ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির সন্ত্রাস রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ২০২০ সালের এইচএসসি উত্তীর্ণরা।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে মহিদুল ইসলাম দাউদ নামের এক শিক্ষার্থী বার্তা২৪.কম কে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেক শিক্ষক সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়ে কোনো ধরনের কর্ণপাত করেনি। আজকে মেডিকেল কলেজে সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। এটা হতে পারে না। এটা একজন শিক্ষার্থীর অধিকার। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে অনশনে যাব। ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।

সাইফুল ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, একবারে একজন শিক্ষার্থীকে কোনোভাবেই বিচার করা যায় না। তার মেধাকে কাজে লাগাতে আরো একবার সুযোগ দেওয়া উচিত। অনেকের ইচ্ছা থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে। কিন্তু পৃথিবীর বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে যেগুলোর অবস্থান ৫০০ এর ভেতরে। আমরা চাই আমাদের এই ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হোক।

এছাড়াও অন্যন্য শিক্ষার্থীরা বলেন, উচ্চ শিক্ষাতে দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষা সুযোগ না দেওয়া এক ধরনের বাঁধা। আমরা চাই না, উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে এমন বাঁধা দেয়া হোক। আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নিলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাবি কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে। এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিচ্ছুরা তখনও আন্দোলন করেছিল।

   

তাপদাহেও ঢাবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের ভিড়



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার শুরু হয়েছে আজ। মোট ৩৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়কে একত্রিত করে প্রতিষ্ঠিত এই গুচ্ছ পদ্ধতি। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এবার প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। মোট তিন ইউনিট মিলে ২০ হাজার ৩৫০টি আসনের এই ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন পড়েছে আবেদনকারীদের। ভয়াবহ তাপদাহেও পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও ভিড় করছেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সরেজমিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্র পরিদর্শন করে এ চিত্র দেখা যায়। বেলা ১২টায় পরীক্ষার সময় দেওয়া হলেও সকাল ৯টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

তীব্র গরম পড়লেও ঢাবির পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর সামনে ফাঁকা স্থান চোখে পড়ে নি । অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের ভিড়ে ক্যাম্পাসে নির্বিঘ্নে চলছে না কোন যানবাহনও।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা পরীক্ষার্থী নীলা আক্তার জানান, বিজ্ঞান ইউনিট থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়েছি তবে ভর্তির সুযোগ হয় নি। এটাই শেষ সুযোগ স্বপ্ন ছোঁয়ার। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছি তাই গরম বেশি হলেও এই পরীক্ষা দিতে সাবধানতার সাথে অনেক আগেই এসে উপস্থিত হয়েছি কেন্দ্রে।

নরসিংদী থেকে আসা শিক্ষার্থী সুস্ময় দাস বলেন, আমরা ঢাকায় থেকে কোচিং করেছি। তাই আবেদন করার সময় ঢাকায় কেন্দ্র দিয়েছি। ঢাকা থেকে আবেদন করায় আমার সিট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। যার ফলে এখন আমার নরসিংদী থেকে আসতে হয়েছে এত গরমে।

কুমিল্লা থেকে আসা এক অভিভাবক তারিক জামিল বলেন, আমার মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। তার কেন্দ্র পরেছে কার্জন হলে। সে ঢাকাতেই ভর্তি কোচিং করেছিলো। কুমিল্লা থেকে আমি ওকে কেন্দ্রে নিয়ে আসতেই সকালের ট্রেনে এখানে এসেছি। আমি একটি সরকারি অফিসে চাকরি করি। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তানকে মেয়েকে পড়ানো আমার স্বপ্ন তাই এই গরমেও যতটুকু পারছি সাপোর্ট দিচ্ছি।

উল্লেখ্য, তীব্র তাপদাহে যেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কোন সমস্যা না হয় সেজন্যে ঢাবির বিএনসিসি এবং রোভার ইউনিট সদস্যদের নানা ধরণের সেবামূলক দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।

;

ইবি কেন্দ্রে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু 



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গুচ্ছভুক্ত ২৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সম্মান প্রথম বর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি একাডেমিক ভবনে বিজ্ঞান (এ) ইউনিটের পরীক্ষা শুরু হয় যা চলবে বেলা ১ টা পর্যন্ত। ইবি কেন্দ্রে এ ইউনিটে পরীক্ষা দেওয়ার কথা রয়েছে ৬ হাজার ৪৪২ জন ভর্তিচ্ছুর।

এর আগে সকাল ১০টা থেকেই প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে ভর্তিচ্ছু পরিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থান থেকে নির্ধারিত সময়ের আগেই পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে থাকে। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও আশপাশের জেলার শিক্ষার্থীদের পছন্দের কেন্দ্র ছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র।

পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানসহ প্রশাসনের সদস্যরা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিতে ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় ফটকে হেল্প ডেস্ক বসানো হয়েছে।

এদিকে, গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্খিত ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।

;

গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত কুবি



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামীকাল (২৭ এপ্রিল) গুচ্ছ অধিভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) কেন্দ্র।

এবছর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কুবি ক্যাম্পাসসহ নয়টি উপকেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রে মোট ১০,১৩৪ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।

উপকেন্দ্রগুলো হলো ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, কুমিল্লা সেনানিবাস (বার্ড সংলগ্ন), ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুল, কুমিল্লা সেনানিবাস (বার্ড সংলগ্ন), সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (কোটবাড়ি), গভ. ল্যাবরেটরী হাইস্কুল (কোটবাড়ি), বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল (বিজিবি সদর সপ্তর, কুমিল্লা), টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি, কোটবাড়ি), কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজ (শাকতলা, কুমিল্লা) এবং বার্ড হাইস্কুল (কোটবাড়ি)।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।

এ ব্যাপারে ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক ড. মো. সাইফুর রহমান বলেন, 'ভর্তি পরীক্ষায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সকল সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবেন। এদিন নিরাপত্তা-শৃঙ্খলা রক্ষায় ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশ, আনসার এবং বিএনসিসি, রোভার স্কাউট সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।' 

তিনি আরো বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার ফৌজদারি অপরাধ ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা থাকবেন। গরমে কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম থাকবে।'

সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, অন্যবারের মতোই ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ সবার সাথে সমন্বয় করে উপাচার্যের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছি। আশা করি অন্যান্যবারের মতো এবারও ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ (বিজ্ঞান) ইউনিটে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। এই ইউনিটে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী ৩ মে ‘বি’ (মানবিক) ইউনিট ও ১০ মে ‘সি’ (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঢাবিতে জৈব সম্পদ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ এবং বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির যৌথ উদ্যোগে "Transformation of Poverty through Improvement of Health & Innovative Utilization of Bio-Resources" শীর্ষক দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক দ্বিবার্ষিক সম্মেলন এবং প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, এমপি, বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী, মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা ফিরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শেফালী বেগম, মৎসবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. হামিদা খানম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি ড. তপন কুমার দে, এসিআই এগ্রিবিজনেস-এর প্রেসিডেন্ট ড. এফএইচ আনসারী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিদ মজুমদার বাবু বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার দারিদ্র বিমোচন এবং উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে প্রাণি সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রাণি সম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাণিকুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলকে আরও সচেতন হতে হবে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রাণিসম্পদ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এই সম্মেলন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বলেন, প্রাণিসম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে আমিষের চাহিদা মেটাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। এসব উদ্যোগের ফলে দেশে খাদ্য চাহিদা পূরনের পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যগত উন্নতিও ঘটেছে। বন্যপ্রাণির আবাসস্থল ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, বন্যপ্রাণি রক্ষায় সকলকে আরও সচেতন হবে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রাণিবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে স্নাতক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ফায়রুজ হুমায়ারা ইতু এবং রানার্স-আপ হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী নাফসি মোনতাইননা।

প্রসঙ্গত, এই সম্মেলনে দেশ ও বিদেশের শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।

;