লন্ডন এক্সপ্রেসের নতুন রুট কলকাতা
ঢাকা: সিলেট চট্টগ্রাম কক্সবাজারের পর এবার কলকাতায় নতুন রুট খুলেছে 'লন্ডন এক্সপ্রেস'। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দিনে চারটি 'লন্ডন এক্সপ্রেস' বাস যশোর বেনাপোল যাবে। তারপর ইমিগ্রেশন শেষে ভারত অংশে ভলবো বাসে কলকাতায় যাত্রী পৌঁছানো হবে। 'কাঁটা সার্ভিস' হিসেবে এটি চলবে কিন্তু বাস কর্তৃপক্ষ কলকাতার নামেই টিকিট বিক্রি করছেন।
বুধবার (১৫ আগস্ট) লন্ডন এক্সপ্রেসের 'ঢাকা-কলকাতা' রুট উদ্বোধন করা হয়। জার্মানীর ম্যান ব্রান্ডের ২৮ সিটের লন্ডন এক্সপ্রেস বাসে ভাড়া কলকাতা পর্যন্ত ১৮০০ এবং বেনাপোল পর্যন্ত ১৪০০ টাকা। রাত সাড়ে ১০টায় বাসটি ছাড়বে।
লন্ডন এক্সপ্রেসের মালিক নুরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়ে বার্তা২৪ কে বলেন, 'তাদের বাস ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে বেনাপোল পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে যাবে। রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আরামবাগ থেকে যাত্রা শুরু করবে। কল্যাণপুর কাউন্টার থেকেও যাত্রীরা উঠতে পারবে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন ২টি বাস ঢাকা থেকে আর ২টি চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে ঢাকা হয়ে বেনাপোল যাবে। আর বেনাপোলে বাংলাদেশ সীমান্ত শেষে ভারত অংশে ভলবো বাসের ব্যবস্থা করে রাখা থাকবে।
কলকাতার নামে এ ধরণের বাস সার্ভিস অবৈধ এবং সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়- বলে সরকারি বাস সংস্থা বিআরটিসির অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা এবং কলকাতার মধ্যে বাস চালানোর অনুমতি রয়েছে কেবল 'শ্যামলী এন আর ট্রাভেল' এর। একমাত্র শ্যামলী এন আর বাস ঢাকা থেকে সরাসরি সড়কপথে কলকাতা যায়। ঢাকা থেকে আর কোন বাসের কলকাতা যাবার অনুমোদন নেই।
এ বিষয়টি জানালে লন্ডন এক্সপ্রেসের মালিক নুরুল ইসলাম উদাহরণ দেখিয়ে প্রশ্ন রাখেন, 'বাংলাদেশ থেকে যদি কানাডা যান তাহলে ২ থেকে ৩ বার প্লেন বদলাতে হয়। এগুলো কি?
কিন্তু দু'দেশের সরকার নির্ধারিত এবং রাজস্ব ছাড়া এরকম বাস অপারেটরদের বিরুদ্ধে বিআরটিসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়ে রেখেছে। লন্ডন এক্সপ্রেস ছাড়া আরও ১৩টি বাস কোম্পানি কলকাতার নামে বেনাপোল পর্যন্ত বাস চালাচ্ছেন।
লন্ডন এক্সপ্রেস গত বছর ঢাকা সিলেট রুট দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু করে। ১৬টি জার্মান ম্যান ব্রান্ডের বিলাসবহুল বাস বহর রয়েছে তাদের। এর মধ্যে এর মধ্যে ১১টি বিজনেস ক্লাস বাকি ৫টি ইকনোমি ক্লাস। ঢাকা-সিলেট রুটে চলে ৬টি এবং ঢাকা চট্টগ্রাম কক্সবাজার রুটে ৬টি। আরও চারটি বাস দিয়ে এবার শুরু হলো বেনাপোল পর্যন্ত তাদের বাস সেবা।