‘নিয়োগ-ছলচাতুরি করে পদ আঁকড়ে থাকার চেষ্টায় জাবি ভিসি’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে (জাবি) গণতান্ত্রিকভাবে সুসংহত না করেই মেয়াদের শেষের দিকে এসে জাবি ভিসি নির্বিচারে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ এবং নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে পদ আঁকড়ে ধরে থাকার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের দ্বিতীয় মেয়াদ আগামী ২রা মার্চ শেষ হতে চললেও বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী তিনি প্যানেল নির্বাচনের আয়োজন করছেন না।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৩ এর অ্যাক্ট, অর্ডিন্যান্স ও সংবিধান সমুন্নত রাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিশেষ করে উপাচার্যের আইনগত দায়িত্ব ও নৈতিক কর্তব্য। আমরা বহুবার নানাভাবে উপাচার্যকে সে দায়িত্ব পালনের বাধ্যবাধকতা স্বরণ করিয়ে দিলেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেন না। দীর্ঘদিন ধরে সিনেট, সিন্ডিকেট, শিক্ষা পর্ষদ, ডীন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পর্ষদ মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও বিধি মোতাবেক নির্বাচনের কোনো চেষ্টাই তিনি করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্টের প্রতি উপাচার্যের অবজ্ঞা ও কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যার অনুপস্থিতি উল্লেখ করে বলেন, বিশেষ মহলের নিয়োগ বাণিজ্য ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অনাচারের পথ সুগম করে দেওয়াটাই কি বর্তমান প্রশাসনের একমাত্র লক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে?
যেখানে পর্ষদ এ্যাক্টের ধারা ২৬(৫) অনুযায়ী ডিন মেয়াদোত্তীর্ণের সময় মে ২০১৮, ২২(১)(ই) অনুযায়ী সিন্ডিকেটের মেয়াদোত্তীর্ণের সময় জুন ২০১৮, ২২(১এফ) অনুযায়ী সিনেট হতে সিন্ডিকেট সদস্যদের মেয়াদোত্তীর্ণের সময় জুলাই ২০১৬, ২৫(১)(এফ) অনুযায়ী শিক্ষা পর্ষদের মেয়াদোত্তীর্ণের সময় জুন ২০১৮, ৩০(১)(ই) অনুযায়ী অর্থ কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণের সময় জুন ২০১৮, ১৯(১)(আই) অনুযায়ী সিনেট রেজিস্ট্রার গ্রাজুয়েট প্রতিনিধির মেয়াদোত্তীর্ণের সময় জানুয়ারি ২০২১, ১৯(১)(জে) অনুযায়ী সিনেট (শিক্ষক প্রতিনিধি) এর মেয়াদোত্তীর্ণের সময় অক্টোবর ২০১৮।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু শিক্ষা-গবেষণা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অনতিবিলম্বে মেয়াদোত্তীর্ণ সকল পর্ষদের (ডিন, সিন্ডিকেট, শিক্ষাপদ, অর্থ-কমিটি, সিনেট, উপাচার্য প্যানেল) নির্বাচন সম্পন্ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলার কারণে উদ্ভূত যে কোন সংকটময় পরিস্থিতির দায় উপাচার্যকেই বহন করতে হবে।