বিত্তবান হতে গড়ে তুলতে হবে ‘তিন অভ্যাস’
বিত্তবান হতে চায় সবাই।
চেষ্টা, পরিশ্রম ও ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই তা অসম্ভব কিছু নয়। তবে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষদের জন্য এই বিষয়টি অনেকটাই অমাবশ্যার চাঁদের মতো হয়ে যায়। সেই সমস্যা উত্তরণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Inc. ম্যাগাজিনের সাংবাদিক মিন্ডা যেটলিন জানিয়েছেন মাল্টি বিলিয়নিয়ার, আমেরিকান বিজনেস ম্যাগনেট, ইনভেস্টর ও ফিলান্থ্রপিষ্ট ওয়ারেন বাফেটের তিনটি অভ্যাস সম্পর্কে।
চিন্তা করতে হবে উদ্যোক্তার মতো
নিজের পেশা ও আয় যেমনই হোক না কেন, সবসময় নিজেকে একজন উদ্যোক্তার স্থান থেকে চিন্তা করতে হবে, পরিকল্পনা করতে হবে, টাকা-পয়সার বিষয়ে ভাবতে হবে। ওয়ারেন বাফেট জানান, নিজের মাঝে সবসময় অনুসন্ধানী মনোভাব ধরে রাখতে হবে। যেকোন সুযোগের সদ্ব্যবহার করার সাহস দেখাতে হবে। খুব অল্প কিছু টাকা বাড়তি আয়ের সুযোগ পেলেও, সে সুযোগটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে।
ধার করতে হবে যথাসম্ভব কম
হাতে টাকা কম থাকলে, জরুরি প্রয়োজনে কিংবা অনেকেই অভ্যাসবশত অন্যের কাছ থেকে টাকা ধার করে থাকেন। টাকা ধার করার এই বিষয়টি অনেকটাই ‘ডাউনওয়ার্ড স্পাইরাল’ বা নিম্নমুখী গতির মতো বিষয়। একবার এর জালচক্রে আটকা পরে গেলে, এর থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করতে হবে হাতে যে পরিমাণ টাকা থাকবে তার মাঝেই সমাধান খুঁজে বের করার। ধার করা টাকা সবসময়ই ‘ক্রেডিট’ এর ঘরে অবস্থান নেয়। যা কোন না কোনভাবে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাবই ফেলে দেয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, ধার-দেনার বোঝা ঘাড়ে নিয়ে খুব একটা উন্নতি করা সম্ভব হয় না কখনোই।
আয়ের চাইতে ব্যয় কম করতে হবে
নিশ্চয় আয়ের চাইতে ব্যয় কমই হয়। কিন্তু এখানে একটি বিষয় আছে। আয়ের স্ট্যান্ডার্ডের তুলনায় ব্যয় হতে হবে অন্তত পক্ষে দুই স্ট্যান্ডার্ড কম। বাজেট করতে হবে সেই অনুযায়ি। ধরুন আপনার মাসিক আয় চল্লিশ হাজার টাকা। আপনি যদি পুরো মাসের ব্যয়ের হিসাব করেন পঁয়ত্রিশ হাজার টাকার, তবে জেনে রাখুন এই অভ্যাস কোনভাবেই আপনার ভবিষ্যৎ আর্থিক অবস্থায় ইতিবাচক কোন প্রভাব রাখবে না। চল্লিশ হাজারের বিপরিতে আপনাকে ব্যয়ের হিসেব করতে হবে বড়জোর পঁচিশ হাজারের। তার বেশি নয় একদম। বাকি টাকা ব্যাংকে রাখতে হবে অথবা বিনিয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: হিমশিম খাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে?
আরও পড়ুন: শিখতে হবে ‘না’ বলা!