জাতীয় নির্বাচনের আগে সংলাপের সম্ভাবনা নেই: ইসি সচিব

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপের কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের আগে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নেই।

বৃহস্পতিবার (১৬ অাগস্ট) আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে কমিশন বৈঠক শেষে  দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ বিষয়ে তিনি বলেন, সংসদের প্রথম অধিবেশন ২৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই হিসেবে ৩০ তারিখ থেকে  আমাদের কাউন্টডাউন শুরু হবে। নির্বাচন কমিশন সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সেই হিসেবে অক্টোবরের শেষে অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার সকল প্রস্তুতি আছে। তবে নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে আলোচনা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনের ৮০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনের শতকরা ৮০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন কমিশন যে নির্দেশনা দেবে তা বাস্তবায়ন করব। নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি হিসেবে যা যা করা দরকার তার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলাদা একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং সামনে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করব সেগুলোর চেকলিস্ট তৈরি করার নির্দেশনা দিয়েছে।

চেকলিস্টে কোন বিষয়গুলো থাকতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চেকলিষ্টে তিনশো আসনের ভোটার তালিকা প্রস্তুত, ভোটকেন্দ্রগুলো ব্যবহার উপযোগি হয়েছে কিনা, আরো ভোটকেন্দ্র তালিকাভুক্তি প্রয়োজন আছে কিনা, ব্যালট পেপারের বন্য কাগজ কেনা, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দসহ নির্বাচনের জন্য সামগ্রিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়গুলো থাকবে। পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণের বিষয়টিও আছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি কতটুকু। নির্বাচনের কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবার অবহিতকরণসহ সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

ইসি সচিব জানান, ভোটার তালিকার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আমাদের ৪২ হাজার ভোট কেন্দ্র আছে, আরো পাঁচ হাজার কেন্দ্র বাড়তে পারে। এগুলোর খসড়া তালিকা জেলা-উপজেলায় প্রকাশ করা হয়েছে। যারা স্টেকহোল্ডার আছে তাদের যদি কোন আপত্তি থাকে সে বিষয়ে শুনানী গ্রহণ করা হবে, সেগুলো সরেজমিনে তদন্ত করে তারা নিষ্পত্তি করে আমাদের কাছে গেজেট নোটিশ পাঠাবে। এছাড়াও নির্বাচন সামগ্রী ক্রয়ের যে বিষয়টি রয়েছে ইতোমধ্যে যারা টেন্ডার আহ্বান করে তাদের কার্যাদেশ প্রদান করেছি। তারা সহসাই আমাদের মালামালগুলো সরবরাহ করবে।

তিনি বলেন, প্রতিবছর সার্ক দেশসমূহের প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে ফেম্বোসা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আগামী ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর দুইদিনব্যাপী ঢাকায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। হোটেল রেডিসনে স্পিকার শিরিন শারমিন সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। আটটি দেশের নির্বাচন নিয়ে ও নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। তারা তাদের অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করবেন।

তফসিল ঘোষণার আগে এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আয়োজক দেশ হিসেবে আমরা এ সম্মেলনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি। যেহেতু সার্কভুক্ত দেশগুলো এখানে অংশ নেবে ফলে আমরা তাদের অভিজ্ঞতা গুলো গ্রহণ করতে  পারি। কোন দেশে কিভাবে নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনের পদ্ধতিগুলো কি, জনগণকে সম্পৃক্ত করে রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পৃক্ত করে কিভাবে নির্বাচন করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে এখানে আলোচনা হবে।