শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বুঝে গাড়ি নামাবেন পরিবহন মালিকরা
জাতীয়
ঢাকা: শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বুঝে গাড়ি নামাবেন পরিবহন মালিকরা। যদি শিক্ষার্থীরা সড়কে নামে তাহলে শনিবার দিনের বেলা কোনো বাস চলবে না। রাতে দূরপাল্লার রুটে নাইট কোচ চলাচল করবে।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠন থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে সংগঠন থেকে পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত এসেছে সেটির প্রধান নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান।
বিজ্ঞাপন
সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, ভাংচুরের ভয়ে মালিকরা রাস্তায় বাস ছাড়েননি।
তিনি আরো বলেন, ‘চারশোর ওপরে গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। ৮টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। সিরাজগঞ্জ, বগুড়া টার্মিনালসহ বিভিন্ন স্থানে আক্রমণ হয়েছে। এ অবস্থায় গাড়ি চালানোর মতো পরিস্থিতি নেই। এখন সড়ক শঙ্কামুক্ত হলেই গাড়ি চালাব।’
সড়ক যতদিন না নিরাপদ হবে ততদিন বাস নামবে না—জানান খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার হাউজিং কর্মী বিল্লাল গাজী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ও ‘কবজি কাটা’ গ্রুপের অন্যতম সদস্য বিল্লাল ওরফে ভাগ্নে বিল্লাল ওরফে অগ্নি বিল্লালকে (২৮) দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আদাবর থানার শ্যামলী হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার হেফাজত থেকে সামুরাই, পাহাড়ি দা, লক কাটার, তিন টি ওয়াকিটকি, দুটি ওয়াকিটকি চার্জার, শিশা খাওয়ার মেশিন, মোটরসাইকেল, রাউটার এবং দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার সকালে মোহাম্মদপুরের দুর্ধর্ষ এই গ্যাংটির সদস্যকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-২ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ও সহকারী পরিচালক শিহাব করিম।
মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার বরাত দিয়ে এএসপি শিহাব করিম জানান, নিহত বিল্লাল গাজী (২৮) সাভার থানার একটি হাউজিং কোম্পানির মাঠ পর্যায়ের কর্মী। গত অক্টোবর মাসের ১ তারিখ রাতে বিল্লাল গাজী তার অফিসের লোকজনের সঙ্গে প্রকল্প এলাকা হতে হাউজিংয়ের লোকজনের সঙ্গে ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে মোহাম্মদপুর থানার নবোদয় হাউজিং এলাকায় মো. বিল্লাল ওরফে ভাগ্নে বিল্লালসহ কবজি কাটা গ্রুপের ২০ থেকে ২৫ সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বিল্লাল গাজীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা বিল্লাল গাজীকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় নিহত বিল্লাল গাজীর মা বাদী হয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় ২২ জন আসামির নাম উল্ল্যেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বর্ণিত মামলায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতার সংক্রান্তে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর অধিযাচন পত্রের প্রেক্ষিতে এই ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র্যাব এ বিষয়ে আসামিদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি দল মো.বিল্লাল ওরফে ভাগ্নে বিল্লাল(২৮)’কে গতকাল দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে।
আসামিকে গ্রেফতার পূর্বক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাজারে উঠে গেছে প্রায় সব ধরনের শীতকালীন সবজি। শীতের সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাজারে সরবরাহ বাড়লেও ওঠানামা করছে শীতের সবজির দাম। বিক্রি হচ্ছে উচ্চমূল্যে। ফলে ক্রেতাদের মনে স্বস্তি ফেরার কথা থাকলেও অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে মিরপুর শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
ক্রেতা আজাদ হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমদানি থাকা সত্ত্বেও শীতকালীন শাকসবজি বেশি দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। সবজি কিনতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে আমাদের। মাছ মাংসের দিকে তো তাকানোর উপায় নেই, সব কিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আমাদের মত নিম্নবিত্তদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়।
অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, এখনও পর্যাপ্ত আমদানি নেই। বেশি দামে কিনে কম দামে তো বিক্রি করতে পারিনা। এতে করে ক্রেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে অসন্তোষ।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকালে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী এনায়েত উল্লাহ। তিনি বলেন, বাজার করতে এসে দেখি সবকিছুর দাম বেশি। মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বাজার করাটা অনেক কষ্টসাধ্য।
সরেজমিন দেখা যায়, বাজারে সবজি বিক্রি হচ্ছে- লাউ-৮০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ও ফুল কপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস, কালো বেগুন ৭০-৮০ টাকা কেজি, গোল বেগুন ১১০-১২০ টাকা কেজি। শিম-১০০ টাকা কেজি, বরবটি ৯০-১০০ টাকা কেজি। কুমড়া ৫০-৬০ টাকা কেজি, গাজর ১৬০ টাকা কেজি ও কাঁচামরিচ ১০০ টাকা কেজি। শশা ৮০-১০০ টাকা কেজি ও টমেটো ১০০-১৬০ টাকা কেজি, করলা ১০০ টাকা কেজি, মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। আলু-৭৫ টাকা কেজি ও নতুন আলু ১২০ টাকা কেজি। ঢেঁড়শ ও পটল ৮০ টাকা কেজি।
এদিকে লাল শাক ও পালং শাক ১৫ টাকা করে আঁটি ও সেই সঙ্গে ধনিয়াপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লি শহরের স্কোর ৩৮৪। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি তালিকায় দুই নম্বরে ২৯৭ স্কোর নিয়ে আছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য অস্বাস্থ্যকর। এছাড়া ১৩৯ স্কোর নিয়ে ১২ নম্বর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। অর্থাৎ এখানকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
জামালপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর, আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে শহরের সরদারপাড়া এলাকায় বেসরকারি এম এ রশিদ হাসপাতাল ও স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে আগ্নেয়াস্ত্রসহ শহরের সরদারপাড়া এলাকায় ইউনাইটেড ট্রাস্টের বেসরকারি এম এ রশিদ হাসপাতালে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও কর্মচারীদের মারধর করে।
এ সময় হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষ, অভ্যর্থনা ডেস্ক, বিভিন্ন কাউন্টার, ফার্মেসি, জরুরি বিভাগ, সিটি স্ক্যান, এক্সরেসহ বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। এতে ৪ জন আহত হন ও হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে সবাইকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। হাসপাতাল ভাঙচুর শেষে দুর্বৃত্তরা শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে যায়।
এ সময় বন্ধ থাকা দলীয় কার্যালয়ে হামলা, অস্ত্র প্রদর্শন ও বিএনপি নেতাদের নাম ধরে গালিগালাজ করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন এম এ রশিদ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের জানান, দুর্বৃত্তরা এম এ রশিদ হাসপাতালে কোন কারণ ছাড়াই হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এখান থেকে যাওয়ার সময় এই বাহিনী জেলা বিএনপির বন্ধ কার্যালয়ে হামলা এবং অস্ত্র প্রদর্শন ও বিএনপির নেতাদের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আজকের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে জামালপুরবাসী।
তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা যদি বিএনপির নামাধারী হয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে বিএনপি চুপ করে বসে থাকবে এটা ভাবার কোন কারণ নেই, তাছাড়া তারা যদি বিএনপির কেউ হয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মোঃ আতিক জানান, এই ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।