কে হচ্ছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম উপাচার্য?



আব্দুল্লাহ আল নোমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ আবাসিক উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হচ্ছে মার্চের দুই তারিখে। দেশের প্রথম নারী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম প্রথম মেয়াদে নিয়োগ পান ২ মার্চ ২০১৪ সালে। দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পান ২০১৮ সালে। বর্তমানে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বে আছেন আর এক মাসেরও কম সময়। অর্ধ শতাব্দীর পুরনো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতি আবর্তিত হয় উপাচার্য পদটিকে কেন্দ্র করে। তাই কে হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য এ আলোচনা এখন ক্যাম্পাসের সর্বত্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক এমন সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্যে চলছে নীরব প্রতিযোগিতা। সবাই যার যার মতো করে সরকারের নানা মহলে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ এর অ্যাক্ট অনুসারে সিনেট সদস্যদের ভোটে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ৩ জনের নাম পাঠানোর নিয়ম রয়েছে। আচার্য তাদের মধ্যে থেকে একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ দিবেন। তবে আচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করতে পারেন। উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে যারা রয়েছেন তাদের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের চেয়ে সরাসরি উপাচার্য হয়ে আসার দিকেই আগ্রহ বেশি দেখা গেছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ তম উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন ৭ জন প্রভাবশালী অধ্যাপক। এরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড.আমির হোসেন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.নুরুল আলম, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শেখ মো. মঞ্জুরুল হক, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার। পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হানিফ আলী।

ড. আমির হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা স্তরে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ এর সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। অধ্যাপক নুরুল আলম বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) পদে দায়িত্বে আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি সহ নানা প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে এই অধ্যাপকের। অধ্যাপক শেখ মঞ্জুরুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ সহ নানা প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) পদে দায়িত্বে আছেন।

অধ্যাপক রাশেদা আখতার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্বে আছেন। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের প্রধানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই অধ্যাপক ভিসি পদের দৌড়ে এগিয়ে আছেন বলে জানা গেছে। অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের দায়িত্ব সহ নানা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা আছে এই শিক্ষকের। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে আছেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. হানিফ আলী। এই দুই সিনিয়র অধ্যাপকের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা নতুন উপাচার্য হিসাবে এমন কেউ আসুক যিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেশনজট দূর করবেন, নিয়মিত সমাবর্তন ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন দিবেন। কেমন উপাচার্য চাই? এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, আমরা এমন উপাচার্য চাই যিনি নিজের ও আজ্ঞাবহ শিক্ষকদের আখের গুছাতে ব্যস্ত না হয়ে শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসের সকল অংশীজনের সুবিধা-অসুবিধার ব্যাপারে মনোযোগী হবেন। যিনি শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী হবেন। দক্ষ প্রশাসক ও বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবার আগ্রহ ও সামর্থ্য আছে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সভাপতি আবু সাঈদ বলেন, আমরা এমন ভিসি চাই যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুম সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক নিপীড়ন বন্ধ করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজট মুক্ত করতে পারবেন।

জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন, আমরা চাই নতুন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থিতিশীলতা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং ছাত্রবান্ধব হবেন। নতুন উপাচার্য হিসাবে যিনিই আসবেন তার কাছে প্রত্যাশা থাকবে নিয়মিত জাকসু নির্বাচন এবং সমাবর্তন আয়োজনের ব্যাপারে যাতে আগ্রহী থাকেন।

   

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৯০ শতাংশের উপরে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভর্তি পরীক্ষা

ভর্তি পরীক্ষা

  • Font increase
  • Font Decrease

অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার গড়ে ৯০ শতাংশের উপরে ছিল বলে জানিয়েছেন গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১টায় শেষ হয়। এর আগে কড়া নিরাপত্তায় ভর্তিচ্ছুদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়।

অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারণে এ বছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ভুল প্রশ্নপত্রে সারা দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে গুচ্ছের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও থেকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৪ দশমিক ২২ শতাংশ উপস্থিতির হার ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জে এবং সর্বনিম্ন ৭৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ উপস্থিতির হার রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি কেন্দ্রে। তবে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের গড় উপস্থিতির হার ছিল ৯০ শতাংশের উপরে। আর যবিপ্রবি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯২ দশমিক ৬২ শতাংশ।

এদিন বিকেলে অনুষ্ঠিত আর্কিটেকচার ড্রয়িং পরীক্ষায় উপস্থিতির হারও ছিল সন্তোষজনক। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের সামরিক-বেসমারিক, আধা-সামরিক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের দুপুর ১২টা-১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে এ পরীক্ষা শুরু হয়। একইদিন আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষাটি বিকেল সাড়ে ৩টা হতে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এ বছর ‘এ’ ইউনিটে এক লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। তবে পরীক্ষায় তাদের গড় উপস্থিতি ছিল ৯০ শতাংশের উপরে।

জিএসটির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, আগামী ৩ মে ‘বি’ ইউনিটে মানবিক ও ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন আবেদন করেছেন।

উল্লেখ্য, জিএসটিভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস, ফলাফলসহ অন্যান্য সকল তথ্য https://gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: ইবিতে শিক্ষকবিহীন পরীক্ষা হল!



ইবি প্রতিনিধি, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্মিলিত গুচ্ছ ২০২৩-২৪ (স্নাতক) শিক্ষাবর্ষের ‘ক’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে শিক্ষকবিহীন কক্ষে পরীক্ষা গ্রহণ করেছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় ড. ওয়াজেদ আলী ভবনের ২০১ নম্বর কক্ষে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড. ওয়াজেদ আলী ভবনের ২০১, ২০২ ও ২০৩ নম্বর কক্ষের জন্য দায়িত্বরত শিক্ষক ছিলেন মাত্র ২ জন। তবে ২০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা চলার সময় কোনো শিক্ষক ছিলেন না। এ রুমে পরীক্ষা চলার সময় ডিউটি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রারেরা।

এ বিষয়ে প্রধান পরিদর্শক মো. তহিদুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১ নম্বর কক্ষে কোনো শিক্ষক নেই। সে কারণে ২০১, ২০২ ও ২০৩ নম্বর কক্ষের প্রধান পরিদর্শক হিসেবে উপ-রেজিস্ট্রারদের সহায়তায় তিনি ২০১ নম্বর রুমে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করেন।

ইউনিট সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক বলেন, পরীক্ষার কক্ষে শিক্ষক ছিলেন কি না, তা ফাইল দেখে বলতে হবে। পরীক্ষায় যে শুধুমাত্র শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেছেন তা নয়, বরং যত কর্মকর্তা সবাই পরিদর্শক। সুতরাং তাদেরও পরিদর্শকের সমমর্যাদা। প্রধান পরিদর্শক সব দেখভাল করবেন। কারণ, আমাদের যতসংখ্যক শিক্ষক তাদের সবাইকে প্রত্যেক রুমে দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, পরীক্ষার হলে একজনও কক্ষ পরিদর্শক নেই এমন ধরনের ঘটনা ঘটার কথা নয়। আমরা প্রতিটি রুমেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক দিয়েছিলাম। পাশাপাশি কর্মকর্তারাও ‘ইনভিজিলেটর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আসলে এটা তো জোর-জবরদস্তির কোনো বিষয় নয় যে, কোনো শিক্ষককে বাধ্য করে আনা হবে। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ছিলাম, তখন পিয়নদের দিয়েও দায়িত্ব পালন করিয়েছি।

উল্লেখ্য, গুচ্ছের ইবি কেন্দ্রের ‘ক’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬ হাজার ৪শ ৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। আগামী ৩ মে ‘বি’ (মানবিক) এবং ১০ মে ‘সি’ ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

বশেমুরবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৮৯.৯২ শতাংশ



বশেমুরবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' ইউনিটভুক্ত বিজ্ঞান অনুষদের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল ) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের বিভিন্ন কক্ষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকৃত মোট ১৭৪৬ জন শিক্ষার্থী মধ্যে উপস্থিত ছিলো ১৫৭০ জন ও অনুপস্থিত ছিলো ১৭৬ জন । জানা গেছে, পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল শতকরা প্রায় ৮৯.৯২ ভাগ।

পরীক্ষা শুরুর পর বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম, কোষাধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. মোবারক হোসেন ও প্রক্টরিয়াল বডি পরীক্ষা কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কিউ.এম. মাহবুব তীব্র তাপদাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনায় বলেন, “আমাদের যেহেতু হিট ওয়েভ চলছে, আমাদের মেডিকেল সেন্টার সহ খাবার পানি, প্রয়োজনীয় ঔষধ রেডি আছে। আশা করি আল্লাহ তা’আলার রহমতে কেউ অসুস্থ হবে না। আর যদি অসুস্থ হয়েই যায়, আমাদের এ্যাম্বুলেন্স আছে। এই পরীক্ষায় আশেপাশের এলাকা থেকেই ছেলেমেয়েরা এসেছে, এটা একটা ভালো দিক তাই আশা করি ওরা ক্লান্ত হয়ে যায়নি। এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের সমস্যা হয়নি।”

এছাড়াও তিনি ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন ।

অনুষ্ঠিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে পানি ও শরবত বিতরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, বাঁধনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও জেলা শিক্ষার্থী সংগঠন।

প্রসঙ্গত, চলতি শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬ জন ভর্তিচ্ছু অংশগ্রহণ করবে। বশেমুরবিপ্রবির 'এ' ইউনিটের বিজ্ঞান অনুষদের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১৭৪৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে।

;

ভাঙা পা নিয়েই ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসেন প্রভা



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। আজ শনিবার ভাঙা পা নিয়েই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে আসেন প্রভা। চাচার কোলে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে পরীক্ষা দিলেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছের ‘এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয়।

প্রভা বলেন, বাসায় আম্মুকে বুঝতে দেইনি আমার আঘাত গুরুতর। পা ভেঙে গেছে এটা জানলে পরিবার থেকে পরীক্ষা দিতে দিতো না। আমি মানসিকভাবে আশাবাদী ছিলাম পরীক্ষা দিতে পারব। আলহামদুলিল্লাহ পরীক্ষা ভালো দিয়েছি। আমি আশাবাদী ভালো কিছু হবে।

প্রভার মা জানান, পরীক্ষার আগের রাতে সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে পা ভেঙে যায়। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। মেয়ের ইচ্ছে সে পরীক্ষা দিবেই।

ভর্তিচ্ছু প্রভা থাকেন চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায়। চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করেছেন তিনি।

;