পিএইচপির গ্রিন শিপ সৈকতে তোলার বিরল ভিডিও

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ব্রাজিলের মালিক থেকে ১০০ কোটি টাকায় কেনা ‘ওরে ভিটোরিয়া’ জাহাজটি বঙ্গোপসাগর থেকে সৈকতে তোলা হয় (বিচিং) খুব সাবধানে ও সতর্কতার সঙ্গে। পূর্ণ জোয়ারের সময় থাকে বাতাসের গতিবেগ। গত ৩১ জুলাই জোয়ার আর বাতাস দুটোকে সামলে বিচিং পাইলট বিচক্ষণতার সঙ্গে ২৭ হাজার টনের জাহাজটি সৈকতে তুলে আনেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ছাড়াই। সমুদ্রগামী জাহাজ আর আকাশের উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং হুবহু একই রকম। এ কথা জানিয়েছেন পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক ও পাইলটিং-এ  বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক।

 

বিজ্ঞাপন

কেন, কি কারণে এ জাহাজ ইয়ার্ডের সৈকতে তোলার অত্যাধুনিক ভিডিও চিত্র ধারণ করে এক মিনিট ৫২ সেকেন্ডের ছোট ডকুমেন্টারি করা হলো- প্রশ্ন করলে পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক জহিরুল ইসলাম রিংকু বলেন, ‘পুরনো জাহাজ ভাঙা শিল্পে কেনাবেচায় বাংলাদেশ শীর্ষ স্থানীয় দেশ। আমাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক নীতিবাচক প্রচারণা রয়েছে।

বিদেশে সেমিনার ও বিভিন্ন ধরনের আলোচনায় এর জবাব দিতে গেলে বিদেশীরা বলতে থাকেন, আমাদের ইয়ার্ডের ডকুমেন্টারি সুপার কম্পোজ করা অর্থাৎ নকল আর ছবি দেখালে বলে তারা বলে এটা ফটোশপ করা। তার যুগসই একটি জবাব দেয়ার জন্য দুই লাখ টাকা খরচ করে প্রায় দুই মিনিটের এ ডকুমেন্টারি বানালাম। ভবিষ্যতে বিদেশীদেরকে এটি দেখিয়ে বলবো- আমরা পিছিয়ে নেই, আমরাও পারি।’

২৯ বছর আগে জাপানের তৈরি এ জাহাজটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আকরিক লোহা বহনের কাজে ব্যবহৃত হতো। হংকং কনভেনশন অনুযায়ী প্রায় ১০ মাস আগে দেশের প্রথম গ্রিন শিপ ইয়ার্ডের স্বীকৃতি পায় পিএইচপি ফ্যামিলির বাড়বকু-ের ১৫ হাজার বর্গমিটারের এ ইয়ার্ডটি। ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করে এ ইয়ার্ডকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। মূলত: পরিবেশ রক্ষা, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুুরক্ষা, দুর্ঘটনা এড়ানো ও আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার যাবতীয় নীতিমালা অনুসরণকারী ইয়ার্ডকে গ্রিন শিপ ইয়ার্ড বলা হয়। গ্রিন শিপ ইয়ার্ডের মালিকরা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তুলনামূলক কম দামে জাহাজ কেনার সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকে।

পিএইচপি ইয়ার্ডে একের পর এক গ্রিন শিপ কাটা শুরু হলে দেশের অন্যান্য শিপ ইয়ার্ডগুলো আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কম দামে জাহাজ কেনার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।