জাবিতে প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক বুয়েট শিক্ষার্থীর কারাদণ্ড
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে গ্রেফতার তোহিদুল হাসান শিপনকে (২৮) কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (১৪ নভেম্বর) রাতে সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ তাকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শিপন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। দুই বছর আগে তিনি বুয়েট থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন।
তোহিদুল হাসান শিপনের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার হাটুরিয়া এলাকায়। তার বাবার নাম আব্দুল জলিল।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় জাবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার পঞ্চম শিফট চলাকালে বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে তাকে আটক করা হয়। শিপন ভর্তি পরীক্ষার্থী নাজমুল হকের পরিবর্তে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসে বুয়েটের ছাত্র আটক!
পরীক্ষা চলাকালে ভর্তি পরীক্ষার্থীর ছবির সঙ্গে শিপনের ছবির মিল না পাওয়ায় প্রক্টরিয়াল বডিকে খবর দেন হলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা। পরে শিপনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে শিপন জানান, দুই বছর আগে তিনি বুয়েট থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং উদ্ভাস থেকে ভর্তি পরীক্ষার্থী নাজমুল হকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার চুক্তি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান জানান, ওই শিক্ষার্থীর ছবির সঙ্গে প্রবেশপত্রের ছবির কোনো মিল না থাকায় হলের দায়িত্বরত শিক্ষক আমাদের বিষয়টি অবগত করেন। জিজ্ঞাসাবাদ তিনি দোষ স্বীকারও করেছেন। তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাতদিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গল ও বুধবার ‘ডি’ ইউনিটভুক্ত জীববিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ছয়জনের পরীক্ষা বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় সূত্র জানায়, তাদের মধ্যে পাঁচজনের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল বুধবার। কিন্তু তারা আগেরদিন মঙ্গলবার পরীক্ষা দিতে আসেন। অন্যজনের পরীক্ষা ছিল মঙ্গলবার। অথচ তিনি পরদিন বুধবার পরীক্ষা দিতে আসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান জানান, তাদের মধ্যে কেউ ভুল করে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। আবার কেউ জেনেশুনে পরীক্ষা দিতে গিয়েছেন। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।