চট্টগ্রামে ঈদের জামাতে একসঙ্গে আ.লীগ-বিএনপি নেতারা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রামের ঈদ জামাতে সম্প্রীতি বজায় রেখে এক কাতারে বসেছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠনের দলের নেতারা।

বুধবার (৫ জুন) সকালে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠে ঈদ-উল ফিতরের প্রথম জামাতে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ শরিক হন।

বিজ্ঞাপন

নামাজ শেষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের কোলাকুলি উপস্থিত সবার নজর কাড়ে। তারা পরস্পরের মাঝে আলিঙ্গনের ফাঁকে কুশল বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, বিএনপির নির্বাহী কমিটির নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মীর নাছির, তার ছেলে বিএনপি নেতা মীর হেলাল, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ, যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/05/1559722428602.jpg

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আয়োজনে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী। মোনাজাতে তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতিসহ দেশ ও মুসলিম উম্মাহর সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করেন।

একই মসজিদে দ্বিতীয় জামাতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। ঈদগাহ ছাড়িয়ে রাস্তায়ও নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

এছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ১৬৪টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে মসজিদের আশপাশে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। নামাজে আসা মুসল্লিদের তল্লাশি ছাড়াও ২২টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার সহায়তায় পুরো এলাকা মনিটরিং করা হয়। মুসল্লিদের সুবিধার্থে ফ্যানের ব্যবস্থা রাখা হয়।