শেষ যখন শুরুর জন্য পাগল



তানিয়া চক্রবর্তী
অলঙ্করণ: কাব্য কারিম

অলঙ্করণ: কাব্য কারিম

  • Font increase
  • Font Decrease

...and then, I have nature and art and poetry, and if that is not enough, what is enough?

এই প্রশ্ন যাঁর মনে জেগেছিল তিনি ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ। যিনি নিজে খাবারের ব্যাপারে অতিরুচি পছন্দ করতেন না। যিনি নিজে রাস্তার মসৃণ দিক দিয়ে চলা পছন্দ করতেন না? তার মনে “যথেষ্ট” এই শব্দের প্রকৃত অর্থ বোঝার এত তাগিদ এসেছিল? ভাবতে অবাক লাগে তাই না! তাই কেউ বলেছেন যে আত্মহত্যা আত্মহত্যা নয় সেটা যন্ত্রণা কমানোর ওষুধ। এবার প্রশ্ন, এই ওষুধ কার প্রয়োজন—যে নিজে লড়তে পারছে না, দুর্বল হয়ে গেছে তার? নিজে ডিপ্রেশনে ছিলাম বহুদিন, ভুলভাল চিন্তা এসেছে, তাদেরকে সৌভাগ্যক্রমে অতিক্রম করে এসেছি। আর সত্যি বলতে কী এর থেকে বেরিয়ে আসার সব থেকে বড় পথ ব্যক্তি নিজেই, যদি ভাগ্যক্রমে তার মনের কাছাকাছি কাউকে সে পায় তাহলে ভালো। তবে মন তখন এত অবুঝ ও জটিল থাকে এ ধরনের সঙ্গকেও ব্যক্তির বেশিক্ষণ ভালো লাগে না। তাই মনোবিদের প্রয়োজন হয় তবু বলব, “সেলফহিলিং ইজ দ্য বেস্ট।”

“I am a noun in your life only a verb in mine...” এই লেখাটি তার একটি ছবির ক্যাপশনে ব্যবহার করেছেন তিনি; তিনি মানে সদ্যপ্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুত। সামনে পাহাড় ঘেরা সূর্যের নিভন্ত আলো আর তার সামনে দুহাত ভরে এক শিল্পী ।

আসলে বেঁচে থাকা ও মৃত্যু দুটোই স্বাভাবিক কিন্তু বেঁচে থাকাকে আমরা বেশি স্বাভাবিকভাবে নিই কারণ তার প্রক্রিয়াকরণ দৃশ্যমান কিন্তু যখন মৃত্যু তথা বিযুক্তিকরণ হয় তখন সেই উত্তরহীন রহস্য—প্রশ্ন ও হাহাকার দুটোই আনে, এটা অস্বাভাবিক নয়।

আগে ভাবছিলাম সবাই এতকিছু কেন বলছে? তারপর অন্যভাবে ভাবলাম...মানুষ সংবেদনশীল...সে শুধুই সিনেমা দেখতে যায় কী...তার মনের ব্যবহার করতে যায়...তাই তো স্ক্রিনে পছন্দের চরিত্র দেখে সে উত্তেজিত হয়...তাই তো ভক্তের জন্ম হয়! ফলে তার নিজে থেকেই অধিকার জন্মায় কথা বলার...অবশ্যই তা যদি রুচিহীন অমানবিক হয় তার সপক্ষে যুক্তি আসে না কোনোভাবেই...তবে মানুষ বলুক আর না বলুক...কিছু করতে উপায় না থাকা মানুষের বলা ছাড়া উপায়? সে ইতিবাচক বা নেতিবাচক যেভাবেই বলি...আর এই যে ডিপ্রেশন নিয়ে কথা শুনছি....ইনি তো নায়ক...সত্যি কী সব ভালোবাসা সব পাশে পাওয়া মানুষদের আমরা Allow করতে পারি...আজ যারা ওর জন্য কষ্ট পাচ্ছেন বেঁচে থাকাকালীন ও জানলেও কী তাদের Allow করত...এই একক মুহূর্তগুলো এত জটিল যে ভালোবাসতে আসা সদুপদেশ দেওয়া মানুষদের সেইসময় হয়তো পীড়াদায়ক মনে হয়।

নেতিবাচক পরিস্থিতি সর্বত্র রয়েছে তবে একথা সত্যি তার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা সকলের সমান নয়। সাহিত্যে, শিল্পে, বহুক্ষেত্রে মানুষ মাত্রাতিরিক্ত অপমানিত হয়; যে সমস্ত বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব আড়ালে উচ্চ প্রশংসা করেন তারাই সময়ে নিশ্চুপ থাকেন, কেউ কেউ অস্তিত্বহীনতা, কেউ কেউ হিংসা, কেউ কেউ রাজনীতির স্বীকার হন। নারী-পুরুষ উভয়েই সমান আঘাতপ্রাপ্ত হন। ফলত এই বাস্তবিক জেতাকে জেতা ভেবে ফেলে বেঁচে থাকলে কষ্টের আধিক্য বেশি হয়ে যায় পরবর্তী লড়াইতে দুর্বলতা আসে। তাই এই বিষাদের জন্মমুহূর্ত থেকেই নিজেকে নিজেই সামলে নেওয়া জরুরি। মন কাকে সেই মুহূর্তে নেবে কেবল মনই জানে....কোনো মুহূর্তকেই এক সূত্রে বিচার করা যায় না কারণ কোনোকিছুই, কোনোকিছুই এত লঘু নয়! আর সকলে পড়ুয়া, বোধযুক্ত না-ই হতে পারে....সাধারণের প্রকাশ হয়তো লঘুভাবেও হয় কখনোসখনো... আমাদের বোধ পছন্দের যারা নয় তাদের থেকে দূরত্ব রাখি...অসম্মানে কী কাজ!

আসলে একটা মানুষকে সুস্থ উজ্জ্বল দেখলে কিছুতেই মানুষ তার অসহায়তাকে বোঝে না...ফলে তার প্রতি অন্য সব অনুভূতি জন্মালেও তার ক্রাইসিস সম্পর্কে সচেতন হয় না..এটা ভুল হলেও এটাই হয়ে আসছে।

পারিবারিক ঘনিষ্ঠ মৃত্যু দেখেছি, অনেক পরিচিতদের মৃত্যু দেখেছি। কিন্তু এই নায়ক তথা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু দূরত্বের হয়েও কেন এত নাড়িয়ে দিল কারণ তার হাবভাব, ভঙ্গি সব যেন ঘরের ছেলের মতো। অনেকে বলতেই পারেন এই শোক কদিনের? শোক কদিনের হয়? নিজের বাবা-মায়ের মৃত্যু হলেও সন্তান সেই শোক কিছুদিন পরে কাটিয়ে ওঠে কিন্তু যখন যেটা হচ্ছে তার গভীরতা সেটা এত মূল্যহীন নয়। এই এত প্রশ্ন তার মৃত্যু নিয়ে আসলে তো জীবনের প্রতি প্রশ্ন। হ্যাঁ, কিছু মানুষের কাছে হতে পারে আমোদের বিষয়—তবে বহুমানুষের কাছে অনুভূতিভিত্তিক।

এই কিছুমানুষের নেতিবাচক বিষয়টি যতদিন সভ্যসমাজ থাকবে ততদিনই থাকবে। তাঁর মৃত্যু খুনের মাধ্যমে হয়েছে না আত্মহত্যা তার চেয়েও বড় কথা দুই ক্ষেত্রেই সে জীবন থেকে স্বাভাবিক বিদায় নেয়নি। আসলে একজন স্টার যে সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, দূর থেকে যখন সে হাত নাড়ায় আর মানুষ তাতেই পাগল হয়ে যায়! কিন্তু যখন সে পথের বিড়াল, কুকুরকে আদর করে, পাখিকে খাওয়ায়, যখন সে আর্তদের জন্য অর্থ দান করে এবং বলে প্রয়োজনের থেকে সে অনেক বেশি উপার্জন করে। আর এই প্রয়োজনটা মানুষের নিজের হাতের তখন সে স্টারের সঙ্গে সঙ্গে একজন অন্তরাত্মার মানুষ হয়ে যায়। জীবনকে একরৈখিকভাবে দেখা খুব কঠিন। মনে পড়ে কবি হাই জি-র আত্মহত্যার কথা। আরো অল্পবয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। যাঁকে এখন চীনের বিখ্যাত কবি মানা হয়। আসলে সময় এবং সময়ের বোধ কিভাবে কার্যকরী হবে ব্যক্তির ওপর তা বোঝা মুশকিল। তবে সময়ের প্রতিটা কোণেই ফাঁদ থাকে—আমরা ভাবি আমরা শ্রেষ্ঠ আমরা মানুষ, সেই আমরাও আসলে শিকারীর শিকার বাঁচিয়ে নিজেকে আত্মরক্ষার প্রতিষ্ঠা দিতে লড়ে যাচ্ছি। আমাদের আশেপাশে সত্যি মিথ্যের মেলা, ন্যায়-অন্যায়ের দোটানার পরিবেশ সেখানে নিজের শর্তে বাঁচা আসলে অঙ্গীকার আর সেই অঙ্গীকার বাঁচিয়ে রাখা হলো জেদ।

জীবন এমন একটা জায়গা যেখানে সব শেষ শুরুর দিকে যাওয়ার পথ রাখে—মৃত্যু তা নয়। কেউ যদি নিজে মৃত্যু গ্রহণ করে সেটা তার নিজের অধিকার ও সিদ্ধান্ত তবু ভাবা উচিত একদিন তো মরবই ফলে দেখি না কী হয়। এখানে ভালো এবং মন্দ দুটোই শূন্য। আমরা ইন্দ্রিয়ে অধ্যাসে বাঁচি তাই প্রতিমুহূর্তে প্রেক্ষক হতে কেউ যদি শিখে যায় সেই রাজা—যে এই ইলিউশনে জিতে যায় অর্থাৎ বাস্তবে তার রাজত্ব নিয়ে ভাববার কিছু নেই। ভাবলে বিপদ যে খুব তা নয় তবে ঐ এক একটা স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে চলে যাওয়া যার ফলে এই জীবন নামক সার্কাসের পুরো ম্যাজিকটাই মিস...

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান



কনক জ্যোতি,  কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

কলকাতায় বিশ্ব কবিতা দিবসের অনুষ্ঠান

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক কবিতা দিবসে ছায়ানট (কলকাতা) এবং লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস যৌথভাবে আয়োজন করে একটি কবিতা সন্ধ্যার। অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতায় অবস্থিত একটি স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট তাপাস্তে - তে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ছায়ানট (কলকাতা)-এর সভাপতি সোমঋতা মল্লিক এবং পরিকল্পনা করেন  লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস-এর প্রতিষ্ঠাতা শুভজিৎ রায়।

এই বিশেষ দিনে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করা হয় বাংলা এবং স্প্যানিশে। বিশ্ব কবিতা দিবসে কবিতার ভাষায় এক হয়ে যায় বাংলা এবং স্পেন। এক করলেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা এবং স্প্যানিশ দুই ভাষাতে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এই আয়োজন।

বাংলায় কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করেন সৌভিক শাসমল, তিস্তা দে, দেবলীনা চৌধুরী এবং স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ ও পাঠ করেন শুভজিৎ রায়। অনুষ্ঠানটি দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে।

বিশ্ব কবিতা দিবস উপলক্ষ্যে ছায়ানট (কলকাতা) এবং কৃষ্ণপুর নজরুল চর্চা কেন্দ্র যৌথভাবে আরও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শরৎচন্দ্র বাসভবনে। প্রায় ৫০ জন কবি এবং বাচিক শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কবির কবিতা এই অনুষ্ঠানে শোনা যায়।

;

দারুণ সৌভাগ্য আমাদের



মহীবুল আজিজ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...

আমি ক্রমশ সরু হয়ে যাওয়া ইতিহাসের
গলিটার দিকে তাকাই।
ওপার থেকে ছিটকে আসে বিগত কালের আলোক,
ইহুদিদের চর্বি দিয়ে সাবান বানিয়েছিল জার্মানরা।
বাথটাবে সেই সাবানের ফেনার মধ্যে ঠেসে ধরে
ওরা ঠাপাতো ইহুদি মেয়েদের।
পাকিস্তানিরা ঐভাবেই ঠাপাতো আমাদের।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
সিন্ধু থেকে আসতো আমাদের জেলা প্রশাসকেরা,
পেশোয়ার থেকে গভর্নরেরা।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডটিচার
প্রিন্সিপাল ভিসি'রা আসতো লাহোর করাচি মুলতান থেকে।
ফ্যালফেলে তাকিয়ে আমরা ভাবতাম,
আহা কবে জন্ম নেবে আমাদের মেসায়া!
নেপথ্যে ভেসে আসতো অদম্য কুচকাওয়াজের শব্দ।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
আমরা লম্বা লম্বা পাঞ্জাবি পরতাম গোড়ালি পর্যন্ত।
ঘরে ঘরে রবীন্দ্রনাথ নজরুলের গান বাজতো কাওয়ালির সুরে--
আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের নাম ভুলে যেতাম
কিন্তু জিন্না'কে ভুলতাম না।
ধরো তোমার যদি জন্ম না হতো...
ঢাকার মাঠে খেলা হতো পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের।
প্রত্যেকটি খেলায় একজন করে সুযোগ পেতো
বাঙালি টুয়েল্ফথৃ ম্যান যারা মূল খেলোয়াড়দের
বিশ্রাম দেবার জন্য প্রচণ্ড দাবদাহের রোদে
প্রাণপণ ফিল্ডিঙয়ের ওস্তাদি দেখাতো।

আমাদের কাজ হতো শুধু
পাকিস্তানিদের চার-ছয়ে উদ্দাম হাততালি দেওয়া,
হাততালি দিতে দিতে তালু ফাটিয়ে ফেলা।
তীব্র হাততালির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি
আজ মার্চের সতেরো।
দারুণ সৌভাগ্য আমাদের তুমি জন্ম নিয়েছিলে!
১৭-০৩-২০২৩

;

বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্বে শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

বঙ্গীয়’র কেন্দ্রীয় সভা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝদ্ধ মননের প্রাগ্রসর ভূমিপুত্র শাহ মাহতাব আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ও মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন বঙ্গীয়’র কিশোরগঞ্জ কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর ও কিশোরগঞ্জ নিউজ'র নিয়মিত লেখক।

বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি,শিল্প, সংগীত, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার বহুল কার্যক্রম নিয়ে দেশের প্রাচীনতম ও অগ্রণী প্রতিষ্ঠা নবঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র এক সভা এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শনিবার (১১মার্চ ২০২৩) বিকেল ৪-৩০ টায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় নাট্যশালার কনফারেন্স হলের ভিআইপি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বরেণ্য শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্হিতিতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গীয় সাহিত্য- সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা
কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ। এতে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সঞ্চালনা করেন।

সভায় বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সদস্য বার্তা২৪.কম'র কন্ট্রিবিউটিং এডিটর লেখক, কমামিস্ট ও গীতিকার শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ’র কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা গঠনের দায়িত্ব আরোপ করে তার হাতে বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র ইশতেহার তুলে দেন বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ’র মূখ্য উপদেষ্টা কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান আজিজ এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম এবং অন্যান্য নেতৃবর্গ ।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয়'র জার্মানির সভাপতি কবি নাজমুন নেসা পিয়ারী, বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক আমিনুর রহমান বেদু, রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবিশ, ইউনেস্কোর ব্রান্ড এম্বাসেডর নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাত, বঙ্গীয়'র সভাপতি পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান, বঙ্গীয়'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আলী নিয়ামত, কবি নাঈম আহমেদ, বঙ্গীয়'র কেন্দ্রীয় সদস্য কবি মীনা মাশরাফী, কবি পারভিন আক্তার সহ প্রমুখ।

সভার প্রথম পর্বে আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র সম্মিলন উদযাপন বিষয়ক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কবি আজিজুর রহমান আজিজকে আহবায়ক এবং সংগীতশিল্পী শামা রহমানকে সদস্য সচিব করে উদযাপন কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে বঙ্গীয়র সভাপতি পর্ষদের সকল সদস্য, রবীন্দ্র একাডেমির নির্বাহী শাখার সকল সদস্য, বঙ্গীয়র যুগ্ম সম্পাদকবৃন্দসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশিষ্টজনকে নিয়ে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে।

দ্বিতীয় পর্বে অযুত তারুণ্যের বঙ্গবন্ধু সম্মিলন, দ্বিশতজন্মবর্ষে মাইকেল মধুসূদন দত্ত স্মরণ, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থ নিয়ে লেখক কবির আলোচনা সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ইউনাইটেড নেশন্সের ব্রান্ড এম্বাসেডর জনাব নাজমুল হাসান সেরনিয়াবাতকে সভাপতি পর্ষদের সদস্য, শিশু সাহিত্যিক হুমায়ূন কবির ঢালীকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , সংস্কৃতি সেবক রোকনউদ্দীন পাঠানকে সাংগঠনিক সম্পাদক, কবি আনোয়ার কামালকে লিটল ম্যাগ সম্পাদক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি সাংবাদিক শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপনকে নির্বাহী সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক, কবি মীনা মাশরাফীকে নীলফামারী জেলার সমন্বয়ক, জনাব এ এইচ এম সালেহ বেলালকে গাইবান্ধা জেলার সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা লেখক কবি আবদুল হালিম খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, কবি মানিক চন্দ্র দে, কবি অর্ণব আশিক, কবি বাবুল আনোয়ার, দৈনিক বঙ্গজননীর সম্পাদক কামরুজ্জামান জিয়া, কবি শাহানা জেসমিন, কবি গবেষক আবু সাঈদ তুলু, চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. বিশ্ব রায় (কলকাতা), বঙ্গীয় চট্রগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ফ্যাশন ডিজাইনার আমিনা রহমান লিপি, শিল্পী শাহরিয়ার পিউ, কবি সোহরাব সুমন, কবি সরকার পল্লব, কবি রহিমা আক্তার মৌ, কবি লিলি হক, কবি আকমল হোসেন খোকন, শাহ ইস্কান্দার আলী স্বপন, হিরা পারভেজ, ড. দিপু সিদ্দিকী, শিক্ষক ও কবি রওশন ই ফেরদৌস, কবি পারভীন আক্তার, কবি শিল্পী মাহমুদা, পূর্বধলার মো. জাকির হোসেন তালুকদার, কবি আনারকলি, কবি অপরাজিতা অর্পিতা, ডা. নূরুল ইসলাম আকন্দ, আবৃত্তিশিল্পী যথাক্রমে রূপশ্রী চক্রবর্তী, রবিউল আলম রবি সরকার, জেবুন্নেছা মুনিয়া, চন্দনা সেনাগুপ্তা, কবি সংগঠক রাজিয়া রহমান, কবি শামীমা আক্তার, শিল্পী সাদিয়া শারমিন, কবি কনক চৌধুরী, কবি তাসলিমা জামালসহ প্রমুখ।

;

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব



মাহমুদ হাফিজ
কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

কলকাতায় রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাহিত্য উৎসব

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতায় শুরু হয়েছে রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের তিন দিনব্যাপী সাহিত্য উৎসব। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দুমতি সভাগৃহে বিকালে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এবারের উৎসবে বাংলাদেশের কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, পরিব্রাজক ও ভ্রমণগদ্য সম্পাদক মাহমুদ হাফিজ, স.ম. শামসুল আলম, নাহার আহমেদ, ড. নাঈমা খানম প্রমুখকে সম্মানিত করা হয়।

বিকালে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক নলিনী বেরা। বিশিষ্ট নাট্যকার চন্দন সেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শঙ্করলাল ভট্টাচার্য ও কবি সব্যসাচী দেব। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের সাধারণ সম্পাদক কবি সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য। এতে সমাপণী বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি কবি স্বপন ভট্টাচার্য। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য।

আজ ও আগামীকাল ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি হলে বিকাল থেকে কবিতা ও গল্পপাঠ, আলোচনা, শ্রুতিনাটক, সঙ্গীত অনুষ্ঠিত হবে। রাইটার্স ওয়ার্ল্ডের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, নেপাল, আসাম, ত্রিপুরার কয়েশ’ কবি লেখক অংশগ্রহণ করছেন।

;