আপনার স্বভাব প্রকাশ পায় নখে

  • জ্যোতিষী রুবাই
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

বেশ কয়েকটা প্রতিবেদনে এর আগে সমুদ্র শাস্ত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। আঙুল এবং নখ দ্বারা বিচার সমুদ্র শাস্ত্রের অন্তর্গত। শুধু সমুদ্র শাস্ত্রেই নয় পাশ্চাত্য জ্যোতিষ শাস্ত্রে নখ সম্বন্ধে গবেষণা করা হয়।

পাশ্চাত্যের গবেষকরা মনে করেন, মনের বিভিন্ন ভাবের সঙ্গেই নখের মধ্যেও পরিবর্তন আসে। অর্থাৎ মানসিক অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নখেরও বিভিন্ন পরিবর্তন হতে থাকে।

বিজ্ঞাপন

দীর্ঘদিন ধরে জাতকের হস্তরেখা পর্যবেক্ষণ করছেন এমন জ্যোতিষী খুব সহজেই নখের এই পরিবর্তন বুঝতে পারেন। তবে জটিল গণনা পদ্ধতি বাদ দিয়ে কিছু সহজ পদ্ধতি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল। এর মাধ্যমে পুরোপুরি না হলেও অন্তত কিছুটা ভবিষ্যৎ আপনাদের নখদর্পণে আসতে পারে।

কোন ধরনের নখ আপনার সম্বন্ধে কী তথ্য দিতে পারে?

যাদের নখের আকৃতি লম্বাটে ধরনের, এমন ব্যক্তি উদার, প্রগতিশীল এবং হাসিখুশি থাকে। হালকা স্বভাবের। এই ব্যক্তিরা সকলের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

যাদের নখের আকৃতি এবং চেহারা যথেষ্ট কঠিন, তারা নিজের কথাতেই অটল থাকেন। এমনকি সেটা ভুল হলেও নিজের কথা থেকে সরে আসেন না। তারা কিছুটা রাগী স্বভাবের হতে পারেন।

যাদের নখ লম্বা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাতলা ধরনের হয় এমন ব্যক্তির মধ্যে দৃঢ় মানসিক ক্ষমতার অভাব দেখা যায়। তারা কিছুটা ভীতু স্বভাবের হয়ে থাকেন।

লক্ষ করলে দেখা যায়, বেশিরভাগ জাতকের নখের আকৃতি কিছুটা চৌকো ধরনের। নখ প্রায় চৌকো, তারা সাধারণত দুর্বল চিত্তের হয়ে থাকেন। বিপরীত পরিস্থিতিতে এমন ব্যক্তি সহজেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তাদের জীবন অনেকটাই পরিবার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে।

যাদের নখ দৈর্ঘ্যের তুলনায় বেশি চওড়া, এমন ব্যক্তি সহজে রেগে যান। সকলের সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পারেন না। কেউ তাদের ব্যাপারে নাক গলাক, তা তারা পছন্দ করেন না। তারা স্বভাবতই একা থাকতে পছন্দ করেন।

অনেকের নখ বেশ সাদা হয়ে থাকে। এমন নখের অধিকারী ব্যক্তি স্পষ্ট বিচারের, দৃঢ় মনের, ঐশ্বর্যশালী, প্রেমী এবং পরিশ্রমী হয়ে থাকেন। তারা মূলত যুক্তিমনস্ক হয়ে থাকেন।

নখের আকৃতি ছোট এমন ব্যক্তি নিজের ব্যপারে বেশি ভাবেন। তাদের বিচারধারা সংকীর্ণ। তারা সাধারণত রূঢ় স্বভাবের। এই জাতকরা মানুষের সঙ্গে মিশতে পারে না। সহজেই তারা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।