খাবারের স্বাদে পরিপূর্ণতা আনবে ‘পূর্ণতা’
একটু বৃষ্টি হলেই খাবার পাতে চাই খিচুড়ি আর আম-রসুনের আচার।
খেতে ইচ্ছা করছে না, খাবারে স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে না, মুখে রুচি নেই, রান্না পছন্দ হচ্ছে না- খাওয়া নিয়ে এমনতর নানান সমস্যার সমাধানে একটি নামই উঠে আসে। সেটা হলো আচার।
আচারের জাদুকরি সুঘ্রাণ, সুস্বাদ জিভে জল আনবেই। শুধু খিচুড়ি নয়, ডাল-ভাত কিংবা পোলাও-রোস্টের সাথেও এক চামচ আচারে বদলে যায় পুরো খাবারের স্বাদ। সঠিক ভাবের প্রকাশে বলতে হয়, পূর্ণতা চলে আসে পুরো খাবারের আয়োজনে।
তবে আচার তৈরির প্রক্রিয়া সহজ নয় মোটেও। যে আচার যত মজাদার, সে আচার তৈরিতে তত বেশি খাটুনি, ততোধিক সময়ের প্রয়োজন। ব্যস্ততাপূর্ণ জীবনে অফিস, ঘর, ব্যক্তিগত কাজ সামলে আচার তৈরির খাটাখাটুনি বিলাসিতাই হয়ে দাঁড়ায়।
দোকানের বোতলজাত আচার তো আছেই। কিন্তু ভাবুন তো একবার, এই আচারগুলোর প্রতি কতটুকু আস্থা রাখতে পারেন আপনি! মাত্রাতিরিক্ত প্রিজার্ভেটিভ সহকারে তৈরিকৃত এই আচারগুলোর উপাদানগুলো কতটা ফ্রেশ সে সম্পর্কেও সন্দেহ রয়ে যায়।
তবে কি আচার খাওয়া হবে না? ফ্রেশ, বিশুদ্ধ আচার পাওয়া যাবে না? উত্তরে হয়তো না বলতে হতো, যদি ‘পূর্ণতা’ না থাকতো। অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পূর্ণতায় অর্ডার করে ঘরে বসেই পাওয়া যাবে মনোহর স্বাদের টক-ঝাল-মিষ্টি হরেক পদের আচার।
দুই বোন ঈশিকা রায় ও ঈশিতা রায়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে এই উদ্যোগটি। মা শুক্লা রায়ের রেসিপির অনুসরণে সাত ঘরানার ভিন্ন ভিন্ন আচার তৈরি করছেন তারা।
কাঁচা আমের মৌসুম হওয়ায় তাদের আচারের রেসিপিতে প্রাধান্য পেয়েছে কাঁচা আম। আচারের মাঝে রয়েছে আমের মোরব্বা, কাশ্মীরি আমের আচার, আমের কালোজিরা আচার, আমের মিষ্টি আচার, আম রসুনের আচার, আম সরিষা আচার, আমের ম্যাশড আচার। এছাড়াও কিনতে পাওয়া যাবে ঘরে পাতা টক ও মিষ্টি আমসত্ত্ব। ফলের মৌসুমের উপর নির্ভর করে বদলাবে আচারের মেন্যু।
পূর্ণতায় আরও থাকছে ঘানি ভাঙা সরিষার তেল ও সরবাটা ঘি, যা অর্ডার দেওয়ার পর তৈরি করে দিতে প্রয়োজন হবে ১০-১৫ দিনের মতো।
প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ঈশিতা রায়ের সাথে আলাপকালে বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, ‘আমাদের আচারগুলো সম্পূর্ণ প্রিজার্ভেটিভ ছাড়া তৈরি করা হয়। তবে প্রিজার্ভেটিভ না থাকলেও, সঠিক উপায়ে আচার ব্যবহার করা হলে এবং শুকনো ও পরিষ্কার স্থানে রাখা হলে, এক একটি আচার ছয় মাস পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভালো থাকবে। নিজেদের জন্য যেভাবে আচার তৈরি করি, সেভাবেই ক্রেতাদের জন্য যত্ন নিয়ে আচারগুলো তৈরি করা হয়। একদম ভালো ও ফ্রেশ ফল, মশলা ও আমাদের ঘানি ভাঙা সরিষার তেল দিয়ে তৈরি আচারে মানের নিশ্চয়তা তো থাকছেই, সাথে মায়ের রেসিপিতে তৈরি প্রতিটি আচারেই পাওয়া যাবে ঘরোয়া ও পরিচিত স্বাদ।’
মানের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্যে তাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। জানান, পণ্যের মানে কোন ছাড় দেওয়া হয় না একেবারেই। যে কারণে প্রতিষ্ঠানের ট্যাগ লাইন দিয়েছেন ‘বিশুদ্ধতার প্রতিশ্রুতি’।
ঈশিতার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আচারের প্যাকেটজাতকরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে। স্বাভাবিকভাবেই অনলাইন থেকে আচার অর্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার শঙ্কা থাকে আচারের প্যাকেট নিয়েও। ঈশিতা জানালেন, সম্পূর্ণ এয়ার টাইট বক্সে আচার প্যাকেটজাত করা হয়। তাই তেল পড়ে যাওয়ার কোন সম্ভবনা থাকবে না একেবারেই।
সেই সাথে জানিয়ে দিলেন, খাবারের স্বাদে পূর্ণতা আনার জন্যেই সবাই আচারের খোঁজ করে। সেই ধারণা থেকেই প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে ‘পূর্ণতা’।
ভেজাল ও প্রিজার্ভেটিভমুক্ত ফ্রেশ ফলের সুস্বাদু আচার পেতে চাইলে নিশ্চিন্তে অর্ডার করে দিতে পারবেন পূর্ণতা পেইজে। পছন্দের আচারের সাথে খাবারের মেন্যুতে পূর্ণতা আনতে আর কোন চিন্তাই নেই এখন।
আরও পড়ুন: ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’ ফ্যাশন শোতে বাংলাদেশের আসমা