অলস টাকা সরকারি কোষাগারে জমার খসড়া আইন অনুমোদন
চলতি বছরের মে মাস নাগাদ বিভিন্ন সংস্থায় ২ লাখ ১২ হাজার ১শ’ কোটি টাকা অলস পড়ে থাকার প্রেক্ষাপটে এই অব্যবহৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা রাখার সুযোগ সৃষ্টির জন্য মন্ত্রিসভা একটি খসড়া আইনের অনুমোদন দিয়েছে।
সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘এখন কোন ভাল কাজে বিনিয়োগ না থাকা এই অলস অর্থ সরকারি কোষাগারে রাখার পথ সৃষ্টির সুযোগ করে দেয়ার জন্য মন্ত্রিসভা আইনের এই খসড়া অনুমোদন করেছে। এই অর্থ এখন এফডিআর করা অবস্থায় বিভিন্ন ব্যাংকে অলস পড়ে রয়েছে।’
তিনি বলেন, এই অর্থ উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০১৯ সালের মে মাস নাগাদ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৬৪টি স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সরকারি সমমর্যাদার কর্তৃপক্ষ সরকারি নন-ফিন্যান্সিয়াল কর্পোরেশন ও স্বশাসিত সংস্থার ২ লাখ ১২ হাজার একশ’ কোটি টাকা অলস অবস্থায় রয়েছে।
তিনি আরো জানান, ২৫টি শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম (বিপিসি) ২১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা, পেট্রোবাংলার ১৮ হাজার ২০৮ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ১৩ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা, চট্টগ্রাম বন্দরের ৯ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ও রাজউকের ৪ হাজার ৩০ কোটি টাকা অলস পড়ে রয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী সংস্থাসমূহ পরিচালনা ব্যয়, নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং জরুরি অবস্থা মোকাবেলার জন্য ২৫ শতাংশ অর্থ অতিরিক্ত রাখার পর এই সব সংস্থার অলস টাকা সরকারি কোষাগারে আনা হবে।’
সূত্র: বাসস