্য হবে।
উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার অমর একুশে গ্রন্থমেলার পরে খুলনার এ বইমেলা দেশের ২য় বৃহত্তম বইমেলা।