বিশ্বকাপ ক্রিকেট বাংলাদেশ নিয়ে গান করলো লোকসংগীত ব্যান্ডদল ‘নকশীকাঁথা’। বাংলাদেশ মাঠে নামার আগের দিন (১ জুন) ইউটিউবে প্রকাশ করা হবে গানটি।
মজার বিষয় হলো- ‘নকশীকাঁথা’ ব্যান্ডদলের প্রধান সাজেদ ফাতেমীর সঙ্গে বিশ্বকাপের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছে তার দুই মেয়ে।
বিজ্ঞাপন
জানি গর্জে উঠবে বাঘ বাহিনী ক্রিকেট বিশ্বকাপে/ জানি ফুঁটবে সুখের হাজার দৃশ্য ব্যাটবল হাতে/ জয়ের জন্য খেলতে নামো/ আসতেই পারে পরাজয়/ ভয় পেয়োনা পেয়োনা ভয়/ লড়াই করে হেরে গেলেও কোনো অর্জন হয়না শেষ/ জেতো হারো সবসময়ই পাশে পুরো বাংলাদেশ।’ এমনই কথায় গানটি লিখেছেন হাসান আহমেদ।
নতুন গানটি প্রসঙ্গে ফাতেমী বলেন, ক্রিকেট আমাদের জাতীয় জীবনের সঙ্গে মিশে গেছে। আর বিশ্বকাপ মানেই উত্তেজনা। তবে জিতলে দলের পাশে আছি আর হারলে গালাগালি এটিতে আমরা বিশ্বাস করি না। হারলেও বাংলাদেশের পাশে আছি সে বার্তা দিতে চেয়েছি। গানটিতে নিজের দুই মেয়ে রোদসী ও উদিশাকে নেওয়া প্রসঙ্গে ফাতেমী বলেন, ওদের ক্রিকেট নিয়ে দারুণ আগ্রহ আছে। আর গানটাও করে। ক্রিকেট নিয়ে গান বলে আগ্রহ দেখানোতে ‘নকশীকাঁথা’ সুযোগটি হাতছাড়া করেনি।
দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে নানা ধরনের ছবিতে নানা রকমের চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার সুপারস্টার আল্লু অর্জুন। তবে জাতীয় পুরস্কার উঠেছে ২০২২-এ ‘পুষ্পা’ ছবির জন্য।
অন্যদিকে, এই ছবির নায়িকা রাশমিকা মান্দানাও ক্যারিয়ারে সোনালি সময় পার করছেন। একের পর এক ধামাকা দিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে ‘পুষ্পা’ দিয়ে প্যান ইন্ডিয়ান তারকার খেতাব জুটিয়ে নেন। এরপর গত বছর ‘অ্যানিমেল’ দিয়ে বলিউডেও নিজের আসন পাকাপোক্ত করেন।
এবার ‘পুষ্পা ২’ ঘিরে রয়েছেন ব্যাপক আলোচনায়। এমনকী সিনেমাটির জন্য জাতীয় পুরষ্কারও প্রত্যাশা করছেন অভিনেত্রী! গত ২৮ নভেম্বর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল অব ইন্ডিয়ার সমাপনী আসরে উপস্থিত হন এ অভিনেত্রী। সেখানেই তার কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। সংবাদকর্মী তার কাছে জানতে চান, ‘পুষ্পা ২’ দিয়ে অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা আছে? রাশমিকার উত্তর, ‘আশা করছি।’
এদিকে, অভিনেত্রীকে ঘিরে আরও একটি আলোচনা চাউর হয়েছে শোবিজ অঙ্গনে। সেটি হচ্ছে, পারিশ্রমিক বাড়ছে রাশ্মিকার। ‘পুষ্পা ২’ মুক্তির পর নাকি তিনি হতে চলেছেন ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী! বেশ কিছুদিন ধরেই এই গুঞ্জন চলছে। তবে সে গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন রাশ্মিকা। অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে রাশ্মিকা বলেন, ‘বিষয়টির সঙ্গে আমি একমত নই। কারণ এটা সত্য নয়।’
৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে ‘পুষ্পা ২’। এবারও সিনেমাটিতে প্রধান ভূমিকায় রয়েছেন আল্লু অর্জুন। সঙ্গে রয়েছেন ফাহাদ ফাসিল ও রাশ্মিকা মান্দানা। এরই মধ্যে সিনেমাটি দর্শকের আগ্রহ তুঙ্গে। ট্রেলার থেকে গান, প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে হচ্ছে তুমুল চর্চা। এমনকি ট্রেলার প্রকাশের অনুষ্ঠানে লাখো দর্শকের ঢল দেখে অনেকেই ভাবছেন, বক্স অফিসে ফের চুরমার করতে আসছে ‘পুষ্পা’।
সুকুমার পরিচালিত ‘পুষ্পা ২ : দ্য রুল’ নির্মিত হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি রুপিতে। তবে মুক্তির অনেক আগেই বিভিন্ন স্বত্ব বিক্রি করে সিনেমাটির আয় ছাড়িয়ে গেছে এক হাজার কোটি রুপি! বক্স অফিস বিশ্লেষকদের ধারণা, বড়সড় চমক দেখাতে চলেছে সিনেমাটি।
নেটফ্লিক্সের ‘টু হট টু হ্যান্ডেল’ তারকা ওলগা বেডনারস্কা প্রায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ ধরা পড়েছেন। যার বাজারমূল্য দুই কোটি টাকারও বেশি। নেটফ্লিক্সের ‘টু হট টু হ্যান্ডেল’ শো দিয়ে তারকাখ্যাতি পাওয়া এই তারকা যুক্তরাজ্যে ক্লাস বি মাদক আমদানির নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
এই রিয়ালিটি টিভি তারকা এরই মধ্যে আদালতে ৪০ কেজি গাঁজা যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেছেন।
বেডনারস্কাকে অক্টোবর মাসে ম্যানচেস্টার এয়ারপোর্টে থাইল্যান্ড থেকে আসা একটি ফ্লাইট থেকে নামার পর আটক করা হয়। যেখানে কর্মকর্তারা দুটি স্যুটকেসে এক লাখ ৫৭ হাজার ইউরো মূল্যের ‘ক্লাস বি’ মাদক শনাক্ত করেন। বাংলাদেশি টাকায় এর মূল্য প্রায় দুই কোটি ৩৭ লাখ টাকারও বেশি।
গ্রেপ্তারের পর বেশ কয়েক সপ্তাহ হেফাজতে থাকার পর আদালত সিদ্ধান্ত নেয়, তাকে ১৫ দিন পুনর্বাসন কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে।
তাকে ২০ মাসের অস্থায়ী সাজাও দেওয়া হয়। সেই সাজায় উল্লেখ করা হয়েছে, অভিনেত্রী যদি ২০২৬ সালের নভেম্বরের মধ্যে কোনো অপরাধ করেন, তবে তাকে ২০ মাস জেল খাটতে হবে।
বেডনারস্কা আদালতে দাবি করেন, তাকে একজন বলেছিল কিছু ডিজাইনার ঘড়ি এবং কাপড় যুক্তরাজ্যে নিয়ে যেতে হবে। সে জন্য তাকে ১৮ হাজার ইউরো এবং ফ্লাইটের খরচ দেওয়া হবে।
এর মধ্যে মাদক আছে তা জানতেন না তিনি। তার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে বলেন, ‘আপনি এমন একজনের ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন, যাকে আপনি খুব ভালোভাবে জানতেন না। এটাও একটা অন্যায়। আপনি মাদক পাচারে সরাসরি যুক্ত হয়েছেন। নিজে লাভবান হওয়ার আশায় যাছাই না করেই অবৈধ জিনিস বহন করেছেন।’
ডেইলি মেইলের প্রতিবেন অনুসারে, যখন অভিনেত্রীকে এয়ারপোর্টে আটক করা হয়, তখন তিনিস স্যুটকেসের কোডও জানতেন না। প্রায় ১৬ হাজার ইউরোর ঋণে ডুবে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তিনি তার আয় থেকে বেশি খরচ করতেন। ঋণ থেকে বাঁচার জন্যই তিনি অন্যের জিনিস আনা-নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন।
রাজস্থানের দু’শো বছরের পুরনো দুর্গে বিয়ে করলেন বলিউড তারকা অদিতি রাও হায়দরি এবং দক্ষিণি অভিনেতা সিদ্ধার্থ সূর্যনারায়ণ।
অনেক বলিউড তারকার মতো অদিতি আর সিদ্ধার্থও ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করলেন। অনেক তারকার মতো বিয়ের পোশাকের জন্য তারাও বেছে নিয়েছেন বিখ্যান ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের পোশাক। তবে অন্য বিয়ের সঙ্গে মিল বলতে এইটুকুই। অনেক বিষয়েই বলিউডি বিয়ের গদবাঁধা নিয়ম ভেঙেছেনও তারা।
অদিতি-সিদ্ধার্থ বলেছিলেন, ‘ম্যাজিক আর ভালবাসা এখনও ফুরোয়নি’। অদিতি রাও হায়দরি এবং সিদ্ধার্থ সূর্যনারায়ণের অনুরাগীদের সেই ইঙ্গিতই যথেষ্ট ছিল। তারা বুঝে গিয়েছিলেন, মন্দিরে পরিবারের উপস্থিতিতে সামাজিক বিয়ে আর তার পরে ফিল্মজগতের তারকাদের সাক্ষী রেখে সাদামাঠা আইনি বিয়েতেই অদিতি-সিদ্ধার্থের বিয়ের উদযাপন শেষ হচ্ছে না, পিকচার অভি বাকি হ্যায়।
অদিতি-সিদ্ধার্থের বিয়ের ধমাকাদার অনুষ্ঠানের জন্য চলছিল অপেক্ষা। অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটালেন অভিনেত্রীই। ইনস্টাগ্রামে বিয়ের তৃতীয় অনুষ্ঠানের ছবি দিলেন অভিনেত্রী।
অদিতি-সিদ্ধার্থ তাদের ডেস্টিনেশেন ওয়েডিংয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলেন রাজস্থানের বিষাণগড়ের ২৩০ বছরের পুরনো আলিলা দুর্গ। আরাবল্লির নয়নভিরাম দৃশ্যপটে আঁকা ছবির মতো রাজস্থানের ওই দুর্গ বিখ্যাত তার ঐতিহ্যবাহী শিল্পনিদর্শনের জন্য।
তবে অদিতি-সিদ্ধার্থ দুর্গের কোনও প্রাসাদোপম কক্ষে বিয়ের মণ্ডপ বাঁধেননি। বরং দুর্গের ধূসর পাঁচিলের গা ঘেঁষে এক বিরাটদেহী নিমগাছের নীচে মালাবদল করেছেন দু’জন।
মন্দিরে যাগযজ্ঞ করে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কাগজে সইসাবুদের বিয়েও হয়েছে। অদিতি এবং সিদ্ধার্থের তৃতীয় বিবাহ অনুষ্ঠানে দু’জনকে দেখা গেল মালাবদল করতে। তাদের গলায় ছিল জুঁই এবং অন্য নানা রকম সাদা ফুলের গোড়ের মালা। তবে বিয়ের মণ্ডপ সাজানো হয়েছিল অগুনতি রজনীগন্ধার মালা দিয়ে।
তারকাদের বিয়ের পোশাক হয় জমকালো। দীপিকা পাড়ুকোন থেকে শুরু করে অনুষ্কা শর্মা, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, কিয়ারা আদভানি, নয়নতারা, কাজল আগারওয়ালসহ অনেক নায়িকার বিয়ের পোশাক এবং গয়না ছিল জমকালো। আলিয়া ভাটই প্রথম একেবারে ছিমছাম সাজে বিয়ে করেন। তার বিয়ের পোশাক আর গয়না ছিল খুবই হালকা, তবে ইউনিক। কিন্তু অদিতির পোশাকের অনাড়ম্বর ভাব আলিয়াকেও টেক্কা দিয়েছে।
নকশাহীন একরঙা একটি ফুলহাতা ব্লাউজ পরেছেন অদিতি। সঙ্গের অরগ্যাঞ্জার ওড়নাটিতেও কোনও নকশা নেই। শুধু রয়েছে হালকা সোনালি মেরুন পাড়। অদিতির লাল লেহঙ্গার যাবতীয় নকশাও সীমিত ছিল চওড়া পাড়ে।
এর সঙ্গে অদিতি পরেছিলেন একটি মাত্র চোকার হার, ঝুমকো দুল, নথ এবং মাথাপট্টি। হাতে চুড়িও পরেননি অদিতি।
অন্য দিকে সিদ্ধার্থ পরেছিলেন নকশাহীন ক্রিমরঙা সিল্কের শেরওয়ানি-চুড়িদার আর সাদার উপর সাদা কাজ করা অরগ্যাঞ্জার শাল। গলায় অবশ্য সাত ছড়া মুক্তোর হার পরেছিলেন সিদ্ধার্থ। দু’জনেরই পোশাক এবং গয়না তারই নকশা করা বলে জানিয়েছেন সব্যসাচী।
সাধারণত বলিউডের তারকাদের ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের খবর চাউর হয়ে যায় অনেক আগে থেকেই। আমন্ত্রিত তারকাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনো থেকে শুরু করে সেখানে প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে তাদের পোশাক-আশাক কার্যকলাপ— সবই ছবিশিকারি মারফত ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। এ ক্ষেত্রে তেমন হয়নি।
অদিতি-সিদ্ধার্থ নিজেরাই বিয়ের ছবি দিয়ে চমকে দিয়েছেন। অনুরাগীদের মনে তাই প্রশ্ন, অতিথিদের নিয়ে কি তবে বিয়ের একটা চতুর্থ অনুষ্ঠানও করবেন অদিতিরা? বিয়ের ছবির ক্যাপশনে যদিও তেমন কোনও ইঙ্গিত দেননি অদিতি বা সিদ্ধার্থ। তারা শুধু লিখেছেন, ‘জীবনে যদি কিছু ধরে থাকতে হয়, তবে একে অপরকে ধরে রাখাই সবচেয়ে ভাল।’
আজ রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম মাতাতে প্রস্তুত বলিউড ও পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম। তার মঞ্চে ওঠার আগেই পাওয়া গেলো নতুন খবর। আরেক প্রখ্যাত বলিউড ও পাকিস্তানি গায়ক রাহাত ফতেহ আলী খানও আসছেন ঢাকায় গাইতে।
আগামী ২১ ডিসেম্বর একই ভেন্যুতে 'ইকোস অব রেভ্যুলেশন' শিরোনামে একটি চ্যারিটি কনসার্টে গাইবেন তিনি। কনসার্ট থেকে আয়কৃত অর্থ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তার জন্য শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে দান করা হবে। বিশ্বখ্যাত সংগীতজ্ঞ রাহাত ফাতেহ আলী খান ছাড়াও কয়েকটি জনপ্রিয় দেশীয় ব্যান্ড গান পরিবেশন করবেন।
আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে কনসার্টটির আয়োজক 'স্পিরিটস অফ জুলাই' আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন 'স্পিরিটস অফ জুলাই’-এর সদস্য ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ রিজভী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাদেকুর রহমান সানি, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জাফর আলী এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওয়াহিদ-উজ-জামান।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, '‘জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়াতে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ নামক এক প্লাটফর্মের মাধ্যমে আগামী ২১ শে ডিসেম্বর (শনিবার) ‘ইকোস অব রেভ্যুলেশন’ শিরোনামে একটি চ্যারিটি কনসার্ট আয়োজন করতে যাচ্ছি। এই কনসার্ট থেকে আয়কৃত সম্পূর্ণ অর্থ আমরা আন্দোলনে আহত-নিহতদের পরিবারকে সহায়তা করার মাধ্যমে তাদের পাশে থাকতে চাই। এ প্রেক্ষিতে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় জুলাই গণহত্যায় শহীদ ও আহতদের পরিবার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এ দান করা হবে।'’
গত ১২ নভেম্বর ‘স্পিরিটস অফ জুলাই’ প্লাটফর্মের সঙ্গে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করা হয়েছে বলেও লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।
কনসার্টের মূল আকর্ষণ বিশ্বখ্যাত সংগীতজ্ঞ রাহাত ফাতেহ আলী খান বিনা পরিশ্রমে গান পরিবেশন করবেন উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, 'বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) তার সঙ্গে ‘স্পিরিটস অফ জুলাই’-এর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তিতে আমাদের কনসার্টে তিনি বিনা পারিশ্রমিকে পারফর্ম করবেন বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন অর্থাৎ তার পারিশ্রমিকও আহত-নিহতদের পরিবারকে প্রদান করা হবে।'
এ ছাড়া কনসার্টে স্বল্প পারিশ্রমিকে দেশীয় সংগীত ব্যান্ড আর্টসেল, চিরকুট, অ্যাশেজ, আফটারম্যাথ ও র্যাপ সংগীতশিল্পী সেজান এবং হান্নানও গান পরিবেশন করবেন বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়। সংগীত ছাড়াও কনসার্ট ইভেন্টে জুলাই বিপ্লব-সংক্রান্ত গ্রাফিতি প্রদর্শনী, মঞ্চনাটক এবং মুগ্ধ ওয়াটার জোনসহ আরো বিভিন্ন কর্ণার থাকবে বলে এ সময় উল্লেখ করা হয়।
ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কনসার্টের টিকেট বিক্রি শুরু হতে পারে বলে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, 'চ্যারিটি কনসার্টটির টিকিটের শুভেচ্ছা মূল্য মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে, তবে এর পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। শিগগিরই মূল্য নির্ধারণ করে টিকিটের সামগ্রিক বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে।'
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, 'অর্থ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ও পরামর্শ প্রদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেছি। এ পরিষদে রয়েছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মাহফুজুল হক সুপণ, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আনসারুল আলম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ মাহবুব কায়সার, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ রুহুল আমিন ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীম উদ্দিন খান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আলম চৌধুরী, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল হক খান, বারডেম হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল হাসান মুনির এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি।'
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কনসার্টের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মাহফুজুল হক সুপণ, অধ্যাপক ড. আনসারুল আলম, মোহাম্মদ মাহবুব কায়সার, কনসার্টের টাইটেল স্পন্সর প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জিয়াউর রহমান ও কনসার্টের আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী এস এম এহসান উল্লাহ ধ্রুব, সংগীত বিভাগের ওয়াজীহ তওসীফ, বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের নূর-এ-আলম, আইন বিভাগের আরাফাত চৌধুরী, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স শিক্ষার্থী হাসিব-উল-হাসান; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান নাজিব এবং আইইউবির মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাইয়ান রহমান প্রমুখ।