ফিটনেস-কাগজপত্র নেই, বাস বন্ধ থাকায় ভোগান্তি চরমে
ঝিনাইদহ: ফিটনেস ও কাগজপত্র না থাকায় বন্ধ রয়েছে ঝিনাইদহের বাস মালিকদের অধিকাংশ বাস। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। এছাড়া কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে বাসের চালক ও শ্রমিকরা।
জানা যায়, দেশজুড়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন আর বিশেষ ট্রাফিক সেবা সপ্তাহ শুরু হওয়ার পর জেলা থেকে ছেড়ে যাওয়া স্থানীয় ও দূরপাল্লার অনেক বাস বন্ধ রেখেছে এর মালিকরা। ফিটনেস ও কাগজপত্র না থাকায় তারা বন্ধ রেখেছে বাস। আর এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে জেলা থেকে দূরপাল্লা ও স্থানীয় রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। বাস না পেয়ে অবৈধ যান নসিমন, আলমসাধু এমনকি ইজিবাইকে চলাচল করতে দেখা গেছে অনেককে।
ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা মাগুরার সজিব হোসেন জানান, তিনি ৩০ মিনিট যাবৎ বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। একটিও বাস আসেনি। প্রথম দিকে একটি বাস এসেছিল, তবে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে যেতে পারেননি।
ঝিনাইদহ শহর থেকে কালীগঞ্জগামী নাজমা খাতুন নামে এক যাত্রী জানান, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি শহরে বেড়াতে এসেছিলেন। বাসের অভাবে কালীগঞ্জে যেতে পারছেন না। তার সঙ্গে রয়েছে কয়েকটি ব্যাগ। এখন অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে সিএনজিতে করে যেতে হবে তাকে।
এদিকে বাস না চলায় অর্থের অভাবে দিন কাটছে চালক ও শ্রমিকদের।
ঝিনাইদহ থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী এডি পরিবহনের সুপারভাইজার সাগর হোসেন বলেন, ‘গত কয়েকদিন যাবৎ বাস বন্ধ রয়েছে। যে কারণে আমাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে অর্থের অভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি আমরা।’
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি রোকনুজ্জামান রানু জানান, কাগজসহ গাড়ির ফিটনেস না থাকার কারণে ঝিনাইদহে কিছু বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ করে গাড়ির ফিটনেস ঠিক করা বা টাকা জমা দেয়া সম্ভব না। সরকার যদি কয়েক দিন সময় দিত তবে বাস মালিকরা দ্রুত গাড়ির এসব সমস্যা সমাধান করতে পারত।
ঝিনাইদহ জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির দেয়া তথ্য মতে, জেলায় স্থানীয় ও দূরপাল্লার চলাচলকারী বাসের সংখ্যা ৬৭৬টি। যার প্রায় ৪০ ভাগ বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।