কুবিতে বেড়েছে মশার উপদ্রব

  • কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সন্ধ্যা নামা মাত্রই মশার জন্য ক্যাম্পাসে অবস্থান করা দায় হয়ে উঠেছে। মশারি বা কয়েল ছাড়া চলাই যেন কষ্টকর। ক্যাম্পাসের গোল চত্বর, মুক্ত মঞ্চ, শহীদ মিনার, ক্যাফেটেরিয়াসহ প্রায় সব জায়গায় একই দৃশ্য। বেশ কয়েকদিন যাবৎ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের মুখে মুখে এ কথাগুলোই ঘুরছে।

তাদের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝোপঝাড়গুলো এবং বিভিন্ন অনুষদ ও আবাসিক হলের ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এ মৌসুমে মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে।

বিজ্ঞাপন

মশায় অতিষ্ঠ হয়ে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লাজেম জিম বলেন, মশারি কিংবা কয়েল ছাড়া সন্ধ্যার পর আর কিছু কল্পনাই করা যায় না। শান্তি মতো কোথাও আড্ডা দিব সেটাও সম্ভব হয় না মশার জন্য। এমনকি এখন দুপুরে মশারি ছাড়া রুমে শুয়েও থাকা যায় না। মশার প্রকোপ কমাতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আসিফ উদ্দিন এ নিয়ে বলেন, ক্যাম্পাসের ভেতর কোথাও না কোথাও ময়লার স্তুপ দেখা যাবেই। এছাড়া হলের পাশের ড্রেন, বিভিন্ন জায়গায় ঝোপঝাড় নিয়মিত পরিষ্কার করে না কর্তৃপক্ষ। ফলে সেখান থেকে মশার ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। মশারি ছাড়া রুমে বসাই যায় না। এর দ্রুত সমাধান চাই।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের পাশে, বিজ্ঞান অনুষদের পিছনে, আবাসিক হলগুলোর বিভিন্ন জায়গায়, মুক্তমঞ্চের পাশে ময়লা স্তুপ হয়ে পড়ে আছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় বিভিন্ন জায়গায় ময়লা পানি জমে আছে। যা মশার প্রজনন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।

এ মৌসুমে মশার উপদ্রব বৃদ্ধির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান খান বলেন, এসময় সাধারণত এডিস মশার প্রকোপ বাড়তে পারে। ফলে ডেঙ্গু জ্বর হবারও সম্ভাবনা রয়েছে। এ থেকে মুক্তি পেতে আশেপাশের ড্রেন, ঝোপঝাড় যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখতে হবে। এছাড়া দিনের বেলা ঘুমাতে গেলেও যেন শিক্ষার্থীরা যেন মশারি ব্যবহার করে।

এ ব্যাপারে কথা বললে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখা প্রধান ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সিটি কর্পোরেশনের আওতায় না। তবুও অতীতে এ ধরনের পরিস্থিতিতে স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানালে তিনি ঔষধ ছিটিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। এবারও আমরা তার সাথে কথা বলবো।

তিনি আর বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। তবুও আমরা চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখার।