খুবির জন্য ৯৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বাজেট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সিনেট অধিবেশন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সিনেট অধিবেশন

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল ৩ টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে তৃতীয় সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান সিনেট সভায় সভাপতিত্ব করেন। অধিবেশনে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেট, প্রকৃত আয়-ব্যয় এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৯৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার মূল বাজেট উপস্থাপন করা হয় এবং তা সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।

এ অধিবেশনে সিনেট সভাপতি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক, ভৌতঅবকাঠামোগত উন্নয়ন, গবেষণা ও শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যত ভাবনার কথা তুলে ধরে অভিভাষণ প্রদান করেন। বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।

উপাচার্য তাঁর সিনেট সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণার গুণগতমান বৃদ্ধির নিরন্তর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ২৯ টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে ইতোমধ্যে ২১ টি ডিসিপ্লিনের জন্য চার বছর মেয়াদী উন্নয়ন কৌশল তৈরি সম্পন্ন হয়েছে এবং এই উন্নয়ন বাস্তবায়নে ইউজিসিতে ১৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকারও বেশি চাহিদা পেশ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার চলতি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যাশিত পর্যায়ে পৌঁছাবে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন উদ্ভাবনায় আগ্রহ ও সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে অচিরেই একটি ইনোভেশন সেন্টার চালু করা হবে। একাডেমিক সম্প্রসারণে জয়বাংলা ভবন নামে নতুন একটি দশতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ এ বছরই শুরু হবে এবং এটার নির্মাণ কাজ শেষ হলেই আরও নতুন নতুন বিষয় চালু করা হবে। তবে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন।

আগামী বছরের শেষ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি

উদ্বোধনী পর্বের পর উত্থাপিত বাজেট ও সভাপতির ভাষণের উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই সিনেট অধিবেশনে যোগদানকারী সদস্যবৃন্দ বাজেট ও সভাপতির আলোচনায় অংশ নেন।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৩ সালের ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সিনেট অধিবেশন এবং দ্বিতীয় সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৭ সালের ৯ আগস্ট। দীর্ঘ ১১বছর পর সিনেটের এ তৃতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হলো।

   

চবি ছাত্রলীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষ, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চবি ছাত্রলীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষ

চবি ছাত্রলীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষ

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত চারজন আহতসহ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে চবি ক্যাম্পাসের ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়িত পক্ষ দুটি হলো চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও বিজয়। তারা উভয়ই ক্যাম্পাসে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচন চলছিল। নির্বাচনের একটি কেন্দ্র ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ। কেন্দ্রটিতে পূর্ব থেকে দুই পক্ষই অবস্থান নেয়। বিজয়ের কর্মীরা মোটরসাইকেল প্রতীক ও সিএফসির কর্মীরা ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিজয় গ্রুপের সালাহ উদ্দিনের গলায় রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে সিএফসির কর্মীরা।

এ ঘটনায় দুই পক্ষের কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ধাওয়া পালটা-ধাওয়া, প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং রামদা ও লাঠিসোঁটা হাতে মহড়া দিতে দেখা যায়। ইটের আঘাতে সিএফসির ৪ কর্মী ও বিজয়ের একাধিক কর্মীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি দুপক্ষের কর্মীদের হলে ঢুকিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গ্রুপগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আহত ওই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম সালাহ উদ্দিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় সালাহ উদ্দিন। সেখানে হামলার সাথে সম্পৃক্ত ছয়জনের নাম উল্লেখ করে তিনি তাদের বিরুদ্ধে বিচার চান।

অভিযুক্ত চারজন হলেন, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের বিদ্যুৎ খান সাইফুল, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ আব্দুস সাত্তার শান্ত, দর্শন বিভাগের ওমর শরীফ হৃদয়, ইতিহাস বিভাগের শোয়ায়েব আখতার সুলভ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ট্রিপল ই বিভাগের রাজেশ চক্রবর্তী ও আন্তর্জাতিক ভাষা ইনস্টিটিউটের মো. নিশাত শাহরিয়ার।

সিএফসির নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব সোপান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের সংগঠন থেকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল, আমাকে অবগত না করেই কয়েকজন সেখানে গিয়েছিল। তারা সেখানে যে কাজ করেছে তা কোনভাবেই কাম্য নয়। সালাহ উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় ও আমাদের দেশের সম্পদ তাকে এভাবে যে বা যারা আঘাত করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।

বিজয়ের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ভোটকেন্দ্র আমাদের হলের পাশে হওয়ায় কয়েকজন কেন্দ্রের ওদিকে যায়। গিয়ে দেখে রব হলের ছেলেরা এসে কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করছে। এসময় সালাহ উদ্দিন তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে এই নির্বাচনে ইনভলভ না হওয়ার জন্য বলে। এরপরই তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেদের জিজ্ঞাসা করা হলে তার জানায় নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো বিষয় নেই। হলে কোনো বিষয়ে ঝামেলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম জানান, নির্বাচন কেন্দ্রিক বিশৃঙ্খলা থেকে ঘটনার সূত্রপাত, সেখানে এক শিক্ষার্থী গলায় গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তাকে চমেকে পাঠানো হয়েছে। তার জখমটা মারাত্মক হওয়াতে তাকে ওটিতে নেওয়া হয়েছে। যেহেতু এটা নির্বাচন কেন্দ্রিক ঘটনা সেহেতু বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন দেখবে।

;

সাস্ট ফিজিক্স অ্যালামনাই’র প্রথম কমিটি গঠন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সাস্ট ফিজিক্স অ্যালামনাই’র প্রথম কমিটি গঠন

সাস্ট ফিজিক্স অ্যালামনাই’র প্রথম কমিটি গঠন

  • Font increase
  • Font Decrease

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাস্ট) পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘সাস্ট ফিজিক্স অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের’ প্রথম কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন- বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রফেসর নাজিয়া চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে- মোহাম্মদ খুরশেদ আলম। এছাড়াও শরফুদ্দীন আহমেদ তারেক কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন।

গত ১৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভায় সদস্যদের সরাসরি ভোটে দুই বছর মেয়াদি ৪১ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়। দেশ ও দেশের বাইরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরাও অনলাইনে সরাসরি যুক্ত হয়ে ভোট প্রয়োগ করেন।

১৯৯০ সালে পদার্থ বিজ্ঞানসহ তিনটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম ব্যাচ বের হওয়ার তিন দশক পর গঠন করা হলো এই কমিটি।


অনুষ্ঠানের শুরুতে সাবেক শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা হয়। পরে আহ্বায়ক কমিটি তাদের কার্যক্রম এবং আয়-ব্যয়ের বিবরণ তুলে ধরেন। একইসঙ্গে গঠন করা হয় নির্বাচন কমিশন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বিভাগীয় প্রধান ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার বসাক। সাবেক শিক্ষার্থীদের এই সংগঠন নিয়ে উচ্চাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই যে একটি সূতিকাগার হলো, এই যে একটু সেতু হলো, এটা নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং গবেষণায় ভূমিকা রাখবে বলেই আমার বিশ্বাস। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন দশকের বেশি সময়ের পথ চলার সঙ্গী হলো আজকের এই মঞ্চ। বর্তমান শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার জন্য সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানন তিনি।


প্রফেসর নাজিয়া চৌধুরী অ্যাসোসিয়েশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা আমাদের এই অ্যাসোসিয়েশনকে পদার্থবিদদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের একটি সংগঠনে রূপ দিতে চাই। পদার্থ বিজ্ঞান শুধু বিজ্ঞানের ভিত্তিই নয়, প্রযুক্তির উন্নয়নেও পদার্থবিদরা অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। নানা প্রান্তে কর্মরত আমাদের পদার্থবিদরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। এবার আমাদের দেওয়ার পালা। আমরা আমাদের উত্তরসূরিদের সহযোগিতায় তাদের পাশে থাকতে চাই। বাংলাদেশে গবেষণা খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি যার যার অবস্থান থেকে দেশের স্বার্থে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

জসির আহমেদের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর ড. বদিউজ্জামান ফারুকসহ বিভাগের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষকরা।

;

ইবিতে ঝোপঝাড় ঘিরে সাপ-মশার অভয়ারণ্য



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইবিতে ঝোপঝাড় ঘিরে সাপ-মশার অভয়ারণ্য

ইবিতে ঝোপঝাড় ঘিরে সাপ-মশার অভয়ারণ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে তীব্র গরমে সাপের পাশাপাশি মশার উপদ্রব বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে।বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, মফিজ লেকসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলছে সাপের। এছাড়া সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই বৃদ্ধি পায় মশার উৎপাত। ফলে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত সকলের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

দায়িত্বে অবহেলা এবং সময়মতো ঝোপঝাড় পরিষ্কার না করায় সাপ ও মশার উৎপাত বেড়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাপের উপদ্রব এবং মশা নিধনে তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় হলের পিছনে, লেকে ও আবাসিক এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঝোপঝাড় থেকে বিভিন্ন সময় সাপ বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হঠাৎ করেই গরম বাড়ায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে যখন তখন সাপের দেখা মিলছে। এছাড়া হলে মশার উপদ্রব বেড়েছে ব্যাপকভাবে। ফলে তীব্র গরমে মশারি টানালেও গরমে ঘুমানো যাচ্ছে না। এদিকে মশারি না টানালে মশার কামড়ে ঘুমানো যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যত্রতত্র ময়লার স্তূপ এবং প্রশাসনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অমনোযোগিতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উদাসীনতাকেও দায়ী করছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হল, জিয়াউর রহমান হল ও লালন শাহ হলের চারপাশে ঝোপঝাড় চোখে পড়ার মতো। মেয়েদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল এবং খালেদা জিয়া হলের মাঝামাঝি জায়গাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট খেলার মাঠ সংলগ্ন পেয়ারা বাগান ঝোপঝাড়ে আচ্ছাদিত হয়ে আছে। এছাড়াও ফুটবল খেলার মাঠের পূর্বপাশে, শিক্ষার্থীদের সময় কাটানোর জন্য মফিজ লেকসহ আবাসিক এলাকায় ঝোপঝাড়ের উপস্থিতি রয়েছে। ফলে রাস্তাঘাটে হাঁটতে বা রাতে মাঠে বসে আড্ডা দিতে গিয়েও দেখা মিলছে সাপের।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেক, এস্টেট অফিস, কেন্দ্রীয় দুইটি খেলার মাঠ, আবাসিক এলাকা, বঙ্গবন্ধু হল পুকুর পাড়সহ বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি সাপ মারা পড়েছে।

প্রভোস্ট কাউন্সিল সভাপতি ও সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, সব হলের প্রভোস্টের সাথে আলোচনা করব বিষয়টি নিয়ে। সবগুলো হলের চারপাশ নিয়মিত পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করি। তবে আমাদের পরিচ্ছন্নকর্মীর কিছু সংকট আছে। ভাড়া করা লোকদের দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হয়, ফলে অনেকসময় সময়মতো করা হয়ে ওঠে না। এই সিন্ডিকেটে নিয়োগের কথা ছিল, কিন্তু নিয়োগ হয়নি এখনো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের পরিচালক সামছুল ইসলাম জোহা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করেছি। খুব তাড়াতাড়ি ক্যাম্পাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে। তাছাড়া আগামীকাল থেকেই ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধনের কার্যক্রম চলবে।

চিফ মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, সাপের উপদ্রব ইদানিং আমাদের মেডিকেল সেন্টারেও দেখতে পাচ্ছি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ছাড়া এর বিকল্প নেই। তবে যদি কাউকে সাপে কামড়ায়, তাহলে অবশ্যই সাথে সাথে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের এখানে এন্টি ভেনমসহ সকল ধরনের চিকিৎসা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাপের কামড়ের পর আমরা যদি দুইটি দাঁতের চিহ্ন দেখতে পাই, তবে বুঝতে হবে সেটি বিষাক্ত। তাই কাউকে সাপে কামড়ালে সাথে সাথে তার ওপর শক্ত রশি দিয়ে বেঁধে ফেলতে হবে। তারপর মেডিকেল সেন্টারে আসলে আমরা চিকিৎসা যতটুকু দরকার করতে পারব। আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।

;

ছাড়া পেলেন অস্ত্র মামলার আসামী ইলিয়াস মিয়া



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জামিনে ছাড়া পেলেন অস্ত্র আইনের মামলায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইলিয়াস মিয়া।

সোমবার (২০ মে) জামিনে ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে আমরা খবর পেয়েছি হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক তিনি জামিন পেয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের নয় আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত হন ইলিয়াস মিয়া। সেই মাসের ২৩ তারিখ তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। তবে নয় মাসের মধ্যেই তিনি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল দুপুরে কুমিল্লার কোটবাড়ির সালমানপুর এলাকার ছানিয়া পিকনিক স্পট থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক ম্যাগাজিন ও দুটি তাজা গুলিসহ ইলিয়াসকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এরপর র‍্যাবের ডিএডি মো. মোস্তাকিম বাদি হয়ে ঐ দিনই সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের নয় আগস্ট কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সেলিনা আক্তার তাকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

ইলিয়াস মিয়া কুবির ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের (প্রথম ব্যাচ) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৭ সালের ২৮ মে তিনি কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ–বাণিজ্য, সাংবাদিকদের নিপীড়ন ও মারধর, ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের মারধর, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হয়রানি, শিক্ষকের বাসায় হামলা, মাদক সেবন, র‍্যাবের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, নতুন ক্যাম্পাসে ভূমি অধিগ্রহণে প্রভাব বিস্তারের নানা অভিযোগ রয়েছে।

;