টিপু তুমি কার, রাঙ্গায় হাহাকার!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
কাদের ও রওশনের ডাকা দুই সাংবাদিক সম্মেলনেই উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কাদের ও রওশনের ডাকা দুই সাংবাদিক সম্মেলনেই উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রওশন এরশাদের বাসায় সাংবাদিক সম্মেলন করে রওশনকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। ঘণ্টা দু'য়েক পরে বনানী চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি জিএম কাদের- নিজেকে পার্টির গঠনতান্ত্রিক চেয়ারম্যান দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদের তার পক্ষে গঠনতন্ত্রের নানা ধারা উপ-ধারার ব্যাখ্যা দেন। এরশাদ জীবদ্দশায় তাকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে গেছেন, সেটাও জানিয়ে দেন। দু'টি সাংবাদিক সম্মেলনেই দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর অবস্থান লক্ষণীয়। দুই গ্রুপই অনেক শোডাউন করে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়।

তবে ব্যতিক্রম দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও লঞ্চ মালিক সমিতির নেতা গোলাম কিবরিয়া টিপু। দু'টি সাংবাদিক সম্মেলনেই তাকে প্রথম সারিতে দেখা গেছে।

এ প্রসঙ্গে গোলাম কিবরিয়া টিপু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'দলটা যাতে না ভাঙে আমি আসলে সেই চেষ্টা করছি।'

তবে আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে- পার্টির মহাসচিবের অনুপস্থিতি। দুই সাংবাদিক সম্মেলনের কোনোটিতেই মসিউর রহমান রাঙ্গাকে দেখা যায়নি।

রওশন পন্থিরা দাবি করেছেন- রাঙ্গা তাদের সঙ্গে আছেন, ফোনে সম্মতি দিয়েছেন। আবার জিএম কাদেরও জানিয়েছেন- মহাসচিব তার সঙ্গেই আছেন।

রওশন-কাদের ইস্যুতে সিনিয়র নেতারাও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। রওশনের পাশে ছয়জন সংসদ সদস্যসহ ১১ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যকে দেখা যায়। আবার কাদেরের সাংবাদিক সম্মেলনেও ছয়জন সংসদ সদস্যসহ ১২ জনের মতো প্রেসিডিয়াম সদস্যকে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: রওশন নিজের মুখে কিছু বলেননি: জিএম কাদের

রওশনের বাসার সামনে তার নামে স্লোগান দেওয়া হয়। 'রওশন তুমি এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে, পল্লী মাতা এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে'। আবার বনানীতে স্লোগান ওঠে- 'জিএম কাদের এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে। আনিসের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে…..দালাল তোরা নামিস না হাড়-মাংস রাখব না….'।

এরশাদের জীবদ্দশায় জাতীয় পার্টি তিন দফায় ভেঙেছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর দুই মাস পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই আরেকবার ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে দলটি। অতীতে যেভাবে ভেঙেছে এবারও অনেকটা তেমন পরিস্থিতি। প্রয়াত কাজী জাফর আহমদের হাত ধরেই সর্বশেষ ভাঙনের শিকার হয়েছে। ওই সময়ে এরশাদ জাফরকে বহিষ্কার করলে, কাজী জাফরও পাল্টা বহিষ্কার করেন এরশাদকে। এভাবে জন্ম নেয় জাতীয় পার্টি (জাফর)।

এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। এবার কেউ কাউকে বহিষ্কার করেননি। দু'পক্ষই নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করছেন, একে অপরকে কো-চেয়ারম্যান বলছেন। জিএম কাদের বলেছেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবেন। তাহলে কী সেই আগের পথেই হাঁটতে যাচ্ছে জাপা?

আরও পড়ুন: ‘বাহ্যিকভাবে রওশনকে কেউ চেয়ারম্যান ঘোষণা করতে পারে না’

প্রথম দফায় জাতীয় পার্টি ভাঙনের কবলে পড়ে মিজানুর রহমান চৌধুরী ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে। দ্বিতীয় দফায় ভাঙনের শিকার হয় নাজিউর রহমান ও কাজী ফিরোজ রশীদের নেতৃত্বে। তখন এরশাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে পৃথক জাতীয় পার্টি গঠন করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়। ফিরোজ রশীদ অনেক পরে এরশাদের জাতীয় পার্টিতে ফিরে আসেন। এখন তিনি জিএম কাদেরের পেছনে একাট্টা আছেন বলে ধারণা করা হয়।

জিএম কাদের পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য স্পিকারকে চিঠি দেওয়ার পর থেকেই ভাঙন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জিএম কাদেরের চিঠি ইগনোর করার জন্য রওশনের পক্ষ থেকে পাল্টা চিঠি দেওয়া হয়। রওশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্যরা তাকে নেতার কাজ চালিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন। আবার জিএম কাদের বলেছেন, বেশিরভাগ এমপি তাকে নেতা হওয়ার জন্য সমর্থন দিয়েছেন।

এর আগে এরশাদের মৃত্যুর পর জিএম কাদেরকে যখন পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয় তখন প্রতিক্রিয়া দেখায় রওশন। রওশন পন্থিরা জিএম কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলে মনে করেন। তারা কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে স্বীকৃতি দেন না।

এখন দু'টি বিষয় সামনে চলে এসেছে। একটি হচ্ছে- ৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংসদ অধিবেশনে পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারম্যান তথা বিরোধী দলীয় নেতার আসনে কে বসবেন। একই সময়ের মধ্যে রংপুর-৩ (সদর) উপ-নির্বাচনে কোন গ্রুপ প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন। এক গ্রুপ কাউকে মনোনয়ন দিলে অন্য গ্রুপ সেটাকে কীভাবে নেবেন?

আরও পড়ুন: 'রওশন এরশাদ আজ থেকে জাপার চেয়ারম্যান'

আরও পড়ুন: জিএম কাদেরকে ঠেকাতে স্পিকারকে রওশনের চিঠি

   

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৪ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃবৃন্দের অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে। জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না।

জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়। সে কারণে তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে। বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

;

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সংহতি ছাত্রলীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (৪ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরে করা এক বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন ছাত্রলীগ।

বিবৃতে দলটি জানায়, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে। চলার পথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দৃঢ় ঘোষণাকে সদা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি।

এতে আরও বলা হয়, নিরীহ-নিরাপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সাথে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে, আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাঁধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং এর নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলো। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিলো।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়। তাঁদের পদাঙ্কন অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচি-

আগামী সোমবার (৬ মে) সকাল এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন হতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে দলটি।

একইসাথে, ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসাথে একইসময়ে এই কর্মসূচি পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

;

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ: বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

;

সরকার উৎখাতের দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না: মির্জা আব্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার বা রাখার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে , তখন এই সরকারকে লাথি দিয়ে ফেলে দিবে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্রেফতার করে পৃথিবীর কোন আন্দোলন, কোন স্বৈরশাসক থামাতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না এমন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই জনরোষের মুখে। এটাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

তিনি বলেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সে নির্বাচন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই। এখন একটি কাজ করতে পারেন রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন। নির্বাচনের কথা আপনাদের (সরকার) মুখে মানায় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কাদের সাহেব বললেন, জেলে কোন রাজবন্দী নেই। কি সুন্দর কথা বললেন কাদের সাহেব, আমার খুব হাসি পায়। কাদের সাহেব আপনি যখন ওয়ান-ইলেভেনে জেলে ছিলেন। আপনি কি চোর হয়ে সেদিন জেলে গিয়েছিলেন? না, রাজবন্দী হয়ে জেলে গিয়েছিলেন, আমি জানতে চাই। এক - এগারোর সময় আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী উনিও জেলে গিয়েছিলেন। উনি কি হয়ে জেলে গিয়েছিলেন? আমি জানতে চাই।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ।

;