কাগজে কলমে



তানিয়া চক্রবর্তী
অলঙ্করণ: কাব্য কারিম

অলঙ্করণ: কাব্য কারিম

  • Font increase
  • Font Decrease

এই যে লিখছি সাদা ক্যানভাসের মতো শরীরে। এতে লিখে যে অতি ক্ষুদ্রমাত্রায় খাতার অনুভব পাওয়ার চেষ্টা করছি তার কারণ কাগজ। হয়তো এমন একদিন আসবে যখন কাগজে লেখা খুব কম হয়তো হবেও না, আবার উলটো হতে পারে, হয়তো এমন যান্ত্রিক লেখা সরে গিয়ে সেই আগের মতো পাতায়, কাঠে, পুঁথিতে লিখতে হবে। কারণ যদি আমরা ভেবে থাকি বিজ্ঞান কেবল এগিয়ে নিয়ে যাবে আর সে পথে কোনো বাঁধা আসবে না তাহলে সেটা মস্ত বড় ভুল কারণ সে যে ধাত্রের মধ্যে বসে আছে সে হলো প্রকৃতি—এই প্রকৃতি সম্পর্কে কিছুদূর অবধি সূত্র ধরেই যাওয়া যায় কিন্তু পূর্ণমাত্রায় নয়। এই করোনাকালে তা আমরা বেশ বুঝেছি।

যাই হোক আসল কথা হলো এই কাগজ থাকবে অথবা থাকবে না সেই ভাবনা থেকে একে একটু স্মরণ করি, সাদা কাগজের গায়ে কালো অক্ষরের সে চলাফেরা যেন নকশা, যেন এক স্বপ্নের ভার সে তুলে নিয়েছে তার সারা গায়ে। যেন উদাসীন শরীরে ভরে গেছে সমস্ত অনুভবের অজস্র উল্কি। পেনের নিব থেকে বিন্দু বিন্দু স্বপ্ন নিয়ে বয়ে যাচ্ছে ভাষার জন্মস্রোত—তবে এভাবেই আমরা লিখে এসেছি। দুঃখে, আনন্দে, বিষাদে, হিংসায়, সততায়, অসততায় আমরা তার গায়ে চেপে সত্যি থেকে মিথ্যের সব খেলা খেলেছি। কখনো সাজিয়ে রেখেছি, কখনো ধুলো ঝেড়েছি কখনো বা দুমড়ে-মুচড়ে আবর্জনায় ফেলে দিয়েছি—সে শব্দ করেনি। আজ তাকে আমরা বাতিলও করে দিতে পারি তার সারা গা ফাঁকা রেখে প্রতারকের মতো চলে যেতে পারি। এত এত সত্যি জীবনের দেয়ালা সে দিনের পর দিন ভরে রেখেছে তবু তাকে কাগজের ফুল বলে কখনো বুঝিয়েছি সে নকল। আমরা ব্যবহারকারী সে ব্যবহৃত ফলে একতরফা এই আধিপত্যের খেলায় সে নিশ্চুপ রয়ে গেছে।

যাই হোক বন্ধুরা ভাবছেন জড়কে নিয়ে এত কিসের আদিখ্যেতা। তবে ঘন বৃষ্টিতে যখন ঘরের সামনের মনের নদীতে কবিতা লেখা কাগজ নৌকা হয়ে ঘুরে বেড়ায়, যখন অনেক অনেক পুরনো চিঠি দাদু দিদিমার বাক্স থেকে ফিরে আসে, যখন আকাশে ঘুড়ি ওড়ে, যখন খবরের কাগজ মুড়ে তেলেভাজা আসে তখন আদিখ্যেতারাই জীবন হয়ে ওঠে।

এই যে যান্ত্রিক উপায় তার সঙ্গে ছোঁয়াছুঁয়ি নেই ফলে এই মনের নির্ভরযোগ্য উপাদান সে শেষ অবধি হতে পারবে কী প্রশ্ন জাগে! কাগজ আসলে আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি করে।

খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে চীনের হান সাম্রাজ্যের চাই লুন প্রথম কাগজ তৈরি পদ্ধতিটি নিয়ে আসেন মালবেরি গাছের আঁশ, কাপরের টুকরো এবং আরো কিছুর মিশ্রণের মাধ্যমে। এর আগে চীনে বাঁশের গায়ে এবং সিল্কের কাপড়েই লেখার চল ছিল তবে একটি ভারী দ্বিতীয়টি দামি এই কারণে আস্তে আস্তে বিকল্প কাগজের পথকেই বেছে নেওয়া হলো সাধারণ অভ্যাসের জন্য। এরপর তালাশের যুদ্ধে দুই চীনা বন্দী হিসেবে গৃহীত হলে ইসলাম সাম্রাজ্যের মাধ্যমে প্রধানত কাগজের প্রসার শুরু হয়—যদিও এই গল্পের ভিত্তি সঠিক কিনা তা নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে! এর কিছু পর থেকেই সমরখন্দে কাগজ তৈরি শুরু হয়ে যায়। এভাবেই ত্রয়োদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে কাগজের সম্প্রসারণ শুরু হতে থাকে।

১৮৪৪ সালে অবশ্য চার্লস ফিনার্টি ও এফ জি কেলার নিজস্ব উদ্যোগে কাঠের আঁশ ব্যবহারে কাগজের উৎপাদনের দিকে অগ্রসর হন। প্রাচীন ভারতে আবার প্রত্যক্ষভাবেই গাছের বাকল ও পাতার ব্যবহার চলত। এই থেকে পত্রকথার আগমন। যদিও ধাতুর ফলকে, কাঠের ফলকে, দেওয়ালে লেখার প্রচলন ছিল। তবে নিয়মিত অভ্যাসে তালপাতা, নারকেল গাছের খোসা ও পাতা, কলাপাতা তথা ভূর্জপত্রেও লেখার প্রচলন ছিল। কাগজ শব্দটি আরবি শব্দ ফলে এটা ধারণা করাই যায় তালাশের যুদ্ধের গল্পটির ঘটনা সত্যিও হতে পারে। তবে চীন এক্ষেত্রে খ্যাতির জায়গা পেলেও একটু শৈথিল্য থাকে কারণ পেপার শব্দটির আগমন প্রাচীন মিশরের প্যাপিরাস নামক লেখার বস্তু থেকে। মনে করা হতো সাইপ্রাস প্যাপিরাস গাছের অংশের ব্যবহার থেকেই এর আগমন পদ্ধতি। পার্চমেন্টের মধ্যেও লেখার বিশেষ আয়োজন ছিল; ভেড়া, ছাগলের লোমের থেকেও এই পার্চমেন্ট প্রস্তুত করা হতো। এই পার্চমেন্টের আরো সূক্ষ্ম বিকল্প ছিল ভেলাম শিশুপশুদের দেহের লোম দিয়ে তৈরি হতো। বর্তমানে অবশ্য পদ্ধতি অনেক অনেক উন্নত। ছেঁড়া কাপড়, বাঁশ, ঘাস, আঁশ জাতীয় মণ্ডের প্রস্তুতির মাধ্যমে কাগজ তৈরি হয়, এবার সেই উপাদান স্থান ভেদে পদ্ধতি ভেদে ভিন্ন। কোথাও গাছের আঁশ, কোথাও কাঠের গায়ের আঁশ এবং বর্তমানে বিশেষ বিশেষ মেশিনের মাধ্যমে লঘু থেকে উন্নত পাতলা থেকে মোটা বিভিন্ন ধরনের কাগজ প্রস্তুত করা হয়।

কাগজ কিভাবে এলো তার থেকেও যেটা খুব গুরুত্বের সেটা হলো কাগজকে যেন ভুলে না যাই। কারণ আমাদের কাগুজে প্রয়োজনীয়তা কমে আসছে তবু অনুভব করলে ভালো যে কাগজ আসলে অস্তিত্বে ভরা, ছোঁয়ায় সে শব্দ করে, অক্ষরে সে আলোকিত, আটক করে রাখলে সে নিশ্চুপ—এত নির্বিবাদী কৈফিয়তহীন একটা স্বপ্নের শূন্য ক্যানভাসকে যেন আমরা ভুলে না যাই।


আরো পড়ুন
শেষ যখন শুরুর জন্য পাগল

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান



কনক জ্যোতি,  কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক কবিতা দিবসে ছায়ানট (কলকাতা) এবং লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস যৌথভাবে আয়োজন করে একটি কবিতা সন্ধ্যার। অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতায় অবস্থিত একটি স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট তাপাস্তে - তে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছায়ানট (কলকাতা)-এর সভাপতি সোমঋতা মল্লিক এবং পরিকল্পনা করেন  লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস-এর প্রতিষ্ঠাতা শুভজিৎ রায়।

এই বিশেষ দিনে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করা হয় বাংলা এবং স্প্যানিশে। বিশ্ব কবিতা দিবসে কবিতার ভাষায় এক হয়ে যায় বাংলা এবং স্পেন। এক করলেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা এবং স্প্যানিশ দুই ভাষাতে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এই আয়োজন।

বাংলায় কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করেন সৌভিক শাসমল, তিস্তা দে, দেবলীনা চৌধুরী এবং স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ ও পাঠ করেন শুভজিৎ রায়। অনুষ্ঠানটি দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে।

বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষ্যে ছায়ানট (কলকাতা) এবং কৃষ্ণপুর নজরুল চর্চা কেন্দ্র যৌথভাবে আরও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শরৎচন্দ্র বাসভবনে। প্রায় ৫০ জন কবি এবং বাচিক শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কবির কবিতা এই অনুষ্ঠানে শোনা যায়।

;

দারুণ সৌভাগ্য আমাদের



মহীবুল আজিজ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...

আমি ক্রমশ সরু হয়ে যাওয়া ইতিহাসের
গলিটার দিকে তাকাই।
ওপার থেকে ছিটকে আসে বিগত কালের আলোক,
ইহুদিদের চর্বি দিয়ে সাবান বানিয়েছিল জার্মানরা।
বাথটাবে সেই সাবানের ফেনার মধ্যে ঠেসে ধরে
ওরা ঠাপাতো ইহুদি মেয়েদের।
পাকিস্তানিরা ঐভাবেই ঠাপাতো আমাদের।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
সিন্ধু থেকে আসতো আমাদের জেলা প্রশাসকেরা,
পেশোয়ার থেকে গভর্নরেরা।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডটিচার
প্রিন্সিপাল ভিসি'রা আসতো লাহোর করাচি মুলতান থেকে।
ফ্যালফেলে তাকিয়ে আমরা ভাবতাম,
আহা কবে জন্ম নেবে আমাদের মেসায়া!
নেপথ্যে ভেসে আসতো অদম্য কুচকাওয়াজের শব্দ।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
আমরা লম্বা লম্বা পাঞ্জাবি পরতাম গোড়ালি পর্যন্ত।
ঘরে ঘরে রবীন্দ্রনাথ নজরুলের গান বাজতো কাওয়ালির সুরে--
আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের নাম ভুলে যেতাম
কিন্তু জিন্না'কে ভুলতাম না।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
ঢাকার মাঠে খেলা হতো পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের।
প্রত্যেকটি খেলায় একজন করে সুযোগ পেতো
বাঙালি টুয়েল্ফথৃ ম্যান যারা মূল খেলোয়াড়দের
বিশ্রাম দেবার জন্য প্রচণ্ড দাবদাহের রোদে
প্রাণপণ ফিল্ডিঙয়ের ওস্তাদি দেখাতো।

আমাদের কাজ হতো শুধু
পাকিস্তানিদের চার-ছয়ে উদ্দাম হাততালি দেওয়া,
হাততালি দিতে দিতে তালু ফাটিয়ে ফেলা।
তীব্র হাততালির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি
আজ মার্চের সতেরো।
দারুণ সৌভাগ্য আমাদের তুমি জন্ম নিয়েছিলে!
১৭-০৩-২০২৩

;

বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্বে শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝদ্ধ মননের প্রাগ্রসর ভূমিপুত্র শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ও মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর ও কিশোরগঞ্জ নিউজ'র নিয়মিত লেখক।

বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি,শিল্প, সংগীত, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার বহুল কার্যক্রম নিয়ে দেশের প্রাচীনতম ও অগ্রণী প্রতিষ্ঠা নবঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র এক সভা এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শনিবার (১১মার্চ ২০২৩) বিকেল ৪-৩০ টায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় নাট্যশালার কনফারেন্স হলের ভিআইপি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বরেণ্য শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্হিতিতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা
কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ। এতে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সঞ্চালনা করেন।

সভায় বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সদস্য বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর লেখক, কমামিস্ট ও গীতিকার শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ’র কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা গঠনের দায়িত্ব আরোপ করে তার হাতে বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র ইশতেহার তুলে দেন বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম এবং অন্যান্য নেতৃবর্গ ।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয়'র জার্মানির সভাপতি কবি নাজমুন নেসা পিয়ারী, বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক আমিনুর রহমান বেদু, রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবিশ, ইউনেস্কোর ব্রান্ড এম্বাসেডর নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাত, বঙ্গীয়'র সভাপতি পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান, বঙ্গীয়'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আলী নিয়ামত, কবি নাঈম আহমেদ, বঙ্গীয়'র কেন্দ্রীয় সদস্য কবি মীনা মাশরাফী, কবি পারভিন আক্তার সহ প্রমুখ।

সভার প্রথম পর্বে আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র সম্মিলন উদযাপন বিষয়ক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কবি আজিজুর রহমান আজিজকে আহবায়ক এবং সংগীতশিল্পী শামা রহমানকে সদস্য সচিব করে উদযাপন কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে বঙ্গীয়র সভাপতি পর্ষদের সকল সদস্য, রবীন্দ্র একাডেমির নির্বাহী শাখার সকল সদস্য, বঙ্গীয়র যুগ্ম সম্পাদকবৃন্দসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশিষ্টজনকে নিয়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে।

দ্বিতীয় পর্বে অযুত তারুণ্যের বঙ্গবন্ধু সম্মিলন, দ্বিশতজন্মবর্ষে মাইকেল মধুসূদন দত্ত স্মরণ, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে লেখক কবির আলোচনা সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ইউনাইটেড নেশন্সের ব্রান্ড এম্বাসেডর জনাব নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাতকে সভাপতি পর্ষদের সদস্য, শিশু সাহিত্যিক হুমায়ূন কবির ঢালীকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , সংস্কৃতি সেবক রোকনউদ্দীন পাঠানকে সাংগঠনিক সম্পাদক, কবি আনোয়ার কামালকে লিটল ম্যাগ সম্পাদক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি সাংবাদিক শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে নির্বাহী সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক, কবি মীনা মাশরাফীকে নীলফামারী জেলার সমন্বয়ক, জনাব এ এইচ এম সালেহ বেলালকে গাইবান্ধা জেলার সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা লেখক কবি আবদুল হালিম খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, কবি মানিক চন্দ্র দে, কবি অর্ণব আশিক, কবি বাবুল আনোয়ার, দৈনিক বঙ্গজননীর সম্পাদক কামরুজ্জামান জিয়া, কবি শাহানা জেসমিন, কবি গবেষক আবু সাঈদ তুলু, চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. বিশ্ব রায় (কলকাতা), বঙ্গীয় চট্রগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ফ্যাশন ডিজাইনার আমিনা রহমান লিপি, শিল্পী শাহরিয়ার পিউ, কবি সোহরাব সুমন, কবি সরকার পল্লব, কবি রহিমা আক্তার মৌ, কবি লিলি হক, কবি আকমল হোসেন খোকন, শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন, হিরা পারভেজ, ড. দিপু সিদ্দিকী, শিক্ষক ও কবি রওশন ই ফেরদৌস, কবি পারভীন আক্তার, কবি শিল্পী মাহমুদা, পূর্বধলার মো. জাকির হোসেন তালুকদার, কবি আনারকলি, কবি অপরাজিতা অর্পিতা, ডা. নূরুল ইসলাম আকন্দ, আবৃত্তিশিল্পী যথাক্রমে রূপশ্রী চক্রবর্তী, রবিউল আলম রবি সরকার, জেবুন্নেছা মুনিয়া, চন্দনা সেনাগুপ্তা, কবি সংগঠক রাজিয়া রহমান, কবি শামীমা আক্তার, শিল্পী সাদিয়া শারমিন, কবি কনক চৌধুরী, কবি তাসলিমা জামালসহ প্রমুখ।

;

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব



মাহমুদ হাফিজ
কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতায় শুরু হয়েছে রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের তিন দিনব্যাপী সাহিত্য উৎসব। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দুমতি সভাগৃহে বিকালে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এবারের উৎসবে বাংলাদেশের কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, পরিব্রাজক ও ভ্রমণগদ্য সম্পাদক মাহমুদ হাফিজ, স.ম. শামসুল আলম, নাহার আহমেদ, ড. নাঈমা খানম প্রমুখকে সম্মানিত করা হয়।

বিকালে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক নলিনী বেরা। বিশিষ্ট নাট্যকার চন্দন সেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শঙ্করলাল ভট্টাচার্য ও কবি সব্যসাচী দেব। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাধারণ সম্পাদক কবি সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য। এতে সমাপণী বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি কবি স্বপন ভট্টাচার্য। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য।

আজ ও আগামীকাল ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি হলে বিকাল থেকে কবিতা ও গল্পপাঠ, আলোচনা, শ্রুতিনাটক, সঙ্গীত অনুষ্ঠিত হবে। রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, নেপাল, আসাম, ত্রিপুরার কয়েশ’ কবি লেখক অংশগ্রহণ করছেন।

;