জবিতে ছাত্রকল্যাণ সংগঠনে নিষেধাজ্ঞায় ক্ষোভ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সকল আঞ্চলিক ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের সভা-সমাবেশ ও জমায়েত বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়। এই নির্দেশে শিক্ষার্থীদেন মাঝে ক্ষোভ দেখা যায়।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদিন রাসেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মানে ক্লাস অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষাতেই সীমাবদ্ধ নয়। একটা অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসবে, নিজেদের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ তৈরি হবে। একে অপরকে খোঁজ নিবে। অনেক অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা আর্থিক সুবিধা পাবে। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রকল্যাণ সংগঠন চলমান। তাই প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ মনগড়া।
জবি ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, অঞ্চলভিত্তিক সংগঠন অর্থাৎ ছাত্রকল্যাণ হলো ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত হবার একটা প্লাটফর্ম। যেখানে বিভিন্ন সময়ে সবাই সবার নানরকম উপকারে আসে।অঞ্চলভিত্তিক সংগঠন থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কি ক্ষতি আমার বোধগম্য নয়।
ছাত্র ইউনিয়নের রুহুল বলেন, ছাত্রকল্যাণের মাধ্যমে অনেক অস্বচ্ছল শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়। বড়দের সহযোগিতায় ছোটরা টিউশন-জব পায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন হটকারি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন এখতিয়ার নেই। তারা নিজেরা ছাত্রদের কতটুকু কল্যাণ করেন তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তাই তারা ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় ছাত্রকল্যাণ সংগঠন অবশ্যই দরকার আছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, অঞ্চলভিত্তিক ছাত্র কল্যাণ সংগঠনগুলো তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে। তবে শিক্ষার্থীরা কোন প্রকার সমাবেশ করতে পারবে না।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ছাত্রকল্যাণ সংগঠনগুলো তাদের কার্যক্রম ক্যাম্পাসের বাইরে চলমান রাখবে। ছাত্রকল্যাণ সংগঠন নিয়ে ইদানীং আন্তকোন্দল সৃষ্টি হচ্ছে। তাই তারা তাদের কার্যক্রম বাইরে চলমান রাখবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ সংগঠনগুলোর ওপর একই নিষেধাজ্ঞা জারি করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়লে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় প্রশাসন।