প্রাচীন স্থাপত্য আবিষ্কার করল কুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার বসন্তপুরে প্রাচীন স্থাপত্যের এক নিদর্শনের খোঁজ পেয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হান ও তার বিভাগের একদল শিক্ষার্থী।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কুবির প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হানের নেতৃত্বে প্রত্নতত্ত্বের একদল শিক্ষার্থী প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুসন্ধানের জন্য পাঁচথুবি ইউনিয়নে যায় এবং সেখানে বসন্তপুর গ্রামে এই প্রাচীন নিদর্শন আবিষ্কার করে।

খুঁজে পাওয়া এই প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন সম্পর্কে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হান বলেন, ‘বর্তমান অনুসন্ধানে ইট নির্মিত একটি প্রাচীন স্থাপনা আবিষ্কার করেছি আমরা। সারফেস স্ক্র্যাপিংয়ে স্থাপত্যের তিনটি বাহু শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এতে ২৫ বর্গ সেন্টিমিটার আকৃতির বর্গাকৃতির ইট ব্যবহার করা হয়েছে। স্থাপত্যটির ব্যবহার ও ধরন সুনির্দিষ্টভাবে বোঝা না গেলেও এটি নিশ্চিত হওয়া যায় যে, স্থাপত্যটি একটি বড় স্থাপত্য কমপ্লেক্স এর অংশ।’

তিনি আরও বলেন, প্রত্নস্থল সম্পর্কে স্থানীয় জনগণের ধারণা না থাকা, ‘অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি এবং বৃক্ষ রোপণের ফলে কালের সাক্ষী এই প্রত্নস্থলগুলোর ব্যপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। আর এর সুরক্ষায় প্রয়োজন জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা। আবিষ্কৃত এই প্রত্নস্থল এবং এর সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আমরা ইতোমধ্যে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছি।’

নতুন এই আবিষ্কার নিয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল কাউসার বলেন, ‘প্রত্নতত্ত্বে পড়ার সুবাদে আমি বিভিন্ন নিদর্শন আবিষ্কারের কথা পড়েছি, শুনেছি। এই প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কারের অংশ হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমরা মুর্শেদ রায়হান স্যারের নেতৃত্বে পাঁচথুবি ইউনিয়নে যাই প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন অনুসন্ধানের জন্য। পরে সারফেস স্ক্র্যাপিং করে সেখানে প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন আবিষ্কার করতে সক্ষম হই।’

জানা যায়, স্থানীয়ভাবে বসন্ত রাজার বাড়ি নামে ঐ জায়গাটি পরিচিত। তার ধারণা করে কোনও বসন্ত নামক রাজার রাজত্ব থেকেই হয়ত গ্রামের নাম বসন্তপুর হয়েছে। এছাড়া শালবন বিহারে প্রাপ্ত আনন্দদেবের তাম্রশাসনে বসন্তপুর নামক জায়গায় অস্থায়ী রাজধানী স্থাপনেরও উল্লেখ রয়েছে। তবে এটা নিশ্চিত নয় যে এখনকার বসন্তপুরই সেই বসন্তপুর কি না। এর জন্য আরও বিস্তৃত পরিসরে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রয়োজন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

   

চবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু মঙ্গলবার



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

তীব্র গরমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সশরীরে বন্ধ হওয়া ক্লাস-পরীক্ষা আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) থেকে যথারীতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও ডিনদের নিয়ে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দেশের চলমান দাবদাহ বিবেচনা করে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ ও সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক জরুরি সভায় ক্লাস অনলাইনে ও পরিক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল।

;

গাড়িসহ কুবি ট্রেজারারকে পথরোধ, শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা



কুবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানকে গাড়িসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পথরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। এসময় শিক্ষক সমিতির এ কাজে বাঁধা দিয়েছে শিক্ষকদের আরেকটি পক্ষ। এতে শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত অবরোদ্ধ অবস্থায় মূল ফটকে গাড়িতে অবস্থান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার। পরে তিনি গাড়ি থেকে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাংলোতে যান উদ্ভুত পরিস্থিতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানার জন্য।

এর আগে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়, ট্রেজারারের কার্যালয় এবং প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দিতে যায়। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও প্রক্টরের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে গেলে তারা দেখেন প্রশাসন থেকে আগে থেকেই উপাচার্য দপ্তরে তালা ঝোলানো। ফলে উপাচার্য দপ্তরে আর তালা দিতে পারেননি তারা।

পরবর্তী সময়ে তারা প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হয়ে দেখেন ট্রেজারার তার গাড়ি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছেন। এ সময় মূল ফটকে অবস্থান নেন তারা এবং ট্রেজারারের গাড়ির চাবি দিয়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু ট্রেজারার তাদের কথার সাথে একমত না হওয়ায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে তাকে পথরোধ করেন।

শিক্ষক সমিতি ট্রেজারারকে পথরোধ করা অবস্থায় শিক্ষকদের একটি অংশ শিক্ষক সমিতির সাথে তালা লাগানো নিয়ে বাকবিতণ্ডা করেন। এ সময় তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘তালা সংস্কৃতি' বন্ধ চান বলে মন্তব্য করেন।

এ ব্যাপারে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল ভর্তি পরীক্ষার দিন কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। কিন্তু তারা পরবর্তীতে লিখলো শিথীল থাকবে। এটা এক প্রকার প্রতারণা। আমরাও শিক্ষক সমিতির সদস্য। এভাবে শিক্ষক সমিতি খেয়াল খুশি মত চলতে পারে না। আমরা এই তালা সংস্কৃতি থেকে মুক্তি চাই। কিছু হলেই তালা লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করি। শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ যে প্রতারণা করলো সাধারণ শিক্ষকদের সাথে সেই প্রতিবাদে আমরা এখানে এসেছি।'

এ ব্যাপারে কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের যত অনিয়ম হচ্ছে তার সহায়ক হচ্ছেন ট্রেজারার। আর এই অনিয়মগুলো তিনি চালু করেছেন। অর্থ কমিটির বিশৃঙ্খলা, শিক্ষকদের টাকা পয়সা বিভিন্ন খাতে ব্যয় করাসহ এই যে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা তার সবকিছুর পেছনে তিনি আছেন। এই কারণে শিক্ষকরা সাধারণ সভায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'আমাদের মূল দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রক্টর হিসেবে যদিও শিক্ষার্থীদের উপরে আমার দায়িত্ব তারপরেও সার্বিক শৃঙ্খলার ব্যাপারটা আমাদের উপরে আসে। আজকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছিলো। আজকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত ট্রেজারারকে তারা এভাবে পথ আটকে দিয়েছে। আমি মনে করি শিক্ষক হিসেবে তারা নৈতিকতার জায়গা লঙ্ঘন করেছে।'

ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দিচ্ছে উপাচার্য স্যার। এখন বিশ্ববিদ্যালয়কে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে, সচল রাখতে কি করণীয় সে বিষয়ে স্যারের সাথে কথা বলার জন্য যাচ্ছি।'

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে ফোন দেওয়া হলে তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল কুবি শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি চিঠিতে তাদের সাতটি দাবি মেনে নেয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। শিক্ষক সমিতির দেওয়া সাত দাবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২৫ তারিখ সকালে শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষের ও প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দেন। তবে ২৭ এপ্রিল গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় শিক্ষক সমিতি তাদের কর্মসূচি শিথীল করে এবং তালা খুলে দেয়। তবে আজকের (২৭ এপ্রিল) অফিস সময়সূচি শেষ হওয়ার পর তারা আবার তালা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন দপ্তরে।

 

;

জাবিতে ইতিহাস পরিবহনের ৮ বাস আটক, ৬০ হাজার টাকায় মুক্তি



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসের হঠাৎ ব্রেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের এক ছাত্রীর বোনের প্রাইভেটকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় ৮টি বাস আটক করে ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইতিহাস পরিবহনের চেকার জসিম হাওলাদার।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের শিমুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনা ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিকের বোন ক্যাম্পাসে তার বন্ধুদের জানালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক-সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে আরিচাগামী রুটের বাসগুলো আটক করে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় মহাসড়কের মাঝখানের লেন থেকে একটি মোটরসাইকেল ইউটার্ন নেওয়ার সময় পিছনে থাকা ইতিহাস পরিবহনের একটি বাস ব্রেক করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায়। তখন ইতিহাস পরিবহনের বাসের পিছনে থাকা সাভার পরিবহনের একটি বাসও ব্রেক করলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর বড় বোনের ব্যক্তিগত গাড়ি ওই বাসের পিছনে এসে সজোরে ধাক্কা খায়।এতে গাড়িটির সম্মুখভাগ দুমড়েমুচড়ে যায়। পরবর্তীতে জাবির সেই ছাত্রী তার বিভাগের বন্ধুদের ঘটনাটি জানালে তারা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উপস্থিত হয়ে ইতিহাস পরিবহনের ৮টি বাস আটকে চাবি নিয়ে নেয়।

বাস আটকের বিষয়ে ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসের চালক মো. সাগর বার্তা২৪.কমকে জানান, আমাদের (ইতিহাস) একটি বাস সাভারের শিমুলতলায় হার্ড ব্রেক করলে পেছনে থাকা সাভারের পরিবহনের একটা বাস গতি সামলাতে না পেরে আমাদের বাসের পেছনে মেরে দেয়। আর সাভার পরিবহনের বাস যখন ব্রেক কষে তখন পেছনে থাকা একটি প্রাইভেটকার সাভার পরিবহনের সেই বাসের পেছনে ধাক্কা খায়। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর জের ধরে সাভার পরিবহনের বাসটি না আটকে আমাদের বাসগুলো আটক করে রাখে।

এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাইভেটকারে থাকা জাবি শিক্ষার্থী বলেন, এত বড় একটি ঘটনা ঘটার পর পেছনে কেউ মারা গেল নাকি বেঁচে আছে, সেটি না দেখে বাসটি দ্রুত টান দিয়ে চলে যায়। এরপর আমার প্রাইভেটকারের চালক ইতিহাস পরিবহনের বাসে উঠে কেন এমন হার্ড ব্রেক করল, জানতে চাইলে বাসের চালক এবং সহযোগী খারাপ ব্যবহার করে হুমকি দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেন। আমরা সড়কে চলাচলের নিরাপত্তা চাই।

এদিকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের এক পাশে ইতিহাস পরিবহনের ৫টি বাস সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ির মধ্যে চালক-সহযোগীদের কেউ কেউ আড্ডা দিচ্ছেন, আবার কেউ রাস্তায় বসে আছেন। এসময় চালক ও স্টাফদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৮টি বাস আটক করলেও ৩টি বাসের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা চাবি নিতে ভুলে যায়। পরে সেই তিনটি বাস চলে যায়।

প্রাইভেটকার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করলে বাস মালিক কর্তৃপক্ষ ৬০ হাজার টাকায় ব্যাপারটি দফারফা করেছেন বলে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন সাভার টু জিরানি রুটের ইতিহাস পরিবহনের চেকার মো. জসিম হাওলাদার।

তিনি বলেন, সাভার পরিবহনের বাসের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাইভেটকারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের বাস আটকে রেখে তারা ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাচ্ছে। এটা কোন ন্যায়সঙ্গত কথা! তারপরও উভয় পক্ষ আলোচনা করে এক পর্যায়ে ৬০ হাজার টাকায় ক্ষতিপূরণ দিয়ে গাড়ির চাবিগুলো নিয়েছি।

এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আলমগীর কবিরের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: জবি কেন্দ্রে উপস্থিতির হার ৮৩.০৪ শতাংশ



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'এ' (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি কেন্দ্রে অংশ নিয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থী; যা মোট শিক্ষার্থীর ৮৩.০৪ শতাংশ। এদিন বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত জবির কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষা শেষে এসব তথ্য জানান জবির বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান এবং গুচ্ছের টেকনিক্যাল কমিটির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি অধ্যাপক ড. মোঃ জুলফিকার মাহমুদ।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস (মূল কেন্দ্র) এবং পাঁচটি উপকেন্দ্রে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে জবি ক্যাম্পাসে ১২ হাজার ৫৭৯ জনের আসন বিন্যাস সাজানো হলেও পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১০ হাজার ৮ জন পরীক্ষার্থী।

উপকেন্দ্রগুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ হাজার ২৯৬ জনের মধ্যে ২১ হাজার ৩৩৮জন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৩ হাজারের মধ্যে ২ হাজার ৫২৩ জন, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৬১১ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজারের মধ্যে ২ হাজার ৫৪৫ জন এবং ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ জনের মধ্যে ২৬৬১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন পরীক্ষায়।

উপস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ উপস্থিতি ছিল সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে। কলেজটিতে উপস্থিত ছিল ৮৪.৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৪.৩৫ শতাংশ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে ৮৪.১০ শতাংশ, সরকারি বাংলা কলেজে ৮৩.২৫ শতাংশ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ৮৩.১৬ শতাংশ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৯.৫৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। অর্থাৎ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় কেন্দ্রে ৫৩ হাজার ৮১৫ জনের আসন সাজানো হলেও পরীক্ষায় মোট অংশ নিয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৮৬ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ৯ হাজার ১২৯ জন।

এদিকে বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে শুরু হওয়া আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষায় জবি ক্যাম্পাসে ২ হাজার ৬১৬ জন পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়। এর মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেন ১ হাজার ৩৯৭ জন পরীক্ষার্থী; যা মোট শিক্ষার্থীর ৫৩.৪০ শতাংশ।

ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোঃ আইনুল ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

উল্লেখ্য, শনিবার বেলা ১২টা থেকে দেশের ২৩টি মূল কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৩ মে 'বি'(মানবিক) ও ১০ মে 'সি' (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

;