জ্ঞানের নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টিতে শিক্ষকদের অবদান রাখতে হবে
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘জ্ঞানের নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টিতে শিক্ষকদের অবদান রাখতে হবে। এছাড়া শিক্ষক ও গবেষকদের নিরলস জ্ঞানচর্চা ও নিত্য নতুন বহুমুখী মৌলিক এবং প্রায়োগিক গবেষণার ভেতর দিয়ে জ্ঞানের দিগন্তের ক্রমসম্প্রসারণ করতে হবে।’
রোববার (২৩ আগস্ট) বশেফমুবিপ্রবির উদ্যোগে আয়োজিত ‘ট্রেনিং অন ইলিমেন্টস অব কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ইন হায়ার এডুকেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে দুদিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য এবং রেজিস্ট্রার জনাব খন্দকার হামিদুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘মহিয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছার নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আমরা একটি আন্তর্জাতিকমানের গবেষণা নির্ভর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাধ বুদ্ধিচর্চা, মননশীলতা ও চিন্তার স্বাধীনতা বিকাশের পরিবেশ থাকবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পাঠদান পদ্ধতিতে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে দেশের বাস্তবতাকে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে, রাষ্ট্র ও সমাজের সমস্যা শনাক্ত করার সঙ্গে এর সমাধানও বের করতে হবে।’
অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে- কার্যকরভাবে বিশ্বমানের শিক্ষাদান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুসন্ধিৎসা জাগানো এবং মানবিক গুণাবলি অর্জনে সহায়তা দান। শিক্ষার মানের দিক দিয়ে আমরা কোনো ছাড় দেব না। শিক্ষকদের দক্ষ ও যুগোপযোগী জ্ঞান আহরণ করতে হবে। একই সঙ্গে গবেষণার সংখ্যা ও মান বৃদ্ধি করতে হবে।’
শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়ে ভিসি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে আধুনিক এবং দ্রুত অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে কার্যকর পরিচিতি ও সমন্বয় রক্ষা করে চলা। একই সঙ্গে জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের উপযোগী বিজ্ঞানমনষ্ক, অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, মানবমুখী, প্রগতিশীল ও দূরদর্শী নাগরিক তৈরি করা। বশেফমুবিপ্রবি সে কাজটাই করে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে রয়েছেন গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ শাহজালাল। দুদিনব্যাপী কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ অংশ নিচ্ছেন।