আদিবাসী ম্রো ভাষায় প্রথম রূপকথার বই



এস এস আল আরেফিন, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মাতৃভাষা, মায়ের মুখের ভাষা। যে ভাষাতে শিশুর কথা বলতে শেখা, পড়তে শেখা।

জাতি হিসেবে বড্ড ভাগ্যবান আমরা। জন্মের পর যে ভাষাতে মা বলে ডাকি,সেই ভাষাতেই পড়ি। পড়ি পাঠ্যবই কিংবা কোন গল্প, উপন্যাস বা রূপকথার বই৷ মাতৃভাষার চাইতে মধুর কোন ভাষা যে হতেই পারে না।

কিন্তু যে দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে ভাষা অর্জন করেছে, সেই দেশে বাস করা কিছু মানুষ তাদের মায়ের ভাষায় কথা বললেও, পায়না মাতৃভাষায় বই পড়ার আনন্দ।

ম্রো বা মুরং সম্প্রদায় বাংলাদেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষুদ্র একটি সম্প্রদায়। অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর তুলনায় পিছিয়ে থাকা এই সম্প্রদায়টির জন্য অন্যরকম এক অনুভুতি নিয়ে এবারের গ্রন্থ মেলায় হাজির হয়েছে বিদ্যানন্দ প্রকাশনী।

প্রথমবারের মত বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বিদ্যানন্দ প্রকাশনী প্রকাশ করেছে আদিবাসী সম্প্রদায় মুরং এর নিজস্ব ভাষায় রচিত বই ‘ম্রো রূপকথা’। এটিই ম্রো ভাষায় প্রকাশিত প্রথম কোন গল্পের বই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/21/1550725595248.jpg

বইটির রচয়িতা ইয়াংঙান ম্রো। বইটি প্রকাশের করার কারণ সম্পর্কে বইটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ প্রকাশনীর প্রতিনিধি সালমান খান ইয়াসিন বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের এতিমখানায় অনেক আদিবাসী শিশু থাকে। এবারের মাতৃভাষা দিবসে তাদের ভিন্নরকম এক উপহার দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ’।

ভবিষ্যতে আদিবাসীদের জন্য এমন আরো বই প্রকাশ করতে চাইলেও আদিবাসীদের ভাষার লেখক খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টকর বলেও জানান ইয়াসিন।

গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশ হওয়া এই বইটি প্রতিদিন গড়ে ১২-১৫টি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান একুশে গ্রন্থমেলার ১টাকার আহার (বিক্রেতাহীন স্টল) স্টলের স্বেচ্ছাসেবক আরিফ মাহাদি। তিনি বলেন, ‘বই গুলো মূলত সাধারণ বাঙালীরাই কিনছে বেশী। প্রচার কম থাকায় ঢাকায় অবস্থানরত আদিবাসীরা তেমন কেউ না জানার কারণে কিনছে না’।

ম্রো আদিবাসীদের জনজীবনে প্রচলিত বিশ্বাস, রূপক, রীতিনীতি এইসব নিয়েই লেখা হয়েছে গল্পের বই 'ম্রো রূপকথা'। দুই ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠী যাতে একই বই পড়তে পারে, সেজন্য এই গল্পের বইটি একই সাথে বাংলা ভাষা ও ম্রো ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/21/1550725614240.jpg

১ টাকার আহার স্টলের সামনে এসেই কোন কথা ছাড়াই ‘ম্রো রূপকথা’ বই টি হাতে তুলে নেন স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ওয়াসি আহম্মেদ। এতো বইয়ের মাঝে কেন এই বইটি তিনি কিনছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলো অনেকটাই অবহেলিত। তেমনিভাবে তাদের ভাষা, সংস্কৃতিও পিছিয়ে রয়েছে অনেকটা। এই বইয়ের মাধ্যমে আমরা যেমন তাদের কথা, তাদের ভাষা, তাদের সংস্কৃতি জানতে পারবো তেমন তাদের ভাষা, সংস্কৃতিও পেল এক অনন্য মাইলফলক’।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এই বইটি বাংলাদেশের মুরং সম্প্রোদায়ের সকলের কাছে বিনামূল্যে পৌছে দিতে চালিয়ে যাচ্ছে ফেসবুক ভিত্তিক প্রচারণা। ইতোমধ্যে, তারা তাদের আদিবাসী এতিমখানার শিশুদের মাঝে পৌছে দিয়েছে মাতৃভাষা দিবসের অনন্য এই উপহার।

আরো পড়ুন: পাখির চোখে ভিন্নমাত্রায় দৃষ্টিনন্দন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আরো পড়ুন: বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধ ‘ফুড রেঞ্জার’

   

কাগজে মোড়ানো খাবার খেলে বাড়বে স্বাস্থ্য ঝুঁকি



লাইফস্টাইর ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কাগজে মোড়ানো খাবার খেলে বাড়বে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

কাগজে মোড়ানো খাবার খেলে বাড়বে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিদিন দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন বিষয়ে খবরা-খবর জানতে অনেকেরই পত্রিকা পড়ার অভ্যাস রয়েছে। খবর পড়া ছাড়াও বিভিন্ন কাজে পত্রিকার ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশেষ করে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার বিক্রিতে এর ব্যবহার অনেক বেশি।

ঝালমুড়ি থেকে সিঙ্গাড়া, ফুচকা, সমুচা, লুচি হোক কিংবা পুরি, রোল, পেঁয়াজু, জিলাপি বা পরোটাসহ এমন বিভিন্ন ধরনের খাবার খবরের কাগজে বিক্রির প্রচলন অনেক পুরনো।

আমাদের অনেকেই প্রতিদিন খবরের কাগজে মোড়ানো এসব ভাজাপোড়া খাবার খেয়ে থাকি। এসব খাবার থেকে যে তেল বের হয়, তা কালির সঙ্গে মিশে গিয়ে শরীরে মারাত্মক বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। খবরের কাগজে মোড়ানো এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

ফুসফুসের ক্যান্সার, লিভার-ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, মূত্রাশয়ের ক্যান্সারসহ নানান রোগের সৃষ্টি হতে পারে কাগজে মোড়ানো খাবার খেলে। এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে খবরের কাগজে মোড়ানো খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।

খবরের কাগজে যে কালি ব্যবহার করা হয় তাতে থাকে ন্যাফথাইলামাইন, অ্যারোম্যাটিক হাইড্রোজেন ও কার্বন যৌগের মতো বায়ো-অ্যাকটিভ পদার্থ। পত্রিকার পাতায় পেঁচিয়ে রাখা খাবারে এসব উপাদান সহজেই মিশে যেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এসব যৌগ পদার্থ শরীরে ঢুকলে দেখা দিতে পারে মারাত্মক বিষক্রিয়া এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা।

পত্রিকার পাতায় মোড়ানো খাবারের সাথে পত্রিকায় ব্যবহৃত কালি মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি করে। এছাড়াও কালিতে থাকা বিভিন্ন যৌগ পদার্থসমুহ মূত্রাশয় ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান উপাদান বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

শুধু কি ক্যান্সার? এ কালি যদি শরীরে ঢুকে তাহলে একাধিক রোগের সৃষ্টি হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, খবরের কাগজে ব্যবহৃত রং পেটে গেলে হজমের সমস্যা হবে। তাছাড়া কাগজে ব্যবহৃত কালি হার্ট, কিডনি, লিভার ও ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, হাড় দুর্বল হওয়াসহ একাধিক রোগের কারণ হতে পারে। কালিতে থাকা ন্যাফথাইলামাইনের কারণে সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

তাই সুস্থ থাকতে খবরের কাগজে মোড়ানো ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।

;

দু’চোখে ঘুম আনতে চুমুক দিন ভেষজ চায়ে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অফিসে কাজের চাপ, পারিবারিক অশান্তির কারণে ওষ্ঠাগত প্রাণ। মানসিক চাপ এত বেশি বেড়ে গিয়েছে যে, রাতে ঘুমও ঠিকঠাক হয় না। তাই দু’চোখে ঘুম আনতে চুমুক দিতে পারেন ভেষজ চায়ে। প্রচলিত ধারণা বলছে, চা খেলে ঘুম চলে যায়। অর্থাৎ, ঘুম ঘুম ভাব বা ঝিমুনি কাটাতে সাহায্য করে এই গরম পানীয়। কিন্তু সারা দিন পর বিছানায় শুয়েও যদি দু’চোখের পাতা এক করতে না পারেন, মন শান্ত না হয় তখনও যে এই চা-ই ঘুম পাড়ানি ওষুধের মতো কাজ করবে এমন ধারণা হয়তো অনেকেরই নেই। তবে যে কোনও চা খেলেই যে ঘুম আসবে, এমনটা কিন্তু নয়।

ক্যাফিনমুক্ত গ্রিন টি

চায়ের মধ্যে ক্যাফিন থাকে। এই ক্যাফিনই কিন্তু স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্যাফিনমুক্ত গ্রিন টি স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করে, মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে। ফলে ঘুম আসে সহজেই।

ক্যামোমাইল চা

অনিদ্রাজনিত সমস্যায় প্রাচীনকাল থেকেই ক্যামোমাইল চায়ের ব্যবহার হয়ে আসছে। উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ রাখতে, প্রদাহনাশক করতে ক্যামোমাইল চায়ের জুড়ি মেলা ভার। সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে এক কাপ চায়ে চুমুক দিলেই ঘুম নেমে আসবে চোখে।

পুদিনা চা

উদ্বেগ, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে কিন্তু ঘুম আসবে না। রাতে ঘুমোনোর আগে মনকে শান্ত রাখতে পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি চা বিশেষভাবে কার্যকরী।

ল্যাভেন্ডার চা

ল্যাভেন্ডার ফুলের কুঁড়ি বা নির্যাস দিয়ে তৈরি চা মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে স্নানের পানিতে দু’ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল আর বিছানায় যাওয়ার আগে ল্যাভেন্ডার চায়ের জোড়া দাওয়াই ঘুম আনতে বাধ্য।

লেমনগ্রাস চা

কাজের চাপ তো আছেই। সঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তনে গা, হাত, পায়ের পেশিতে ব্যথা হয়েছে। জ্বর না এলেও গা ম্যাজম্যাজ করছে। এই সময়ে ঘুম আসতে সমস্যা হয় অনেকেরই। বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করতে হয়। এক কাপ লেমনগ্রাস চায়ে যদি চুমুক দিতে পারেন, সব সমস্যা সঙ্গে সঙ্গে উধাও হবে।

;

কম সময়ে ব্রণ তাড়াতে যেসব খাবার খেতে পারেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিয়ের আর বাকি ১৫ দিন। প্রস্তুতি তাই জোরকদমে চলছে। কেনাকাটা প্রায় শেষের মুখে। ব্যস্ততার ফাঁকেই অনেকে সময় বার করে নিচ্ছেন রূপচর্চার জন্য। ঘরোয়া টোটকা, বাজারচলতি প্রসাধনী ব্যবহার করে মুখে তাৎক্ষণিক জেল্লা এলেও ব্রণ কিছুতেই যেতে চাইছে না। তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। সব সময়ে রূপটান দিয়ে ব্রণ আড়াল করা যায় না। তাছাড়া, ব্রণ থাকলে অনেক সময় আত্মবিশ্বাসও কমে যায়। তাই ব্রণমুক্ত ত্বক পেতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি খাবারে।

গাজর

ভিটামিন এ ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। ব্রণর ব্যথা-বেদনা তো বটেই, এমনকি দাগও কমাতে পারে এই ভিটামিন। গাজরে ভরপুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন এ। তাই রোজ স্যালাড বা সুপে গাজর রাখতে ভুলবেন না। গাজর কাঁচাও খেতে পারেন। আবার চাউমিন, পাস্তাতে দিয়েও গাজর খেতে পারেন।

পাতিলেবু

লেবুতে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান, যা শুধু শরীর নয়, একসঙ্গে যত্ন নেয় ত্বকেরও। পাতিলেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন ত্বক ভাল রাখতে কতটা কার্যকরী, তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে ভিটামিন সি সত্যিই উপকারী। তবে সরাসরি ত্বকে লেবুর রস লাগানো ঠিক হবে না। তাতে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে।

বেরিজাতীয় ফল

স্ট্রবেরি, চেরি, ব্লুবেরির মতো ফলে এক ধরনের অ্যাসিড থাকে, যা রক্ত পরিশুদ্ধ করে। রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। তাছাড়া, এই ফলগুলিতে ভিটামিন সি-ও কম নেই। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। উপকারী এই উপাদানগুলি ত্বকের কালো দাগছোপ দূর করে নিমেষে। সেই সঙ্গে ব্রণ থেকে মুক্তি দেয়।

;

মুখে যে ৫ লক্ষণ ফুটে উঠলেই সাবধান হতে হবে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শরীরে কোনো রোগ বাসা বেঁধেছে কিনা, পরীক্ষা না করে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পক্ষেও বলে দেওয়া কিন্তু কঠিন। আবার এমন অনেক লক্ষণ রয়েছে, যা মুখে ফুটে উঠলেও অনেক সময়েই এড়িয়ে যান সাধারণ মানুষ। সচেতনতার অভাব এবং ধারণা না থাকার ফলে অসুখ শরীরের মধ্যে ডালপালা বিস্তার করতে থাকে। মারাত্মক কিছু ঘটলে তখন খেয়াল হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসায় দেরি হয়ে যায়। তাই আগাম সতর্ক থাকা জরুরি।

চোখের তলার কালি

রাত জেগে কাজ করলে, সিরিজ দেখলে অনেক সময়েই চোখের তলায় কালি পড়তে পারে। আবার মানসিক চাপ, অবসাদের কারণেও চোখের তলায় কালি পড়ে। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলেও কিন্তু এই লক্ষণ ফুটে উঠতে পারে।

চোখের তলার ফোলাভাব

বয়স ৫০ পেরোনোর পরে অনেকেরই চোখের নিচে ফোলাভাব লক্ষ করা যায়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এটি বেশ কিছু রোগের পূর্বলক্ষণ হতে পারে। কোলেস্টেরল থাকলে এমন লক্ষণ ফুটে ওঠে চোখের তলায়। তা ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা থাকলেও চোখের তলায় ফোলা ভাব দেখা যায়।

চোখে হলদেটে ভাব

সাধারণত জন্ডিস হলে, বা রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেশি থাকলে চোখের সাদা অংশ ঘোলাটে বা হলদেটে হয়ে যেতে পারে। তাই এমন লক্ষণ দেখলে আগেভাগে রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি।

রক্তবর্ণ চোখ

স্নান করার পরে, চোখে সাবানের কণা বা শ্যাম্পু ঢুকে গেলে অনেক সময়েই চোখ লাল হয়ে যায়। তাই এই ধরনের লক্ষণ অনেকেই এড়িয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, লিভারের কর্মকাণ্ড বিঘ্নিত হলেও চোখ এমন রক্তবর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া উচিত।

ফাটা ঠোঁট

শীতকালে ঠোঁট ফাটার সমস্যা খুব সাধারণ। গরমকালেও কারও কারও এমন হয়। পানি কম খেলে শুষ্ক হয়ে যেতে পারে ঠোঁট। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন, যাদের সারা বছরই ঠোঁট ফাটে। মূলত ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতির কারণে এমন হয়। এই ভিটামিনের অভাবে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সচেতন হওয়া জরুরি।

;