বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন, খাদ্যের অভাব হবে না: খাদ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার/ফাইল ছবি: বার্তা২৪.কম

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার/ফাইল ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বোরো মৌসুমে সারাদেশে বাম্পার ফলন হয়েছে, ফলে দেশে খাদ্যের অভাব হবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি বলেন, সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না, বরং খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকবে।

শনিবার (৯ মে) দুপুরে মন্ত্রীর মিন্টো রোডস্থ সরকারি বাসভবন থেকে নওগাঁ জেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ভিডিও কনফারেন্সে জেলার করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ, আম উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

মন্ত্রী বলেন, আশা করা যাচ্ছে চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ মেট্রিকটন চাল উৎপাদিত হবে (বোরো এবং আমন)। এছাড়া প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিকটন আউশ ধান উৎপাদিত হবে। এই উৎপাদন দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ করেও উদ্বৃত্ত থাকবে। তাই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারিভাবে অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় এবার বেশি ধান চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় বড় সহায়ক হবে।

দেশে ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। শস্য সংগ্রহে যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সেজন্য খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও বলেন, লটারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে থেকে কৃষক নির্বাচন করা হবে। যদি কোনো কৃষক তার টিকিট মধ্যস্বত্বভোগীদের নিকট বিক্রি করে তাহলে সেই কৃষকের কাড বাতিল করা হবে এবং সে সমস্ত মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।

সারাদেশে ৫০ লাখ পরিবারকে বছরে পাঁচ মাস, প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল (প্রতি কেজি ১০ টাকা) বিতরণ করা হচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে কর্মহীন দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আরো ৫০ লাখ পরিবারের মাঝে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল (প্রতি কেজি ১০ টাকা) দেবার জন্য সারাদেশে তালিকা তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, যদি কেউ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলে তবে তাকে অবশ্যই সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। গ্রাহকদের প্রবেশের সময় হ্যান্ড গ্লাভস ও মুখে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রবেশপথে হাত ধোয়ার জন্য সাবান এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

ভিডিও কনফারেন্সে নওগাঁ-৪ আসনের এমপি ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, নওগাঁ-৩ আসনের এমপি সলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁ-৫ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন জলিল জন, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, জেলা সিভিল সার্জন আখতারুজ্জামানসহ সেনা, বিজিবি, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া জেলার ১১টি উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী অফিসার, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

   

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে রাবি শিক্ষক ফোরামের র‌্যালি



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোড থেকে র‌্যালি শুরু হয়।

র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয় বুদ্ধিজীবী চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা) বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেছিলেন। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে তারা এ দেশে বাকশাল কায়েম করতে চেয়েছিলো। কিন্তু জিয়াউর রহমান সেটা হতে দেন নি। তিনি সকল মানুষকে সেদিন জালিমদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। তারই স্মরণে আজকে আমরা এই দিন পালন করছি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশে বাকশালতন্ত্র কায়েম করেছে। দেশে গনতন্ত্র নেই। বিরোধী দলের কোন মানুষ কথা বললে তাকে মামলা দেওয়া হয়, হয়রানি করা হয়। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের আন্দোলনে হামলা করা হয়। পরবর্তীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, আহত, নিহত, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়।

সমাবেশে অধ্যাপক এফ. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক ফজলুল হক, অধ্যাপক হাছানাত আলীসহ জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সংঘটিত সিপাহী ও জনতার বিপ্লব এর স্মরণে এ দিবসটি পালিত হয়। কর্নেল (অবঃ) আবু তাহের এর নেতৃত্বে সংঘটিত এই বিপ্লব জেনারেল খালেদ মোশাররফের তিনদিনের সরকারের পতন ঘটায়। এই বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দীদশা থাকে মুক্তি পান, এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসেন।

;

ফুল চাষে বদলেছে ভাগ্য, মাসিক আয় ৪০ হাজার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ফুল চাষে স্বাবলম্বী  গোপীনাথ । ছবি: বার্তা২৪

ফুল চাষে স্বাবলম্বী গোপীনাথ । ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অন্যের জমিতে কাজ করে কিংবা রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন গোপীনাথ। নিজের অদম্য ইচ্ছে শক্তি আর প্রচেষ্ঠায় সখের বসে নিজ বাড়ির উঠানে গড়ে তোলেন ফুলেন বাগান। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সেখান থেকেই ভাগ্য বদল শুরু। নিবিড় পরির্চযা আর যত্নে গড়ে তুলেন এই দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান। বলা হয়, যে মানুষ ফুলকে ভালোবাসে তার সুন্দর মন আছে। ফুল প্রেমী আর ভ্রমণ পিপাসুরা অবসর সময়ে ছুটে আসেন গোপীর বাগানে। ফুলের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হন গোপীনাথ বর্মন।

গোপীনাথ এখন ৫ বিঘা জমিতে ফুলের চাষ করছেন। দর্শনার্থীদের জন্য তৈরি করেছেন বিশ্রামাগার। তার প্রতিদিনে আয় এখন ১ হাজার টাকা।

সরেজমিনে জানা যায়, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী ইাউনিয়নের বাফলা গ্রামের বাসিন্দা গোপীনাথ বর্মন একটি ফুলের বাগান করেন। সেখানে কয়েক প্রজাতির ফুলের চারা সংগ্রহ করে বাড়ির উঠানে ছোট্ট পরিসরে গড়ে তোলেন একটি ফুলের বাগান। কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতায় তিনি ৫ বিঘা জমিতে ফুল চাষ করে এখন স্বাবলম্বী।

ওই বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে রজনীগন্ধা, জারবেরা গোলাপ, গেন্ডারিয়া, ক্যানডুলার, গাচুবাম ট্রেটাজ, মন্ডিওঝাউ, চাইনিজ পাম্প, ললনি পাম্প, ময়ুরপঙ্কিরাজ কার্পেট ঘাসসহ নানা প্রজাতির মূল্যবান ফুল।

প্রতিদিন ফুলপ্রেমী দর্শনার্থী বেড়াতে আসেন তার বাগানে। দর্শনার্থীদের ১০ টাকা টিকিট কেটে ঢুকতে হয় ওই বাগানে।

গোপীনাথ বর্মন জানায়, ফসলের তুলনায় ফুল চাষে উৎপাদন খরচ কম। ৫ বিঘা জমিতে বছরে খরচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। আর সব মিলিয়ে প্রতি মাসে আয় হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, মাতৃভাষা দিবস ও ভ্যালেন্টাইন ডে ছাড়াও বিশেষ দিবসগুলোতে ৫০ হাজার টাকারও বেশি ফুল বিক্রি হয়।

;

কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নয়নশীল আটটি দেশের জোট বা ডি-৮ ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষিপ্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য একটি ‘বহুদেশীয় সমন্বিত প্রকল্প’  নিতে বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে।

যার মাধ্যমে ডি-৮ভুক্ত এসব দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় উন্নত কৃষিপ্রযুক্তি বিষয়ে যৌথ গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে (বিএআরসি) কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা শীর্ষক ৭ম ডি-৮ মন্ত্রীপর্যায়ের ভার্চুয়াল মিটিংয়ের শেষ দিনে আট দেশের কৃষিমন্ত্রীরা এ প্রস্তাব এবং ঢাকা ইনিসিয়েটিভ অনুমোদন করেন।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা যেমন, আইডিবি, এফএও, ইরি, ইফাদ প্রভৃতি থেকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পরিচালিত হবে। খুব শিগগির এই প্রকল্প প্রণয়নের কাজ শুরু হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

ড. রাজ্জাক আরও বলেন, ডি-৮ দেশসমূহে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন খুবই জরুরি। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে এটি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। ডি-৮ভুক্ত দেশসমূহের কৃষিখাত ২৬% মানুষের কর্মসংস্থান করে থাকে আর জিডিপিতে অবদান প্রায়  ১৩.৫০%। এছাড়া, এ জোটের দেশগুলোতে ৬০% মানুষ  গ্রামে বসবাস করে এবং তারা মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল। কাজেই, আজকের ঢাকা ইনিসিয়েটিভ ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন, বিনিময় এবং খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সভায় ডি-৮ এর মহাসচিব ইসিয়াকা আব্দুল কাদির ইমাম, ইন্দোনেশিয়ার কৃষিমন্ত্রী সাইয়ারুল ইয়াসিন লিম্পু, ইরানের কৃষিমন্ত্রী সৈয়দ জেএস নেজাদ, মালয়েশিয়ার কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রী রোনাল্ড কিয়ান্দি, পাকিস্তানের ফেডারেল মন্ত্রী সৈয়দ ফখর ইমাম, তুরস্কের পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আকিফ ওজকাল্ডি, নাইজেরিয়ার কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন ফেডারেল মন্ত্রী মো. মাহমুদ আবুবকর এবং মিশরের এআরসির শিরীন আসেম  কৃষিক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা, সম্ভাবনা, করণীয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, এফএও, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আইএফএডি, ইরি ও সিমিটের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

;

সুনামগঞ্জে বোরো ধানের চারার এবার ভালো ফলন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম সুনামগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবহাওয়া ভালো থাকায় সুনামগঞ্জে এবার বোরো ধানের চারার ভালো ফলন হয়েছে। দুইদিন হচ্ছে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরো চারা রোপণের কাজও শুরু হয়েছে। কৃষকরা এবার কৃষিবিদ, হীরা, নাফকো, ঝলক, বিআর-২৮ এবং বিআর-২৯ জাতের ধানের আবাদ করেছেন বেশি। কোন কোন কৃষক নিজের পরিবারের খাবার ও আত্মীয় স্বজনকে খাওয়ানোর জন্য সুস্বাদু চাল পেতে পুরনো দিনের ধান গোবি সাইল, টুপা, লালডিঙ্গি, রাতা ধানের চাষও সামান্য পরিমাণে করেছেন।

শাল্লার কান্দকলা গ্রামের কৃষক রফিক মিয়া বললেন, হালিচারার বীজতলায় গেলে মন জুড়িয়ে যায়, এবার সবল চারা হয়েছে, অন্যান্য বছর চারা লম্বা কম হতো, সার দেওয়া লাগতো, পোকায় ধরতো, এবার এই ধরণের যন্ত্রণা নাই, সময়মত বৃষ্টি হওয়ায় সেচের সংকট হয় নি, অগ্রহায়ণের প্রথম দিকে বীজতলায় বীজ বপণ করা হয়েছিল। এখন চারা রোপণের উপযোগী হওয়ায় দুইদিন হয় রোপণ শুরু হয়েছে। তিনি জানালেন, বৃষ্টি হওয়ায় মাটি নরম রয়েছে, এজন্য চারা ওঠাতে কিছু সমস্যা হচ্ছে।

শাল্লার আনন্দপুরের কৃষক মাখন লাল দাস বললেন, শনিবার থেকে চারা ওঠানো শুরু করেছি। এবার বেশি ফলনের কারনে ধানের সঙ্গে তিন কেয়ার (এক একর) রাতা ধানও করছি। এই ধান একরে ৩০-৩২ মণের বেশি হয় না। এ ধানের চালে ভাত স্বাদ হয়। বাড়িতে অতিথি আসলে বা আচার অনুষ্ঠান হলে এই চাল কাজে লাগে। তিনি জানান, পৌষ মাস ভরা ধান রোপণের কাজ চলবে।

জেলার বিশ্বম্ভরপুরের রাধানগরের কৃষক আব্দুল হেকিম বললেন, সময়মত বীজ পাওয়ায় এবং আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ধানের চারা ভালো হয়েছে। দুই দিন হয় চারা রোপণ শুরু হয়েছে, চলবে মাঘ মাস পর্যন্ত।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ফরিদুল হাসান বললেন, গেল বছরের চাইতে এবার ধানের চারা ভালো হয়েছে। রোপণের কাজও আগে ভাগে শুরু হয়েছে। এবার জেলায় দুই লাখ ২২ হাজার ৬৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো’র চাষাবাদ হবে।

;