চেক চুরি-সই জালিয়াতি করে ঢাবির ফার্মেসি অনুষদের অর্থ আত্মসাৎ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি অনুষদে ১০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ঢাবি অগ্রণী ব্যাংক শাখার নামীয় একাউন্টের দুটি চেকবই চুরি এবং ডিনের সই জালিয়াতি করে এসব অর্থ আত্মসাৎ করা হয়।
জানা যায়, অনুষদটির সদ্য সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. এস এম আবদুর রহমানের সই জালিয়াতি করে ওই একাউন্ট থেকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অনুষদের ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে ৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা এবং ফার্মেসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা অনুষদের ডিনের গাফিলতি উল্লেখ করে বলেন, ছয় মাস কিংবা এক বছর পর পর অডিট করার প্রয়োজন থাকলেও, অনুষদে প্রায় দুই বছরেও তা করা হয় নি।
এ ঘটনায় ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদকে আহ্বায়ক করে ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকির আহমেদ চৌধুরী এবং ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুহিত’কে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা বেশ কিছু কাজও করছি, সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছি। যেসব চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন হয়েছে, সেগুলোর ফটোকপি সংগ্রহ করা হয়েছে। সইগুলো কার হাতের সঙ্গে মিলে, তা ফরেনসিক এক্সপার্টরা ভালো বুঝতে পারবে। নিয়মিত মামলা দায়ের করার জন্য আমরা ডিনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে সুপারিশ করব। মামলাও ফরেনসিক রিপোর্টসহ তদন্ত করা হলে বিষয়টির সত্যতা বের হয়ে আসবে, বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে ঘটনার সময় ডিনের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. এস এম আবদুর রহমান বলেন, তাকে অভিযুক্ত করা খুবই দুঃখজনক। যেখানে, আমি নিজেই যেখানে অভিযোগ করেছি, উপাচার্যের পরামর্শে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এসব ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই না। করোনাকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে। তখন আমরা অফিসে যেতে পারিনি। কে বা কারা করেছে, তদন্ত রিপোর্ট জমা সাপেক্ষে সব কিছু বেরিয়ে আসবে।
ফার্মেসি অনুষদের বর্তমান ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই জানা যাবে কীভাবে, কারা এসব ঘটনা ঘটালো এবং সে সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।