দেশের গ্রাম ও নদীর তীরবর্তী অঞ্চলসমূহে কুয়াশা পড়তে শুরু করছে। অনুভূত হচ্ছে শীতের ছোঁয়া। এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। ফলে বাংলাদেশে বৃষ্টির প্রভাব কেটে গেছে। ফলে দেশের তাপমাত্রা শীতের আভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমানের দেয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানা গেছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমবে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দিন ও রাতের তাপমাত্রাই সামান্য কমবে। এছাড়া বর্ধিত পাঁচদিনেরও রাত ও দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
তিন মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তীব্র শীত অনুভূত হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। উত্তরাঞ্চলে এ সময় থেকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীত অনুভূত হতে পারে। যদিও এরই মধ্যে গ্রামাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। তবে রাজধানীতে শীত আসতে পারে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে।
এবার শীত মৌসুমে দেশে ৮ থেকে ১০টি মৃদু (তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আর দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২-৩টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের রক্তাক্ত স্মৃতিসহ এই অঞ্চলের গণমানুষের নির্যাতন, সংগ্রাম ও গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি পুনঃসৃজন করতে রাজধানীর রাজপথে আসছে গণ-অর্থায়নে নির্মিতব্য রাজপথ-গণপরিবেশনা ‘লাল মজলুম’।
আগামী শনিবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ক্যাফেটেরিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিযেটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহমান মৈশান।
তিনি বলেন, ‘লাল মজলুম’ ক্রাউড ফান্ডিংয়ে নির্মিত একটি রাজপথ-গণপরিবেশনা। একদিকে শিক্ষার্থী-শ্রমিক জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের রক্তাক্ত স্মৃতি যেমন রোমশন করে পুনঃসৃজন করে, তেমনি এই জনপদে ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে সংঘঠিত গণঅভ্যুত্থানকেও একসূত্রে গ্রথিত করে।
জনগণের রাজনৈতিক আত্মত্যাগের স্মৃতি ভুলে যাওয়ার বিরুদ্ধে এক অবিরত সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তাকে জনপরিসরে শিল্পরূপ দিতে 'লাল মজলুম একটি গেরিলা প্রচেষ্টারূপে গণ্য হতে পারে। ঔপনিবেশিক আধুনিকতাবাদী প্রতাপশালী চিত্তা 'সেকুলারিজম ধারণার বিপরীতে, এই গণপরিবেশনা ইনক্লুসিভিটি ধারণাকে আত্মপ্ত করতে প্রয়াসী। সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদী ফ্যাসিবাদ, ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী ফ্যাসিবাদ, এমনকি ব্যক্তির ক্ষুদ্রতম পরিসরে থাকা ফ্যাসিবাদকেও এই পরিবেশনা প্রশ্ন করে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ধারণা প্রয়োগ করে 'লাল মজলুম'। মনে করিয়ে দেয় যে, সহিষ্ণুতা, সহাবস্থান এবং একে অপরের সাথে সংযোগ ও সংশ্লিষ্ঠ ঘটনা ঘটলেই কেবল আমাদের জীবন অর্থবহ হয়ে উঠতে পারে।
এই নান্দনিক-রাজনৈতিক লক্ষ্যে, এই পরিবেশনায় ওরস সংস্কৃতির গান, অভ্যুত্থানের মিছিল, রাষ্ট্রীয় ও সংকীর্ণ সেক্টারিয়ান সন্ত্রাস, নজরুলের 'বিদ্রোহী' কবিতার বিভিন্ন আঞ্চলিক বাংলা ও চাকমা ভাষায় গণরূপায়ণ, রবীন্দ্র-নজরুল কাব্যের র্যাপ সংগীতায়ন, নারী ও প্রকৃতির রূপ অন্বেষণ করা হবে। এই গণপরিবেশনায় যে কোনো প্রকার ক্ষমতাকেই ক্রিটিক করার নৈতিক সৌন্দর্য এবং মজলুমের কথা বলার রাজনৈতিক পরিসরকে কল্পনা করার ভাষা প্রভৃতি আত্মশুদ্ধি করে একটি হাইব্রিড শিল্পভাষ্য নির্মাণের প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।
রাস্তায় সংঘটিত মিছিল ও গণপরিসরে উপস্থাপিত বিভিন্ন শিল্পকর্ম যেমন পথনাটক, পোস্টার নাটক, ইনস্টলেশন ও পারফরম্যান্স আর্টের ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে এই উন্মুক্ত নাট্য পরিবেশনায়। লিখিত সাহিত্য ব্যবহার করা হলেও তাৎক্ষণিক উদ্ভাবন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শরীর, সময় সম্পর্কের ভিত্তিতে এই পরিবেশনার অ্যাকশন, ডায়লগ ও স্পেস ডিজাইন করা হয়েছে। এই গণপরিবেশনার একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এর 'হ্যাপেনিং' স্বভাব।
অর্থাৎ যখন এটি রাজু ভাস্কর্য থেকে শাহবাগ পর্যন্ত স্থানে স্থানে সংঘটিত হবে সেদিনই কেবল এই পরিবেশনার পূর্ণাঙ্গ রূপ গঠিত হবে। তাই অনেকাংশেই 'লাল মজলুম' কোনো পূর্বনির্ধারিত নাট্য পরিবেশনা নয়। বরং স্থান-স্থাপত্য-চলমানতা ও দর্শকের সংযোগে পূর্ণ হবে 'লাল মজলুম'।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে খণ্ড খণ্ড দৃশ্যে চলমান এই পরিবেশনাটি শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে একটি গণ-অধিবেশনমূলক সংলাপের দৃশ্যায়নের মাধ্যমে শেষ হবে। বর্তমানের রাজনৈতিক-সামাজিক জটিল সংকটগুলোকেও একটি বহুত্ববোধক সাংস্কৃতিক শিল্পভাষার প্রয়োগে তুলে ধরে 'লাল মজলুম' পরিবেশনায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গণতন্ত্রকামী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের শিল্পী ও সংগঠকদের অভিনয়সহ বিভিন্ন স্তরে অংশ নিয়েছেন। এই ব্যতিক্রমী এপিকধর্মী রাজপথ-গণপরিবেশনা বস্তুত কল্পনা ও সৃজনশীলতা নির্ভর সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে, কর্তৃত্ববাদের বিপরীতে, বাংলাদেশের নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সংক্রান্ত নিপীড়িতের বাসনাকে নান্দনিক-সাংস্কৃতিক বয়ান আকারে নির্মাণের প্রচেষ্টা চালাতে চায়।
প্রতিবছর শীত মৌসুম কুয়াশার কারণে হজরত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘন কুয়াশায় ফ্লাইট ওঠানামা বিঘ্নিত হতো। তবে এবার এ অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা।
বেবিচক কর্মকর্তারা বলছেন, ঘন কুয়াশা বা বৈরী আবহাওয়ায় বিমান চলাচল বিঘ্নিত হওয়া এড়াতে ইনস্ট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম বা আইএলএস প্রযুক্তির মানোন্নয়ন করা হচ্ছে, যার কাজ শেষের পথে। আইএলএস ক্যাটাগরি-১- এর পরিবর্তে স্থাপন করা হচ্ছে ক্যাটাগরি-২।
চলতি নভেম্বরেই শাহজালাল বিমানবন্দরে আইএলএস-২ চালুর বিষয়ে বেবিচক ঘোষণা দিতে পারে বলে জানা গেছে। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজার বিমানবন্দরেও আইএলএস প্রযুক্তির উন্নয়ন করা হচ্ছে। ফলে কুয়াশার মধ্যেও ফ্লাইট ওঠানামার যে সংকট রয়েছে তা কেটে যাবে।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, আইএলএস প্রযুক্তির উন্নয়নের অংশ হিসেবে বর্তমানে বিমানবন্দরে রানওয়ের 'লাইটিং সিস্টেম' রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এজন্য গত ৮ নভেম্বর রাত ১টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে রানওয়ের সব কার্যক্রম ও ফ্লাইট ওঠানামা। রক্ষণাবেক্ষণের কাজটি বৃহস্পতিবারের (১৪ নভেম্বর) মধ্যেই শেষ হতে পারে বলে জানা গেছে।
সাধারণত খালি চোখে রানওয়ের অবস্থান শনাক্ত করে উড়োজাহাজ অবতরণ করেন বৈমানিকরা। অবতরণের জন্য ন্যূনতম ৫০০ মিটার দৃষ্টিসীমা প্রয়োজন হয়। কুয়াশা বা বৈরী আবহাওয়ার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে এলে রানওয়ের অবস্থান শনাক্তের জন্য ব্যবহার করা হয় আইএলএস প্রযুক্তি। বৈরী আবহাওয়ায় উড়োজাহাজ ওঠানামার জটিলতা নিরসনে ১৯৮০ সালের দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে আইএলএস-১ স্থাপন করা হয়। যদিও পুরোনো এ প্রযুক্তি ঘন কুয়াশায় খুব একটা কাজে আসে না। ফলে প্রতি শীতেই বিঘ্নিত হচ্ছে উড়োজাহাজ চলাচল। এতে আকাশ পরিবহন সংস্থাগুলোর পরিচালন ব্যয় যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। গত শীতেও রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত একাধিকবার বন্ধ থেকেছে উড়োজাহাজ চলাচল। অন্যদিকে ঢাকায় নামতে না পেরে প্রতিবেশী ভারত কিংবা দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরে ফ্লাইট ঘুরিয়ে (ডাইভার্ট) দেয়ার একাধিক ঘটনাও ঘটে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, ‘আইএলএস স্থাপনের 'কাজ প্রায় শেষের দিকে। আমাদের পক্ষ থেকে সব কাজ শেষ। শুধু একটা বিদেশি অবজারভেশন ফ্লাইট লাগে। আমরা সে অপেক্ষাই করছি। অবজারভেশন শেষ হলেও আইএলএসের কাজ আমরা পুরোপুরি শুরু করতে পারব। আমরা আশা করছি, নভেম্বরের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহে আইএলএস-২ স্থাপনের বিষয়টি ঘোষণা দিতে পারব। তবে সবকিছু অবজারভেশন ফ্লাইটের ওপর নির্ভর করছে।' বর্তমানে কুয়াশার কারণে বিমান থেকে রানওয়ের দৃষ্টিসীমা দেড় হাজার মিটারের নিচে নেমে গেলেই শাহজালালে উড়োজাহাজ অবতরণে সমস্যা হয় বলে জানিয়েছেন আকাশ পরিবহন খাতসংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বর্তমানে শাহজালালের এ প্রযুক্তি ক্যাটাগরি-২-এ উন্নীত করা হচ্ছে। এটা হয়ে গেলে ৩০০-৪০০ মিটার দৃষ্টিসীমার মধ্যেও বিমান অবতরণ করতে পারবে। তবে ঘন কুয়াশা বা বৈরী আবহাওয়ায় অনেক সময় বৈমানিকের দৃষ্টিসীমা ৫০ থেকে শূন্য মিটারে নেমে আসে। তখন আইএলএস-২ প্রযুক্তিও আর কাজ করে না। প্রয়োজন হয় আইএলএস-৩ প্রযুক্তির।
শাহজালাল বিমানবন্দরের পুরোনো আইএলএস প্রযুক্তির কারণে আকাশ পরিবহন সংস্থাগুলো বছরে অন্তত দুই মাস কঠিন সময় অতিক্রম করে বলে জানিয়েছেন আকাশ পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টরা। ফলে শাহজালালসহ দেশের সবক'টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইএলএস ক্যাটাগরি-৩ স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
ঝালকাঠির নলছিটিতে খেলতে গিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার কুলকাঠী ইউনিয়নের দক্ষিণ আখড়পাড়া গ্রামে গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় দুজনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে মারা যায়।
মৃত শিশুরা হলো- ওই গ্রামের কামাল হাওলাদারের মেয়ে লামিয়া আক্তার (৩) এবং রানা হাওলাদারের ছেলে রমজান (২)। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।
নিহত রমজানের দাদা আমির আলী হাওলাদার জানান, দুইজন খেলা করছিল। এ সময় কুড়িয়ে পাওয়া ইঁদুর মারার ওষুধ দেখতে পায়। একপর্যায়ে ওই ওষুধ তারা খেয়ে ফেলে। পরে বিষয়টি পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাদের বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের দুজনের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, পুলিশ রাতেই ওই শিশুদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছে। পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত না করার আবেদন করেছে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।